ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করুন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করুন, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো নেটওয়ার্ক মার্কেটিং, যা সহজ ভাষায় হলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন তথ্য একে অপরের সঙ্গে আদান প্রদান করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাইলে বা বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। ঘরে বসে ও কাজ করতে পারেন মোবাইলের মাধ্যমে, এ বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইন মার্কেটিং কাজ। আমরা সারাদিন ফোন নিয়ে অনেক সময় নষ্ট করি। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টিকটক এভাবে সময় নষ্ট না করে মোবাইল দিয়েও ডিজিটাল মার্কেটিং করুন লাখ টাকা ইনকাম করুন। অনলাইনে মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করে বা প্রোডাক্ট স্পন্সর করে।গেম খেলে লেখালেখি করে ভিডিও এডিটিং করে, ব্লগ ভিডিও করে, ইউটিউবে মার্কেটিং করে ফেসবুক মার্কেটিং করে আরো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বর্তমান বিশ্ব হলো অনলাইন প্লাটফর্ম ভিত্তিক। এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কাজই করা সম্ভব। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়, স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পড়ালেখা বিষয়ক, চাকরি এমনকি আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সকল কাজ এখন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে খুব সহজেই করতে পারছি। অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা করা। 

এক কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং হলো কোন পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা চালানো। অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে সরাসরি নিজে স্বশরীরে উপস্থিত না হয়ে অনলাইন মাধ্যম যেমন facebook, google, youtube ইত্যাদি অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন কিছুর প্রচার প্রচারণা করে মানুষের কাছে সেই জিনিস সম্পর্কে সকল তথ্য পৌঁছে দেয়ায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সশরীরে উপস্থিত থেকে কোন কাজ করার প্রয়োজন হয় না। 

ঘরে বসেই ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চাকুরী করা যায়। আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেই বিষয়টি আপনি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং কয় ভাবে করা যায়। আমরা আগেই জেনেছি ডিজিটাল মার্কেটিং কি। ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার 

করে করা মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে বা ডিজিটাল মার্কেটিং বেশ কয় প্রকার হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, গুগল মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং। এগুলো হল ডিজিটাল মার্কেটিং করার কয়েকটি মাধ্যম বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকার। এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ঘরে বসে 

ডিজিটাল মার্কেটিং পরিচালনা করা যায়। যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ ও লাভজনক করে তুলেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা এবং চাকুরী করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। তাই আপনিও চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচার প্রচারণা চালানো। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে এখন মোটামুটি আমাদের অনেকেরই ধারণা রয়েছে। আমরা অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাই। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সঠিক গাইডলাইনের অভাবে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করব সেটাই বুঝতে পারি না। আমরা অনেকেই ভাবি ডিজিটাল মার্কেটিং করে আসলেই কি টাকা ইনকাম করতে পারব?

আমি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে না পারি তাহলে কি হবে? অনলাইনে কাজ করব আশেপাশের মানুষ কি বলবে? ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আমার কি ভবিষ্যৎ ভালো হবে? সত্যিই আমি কি সফল হতে পারব বা আমি যদি ব্যর্থ হই? ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার পূর্বে এই সকল প্রশ্ন আমাদের মনে ঘোরাঘুরি করে। যার কারণে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।

তাই কোন কিছু না ভেবে আজ থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করে দিন। ডিজিটাল মার্কেটিং আপনি দুই ভাবে শিখতে পারবেন। একটি হলো ফেসবুক বা youtube এ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও দেখে। আরেকটি হল কোন ফ্রিল্যান্সিং আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে। এই দুইভাবেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। 

তবে ফেসবুক বা ইউটিউব এ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক ভিডিও দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শেখা অনেক কঠিন এবং বেশিরভাগ মানুষই সফল হতে পারেন না। কারণ অনলাইনে ভিডিও দেখে আপনি যেটা বুঝবেন না সেটা পরবর্তীতে কারো কাছ থেকে জেনে নেয়ার সুযোগ থাকবে না। তাই ফেসবুক বা ইউটিউব ভিডিও দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা অনেক কষ্টসাধ্য এবং আপনি যে সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই । 

তাই সবাই অফলাইনে কোন ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শেখে এবং নিজেকে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে গড়ে তোলে।কারণ আপনি যখন কোন একজন অভিজ্ঞ গুগল সার্টিফাইড প্রশিক্ষক এর কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ সরাসরি শিখবেন তখন আপনি অনেক টেকনিক্যাল বিষয় খোলাখুলি জানতে পারবেন।

