২০ টি ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়

আমরা সবাই চাই ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে। আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবো। আজকে আমরা ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায় সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
২০-টি-ঘরোয়া-ভাবে-ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বাড়ানোর-উপায়
আমাদের ত্বক বিভিন্ন সমস্যার জন্য কালো হয়ে যায়। যেমন তৈলাক্ত ভাবের জন্য, এলার্জি সমস্যার জন্য এবং অতিরিক্ত গরমের জন্য। ত্বক ফর্সা করতে চাইলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ২০ টি ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়

ভূমিকা

কম-বেশি আমরা সবাই জানি ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে ঘরোয়া ভাবে ত্বক ফর্সা করা যায় সেই পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করতে কিছুটা সময় লাগলেও এটা অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে থাকে। ঘরোয়া পদ্ধতির কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। 
তাই আমরা সবাই নিশ্চিন্তে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে আমাদের ত্বককে অনেক ফর্সা করতে পারব। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টোটকা গুলোই ব্যবহার করে আসছে। তাই বাজারে যে সকল কেমিক্যাল যুক্ত ফর্সাকারী ক্রিম পাওয়া যায় তার থেকে ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করা অনেক বেশি লাভের। 

কারণ ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আমাদের ত্বকে দেখা যায় না। যার ফলে আমাদের ত্বক অনেক ফর্সা হয় এবং এই ফর্সা স্থায়ীভাবে আমাদের ত্বকে সারা জীবন থেকে যায়। নিচে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের মাধ্যমে ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
  • তৈলাক্ত ভাব দূর করতে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন
  • ঘরোয়াভাবে ত্বকের যত্নের টিপস
  • ঘরোয়াভাবে তিন দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
  • কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
  • ভেতর থেকে ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায়
  • লেবু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
  • ঘরোয়া ভাবে পুরো শরীর ফর্সা করার উপায়
  • সকালে ও রাতে ত্বকের যত্ন

সকালে ও রাতে ত্বকের যত্ন

সুন্দর চেহারা প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন। সবাই চায় তার চেহারা অনেক সুন্দর হোক এবং সবাই তাকে দেখে তার রূপের অনেক প্রশংসা করুক। সুন্দর চেহারা চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিটি মানুষই সুন্দর চেহারা চায়। কিন্তু রূপকথার গল্পের মত সুন্দর চেহারা চাইলেই পাওয়া যাবে না। তার জন্য দরকার সঠিক নিয়মে, সঠিক উপায়ে, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া। দিনরাত মিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকালে ও রাতে নিয়ম করে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। 
সকালে ও রাতে সঠিক উপায় অবলম্বন করে ত্বকের যত্ন নিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সারারাত ঘুমানোর ফলে আমাদের মুখে অনেক ময়লা জমতে পারে। যার ফলে আমাদের ত্বকে ব্রণ হতে পারে, তৈলাক্ত ভাব আসতে পারে, মুখে কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ হতে পারে, মুখ লালচে হয়ে যেতে পারে। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে সর্ব প্রথমে আমাদের মুখ ভালোভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। 

তারপর আমরা কিছুক্ষণ বরফ দিয়ে আমাদের ত্বকের উপর ভালোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করব। এভাবে বরফ দিয়ে আমাদের মুখের উপরে ঘসলে মুখের ময়লা পরিষ্কার হবে। যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে। আমরা চাইলে বরফের সাথে কিছুটা মধু লাগিয়ে নিয়ে আমাদের ত্বকে মাসাজ করতে পারি। এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মধু ও বরফ ত্বকে মাসাজ করলে ত্বক অনেক ভালো থাকবে এবং ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হবে, ত্বক আগের থেকে অনেক উজ্জ্