পাশাপাশি আপনি আপনার সমস্যা গুলো আপনার মেন্টরের সাথে শেয়ার করতে পারবেন এবং আপনার প্রশিক্ষক সবসময় আপনাকে সকল সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে দিতে পারবেন। তাই অনলাইনে ভিডিও দেখে শেখার থেকে অফলাইনে কোন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছে থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখায় সর্বোত্তম হবে। এই প্রশিক্ষক আপনাকে সফল ফ্রিল্যান্সার না হওয়া পর্যন্ত সাপোর্ট দিয়ে যাবেন।আপনি সারা জীবন সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে সহযোগিতা নিতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনার মেন্টর লাইফটাইম আপনাকে সাপোর্ট দিয়ে যাবেন। যার ফলে আপনি অনেক সহজেই সফলতার সিঁড়ি অব্দি পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। যা অনলাইনে ভিডিও দেখে আপনি পারতেন না।আবার অনেকেই আছে ফেসবুক বা ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভিডিও দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখতে পারেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা হাজারে একজন হতে পারে। 

তাই আমি আপনাকে অফলাইনে কোন ভালো ফ্রিল্যান্সিং আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শেখার পরামর্শ দেবো। এখন সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি অনলাইন ভিডিও কে বেছে নিবেন নাকি অফলাইনে কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট ভর্তি হয়ে গুগল সার্টিফাইড কোন প্রশিক্ষক এর কাছ থেকে শিখবেন। আশা করি আপনার সিদ্ধান্ত নিতে আর কোন সমস্যা হবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে কমবেশি এখন আমাদের অনেকেরই ধারণা রয়েছে। আমরা এখন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। কিন্তু অনেকেই জানিনা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কেমন ডিভাইসের প্রয়োজন। অনেকেই ভাবেন ল্যাপটপ বা পিসি ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করা সম্ভব নয় ।কিন্তু তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল। 

ল্যাপটপ বা পিসি ছাড়াও আপনি চাইলে আপনার হাতের মোবাইল ফোন দিয়েও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখতে পারবেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনার মোবাইল ফোনটির Ram হতে হবে সর্বনিম্ন ৮ জিবি। না হলে আপনি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবেন না। তবে বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ফিচার ডিজিটাল মার্কেটিং এ এড করা হয়েছে। যা মোবাইল ফোন দিয়ে করা যায় না। তাই বলে মোবাইল দিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন না বিষয়টা এমন নয়। 

আপনি ল্যাপটপ বা পিসি ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ৭০% কাজ সফলভাবে করতে পারবেন। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে নিজেকে একজন ভালো মানের সফল ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে ল্যাপটপ বা পিসি থাকার কোন বিকল্প নেই।কারণ আগেই বলেছি ডিজিটাল মার্কেটিং এ সর্বদাই নতুন নতুন অনেক ফিচার অ্যাড হয়ে থাকে। যা আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারব না। দরকার হবে ল্যাপটপ বা পিসি। তাই সম্ভব হলে ল্যাপটপ বা পিসি কিনে নেওয়া শ্রেয়।

তবে আপনার হাতের মোবাইল ফোন দিয়েও ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। তাই কারো কথায় কান না দিয়ে মোবাইল ফোন দিয়েই ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করুন সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং এবং ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ করে নিজেকে সফল একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেটিং এবং ইউটিউব মার্কেটিং,ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ । 

আপনার হাতের মোবাইল ফোন দিয়েই ফেসবুক মার্কেটিং এবং ইউটিউব মার্কেটিং এর কাজ খুব ভালোভাবে করতে পারবেন। তাই আপনার ল্যাপটপ বা পিসি কেনার সামর্থ্য না থাকলে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আপনার হাতের মোবাইল ফোন দিয়েই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। আশা করছি এখন আপনার ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে মার্কেটিং করা। অর্থাৎ অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা চালানোই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। সেটা হতে পারে ফেসবুকের মাধ্যমে, ইউটিউব এর মাধ্যমে, গুগল এর মাধ্যমে। এক কথায় বর্তমানে যে অনলাইন মাধ্যম গুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার যাবতীয় তথ্য মানুষের কাছে স্পষ্ট ভাবে পৌঁছে দেওয়াই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী, পড়াশোনা বিষয়ক তথ্য এমনকি আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চাকুরী করার জন্য সশরীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। আপনি ঘরে থেকেই যে কোন অবস্থায় এ সকল কাজগুলো করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে তুলছে। 

আগে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কোন পূর্ণ সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য লিফলেট বিতরণ করতে হতো, মাইকিং করতে হতো, এমনকি সরাসরি পণ্যের প্রদর্শনও করতে হতো। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এগুলোর আর দরকার হয় না। অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করেই অল্প সময়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে আপনার পণ্যের যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেয়া যায়। যার ফলে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনেক লাভবান হয় 

এবং আপনার বিক্রি অনেক গুনে বেড়ে যায়। আবার আপনি চাইলে যে কোন কিছুর বিজ্ঞাপন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে অল্প সময়ে কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি নিজ দেশে থেকেই বাইরের অনেক দেশের বড় বড় কোম্পানিতে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন। যার ফলে আপনি মাসিক লাখ টাকার উপরে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।আর সব থেকে বড় কথা ডিজিটাল 

মার্কেটিংয়ের কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় বাধা থাকে না। আপনি ইচ্ছামত আপনার কাজ করতে পারবেন। কেউ আপনাকে জোর করতে পারবে না। তাই এখন সবার কাছে চাকুরীর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ নিজ ঘরে বসেই বা যে কোন জায়গায় থেকে খুব সহজে স্বল্প সময়ে করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা কোন সেবার প্রচার-প্রচারণা করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার যাবতীয় তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে অনেক কিছু শিখতে হয়। আপনাকে অনলাইন এবং ডিভাইস সম্পর্কে যথেষ্ট বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে। তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে তারপরে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে ধাপে ধাপে অনেকগুলো জিনিস শিখতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। কারণ ওয়েবসাইট না থাকলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন না। তার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং ওয়েবসাইটটি কিভাবে কন্ট্রোল করবেন সেটি শিখতে হবে। ওয়েবসাইটের পরে আপনাকে শিখতে হবে ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ। আপনি কিভাবে ফেসবুকে মার্কেটিং করবেন সেটি সম্পর্কে যাবতীয় ধারনা এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান আপনার থাকতে হবে। 

তারপরে আপনাকে শিখতে হবে ইউটিউব মার্কেটিং। ইউটিউব মার্কেটিং করেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা হয়। এগুলো শেখার পরে পর্যায়ক্রমে আপনাকে শিখতে হবে এস,ই,ও এর কাজ। এটার কাজ শিখলে আপনি খুব সহজেই যে কোন ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন এবং আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। 

এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে ভালো মানের যুক্তিসম্পন্ন আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে। মোটামুটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে এই বিষয়গুলোই বিস্তারিতভাবে হাতে কলমে শেখানো হয়। এই বিষয়গুলো আপনি ভালোভাবে শিখতে পারলেই নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং জীবনে সফল হতে পারবেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। তাই তরুণ প্রজন্ম এখন ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি বেশি আগ্রহী। সবাই এখন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই। ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেও মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু সবকিছু এত সহজ নয়। তার জন্য দরকার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়া। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে বেশ কিছু ধাপ পর্যায়ক্রমে শেখানো হয়ে থাকে।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সেটিকে কন্ট্রোল করা। গুগলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন রকমের বাংলা আর্টিকেল লিখে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সঠিক নিয়মে তথ্য নির্ভর ও যুক্তিযুক্ত আর্টিকেল লিখতে হবে। যাতে করে যে কেউ উপকৃত হতে পারে। এভাবে ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল লিখে গুগলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং শেখানো হয়। 

ফেসবুক মার্কেটিং শিখে সেখানে বিভিন্ন রকমের পোস্ট , বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে এবং বিভিন্ন কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করে ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাড দেখিয়ে মাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা যায়। তাছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আপনারা ইউটিউব মার্কেটিংও শিখতে পারবেন। ইউটিউব মার্কেটিং করেও ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রায় লাখ টাকার অধিক ইনকাম করা যায়। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে খুব ভালোভাবে ইউটিউব মার্কেটিং করা জানতে হবে। 

ইউটিউব মার্কেটিং বিষয়ে আপনার যথেষ্ট টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকলে আপনি খুব সহজেই অন্যদের মতো বা তাদের থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় কাজ হলো এস,ই,ও, এর কাজ। এই কাজ শিখে আপনি টপ লেভেলের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। তাই ভিডিও এডিটিং করেও আপনি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং করে আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাবলিশ করে সেখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুধু একটি নয় অনেকগুলো মাধ্যম ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু তার জন্য আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে হবে এবং নিজেকে একজন এক্সপার্ট লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 

আর সবথেকে বড় কথা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আপনি চাইলে দেশে থেকেই বাইরের দেশের অনেক বড় বড় কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকুরি করতে পারবেন। এছাড়াও বিদেশি বায়ারদের ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক সহায়তা প্রদান করেও হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তাই বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় ও মাধ্যম রয়েছে। যা আমরা উপরে বিস্তারিত পড়ে সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি।

ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে কোন পণ্য বা কোন সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা চালানো। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অনেকগুলো উপায়ে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়। তাই বর্তমান প্রজন্ম ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে বেশি আগ্রহী। এখন বেশিরভাগ মানুষ চাকুরী করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। সবাই চায় মুক্ত পেশা হিসেবে নিজেকে একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ সুদূরপ্রসারী। 

কারণ এই সেক্টরের কাজ কোনদিন শেষ হবে না এবং দিন দিন এর কাজের পরিধি বাড়তেই থাকবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজের কোন অভাব হবে না। যার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করলে আপনার ভবিষ্যৎ সিকিউর হবে বা নিরাপদ হবে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে লাখ টাকার অধিক ইনকাম করা সম্ভব। একটু দীর্ঘ সময় ব্যয় করে কাজ করলে আরো অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। 

তাই আপনি ডিজিটাল মার্কেটার হলে আপনার ভবিষ্যৎ অনেক ভালো হবে। আপনার জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করার মত অর্থ আপনি খুব সহজেই ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি আপনি ও আপনার পরিবারের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং হল একটি মুক্ত পেশা। আপনি যত বেশি সময় ব্যয় করে কাজ করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে টাকা ইনকামের কোন লিমিট থাকে না। আপনি একটু বেশি পরিশ্রমী হলে এক মাসে কয়েক লাখ টাকার অধিক ও ইনকাম করা সম্ভব। 

অন্যদিকে চাকরি করলে তার বেতন হয় নির্দিষ্ট পরিমাণে এবং অফিসের সময় ফিক্সড করা থাকে। যার ফলে আপনাকে সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অফিসে যেতে হবে এবং আসতে হবে। আর আপনার বেতন হবে নির্দিষ্ট একটা পরিমানে। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং করলে আপনি আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনার কাজ করার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে না। আবার চাকরি করলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর অবসর নিতে হয়। 

অবসরের পর জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং করলে জীবনে অবসর বলতে কোন সময় থাকে না। আপনি চাইলে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন এবং সেটি নিজ ঘরে বসে থেকে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত ভালো এবং সুদূরপ্রসারী।

বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই আগ্রহের একটি বিষয়। সবাই চায় ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম করে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে। অনেকেই বলে থাকেন ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা যায় না। আসলে এটি সম্পূর্ণরূপে একটি মিথ্যা কথা। তার এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র কোন জ্ঞান নেই তাই সে এসব মিথ্যাচার করে থাকে। বরং সত্যি কথা এই যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে সঠিক উপায়ে কাজ করে মাসে লাখ টাকার অধিক ইনকাম করা সম্ভব। এবং এটি বাস্তব একটি সত্য কথা। আপনারা চাইলেও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে মাসে প্রায় লাখ টাকার অধিক ইনকাম করতে পারবেন। 

কিন্তু তার জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে এবং নিজেকে একজন টপ লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। সেই সাথে মাসে লাখ টাকার অধিক ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুধুমাত্র একটি নয় অনেকগুলো উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, গুগোল মার্কেটিং,ভিডিও এডিটিং এবং বাংলা আর্টিকেল লিখে।

এই কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ভিত্তিক কাজ করে দিয়েও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া বিদেশি বিভিন্ন বায়ারদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কাজ করে দিয়েও আপনি হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তাই বুঝতেই পারছেন আসলেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম করা সম্ভব এবং এটি প্রমাণিত।

উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং এমন শিক্ষনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদেরকে ফলো করে সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি কেমন লাগলো কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।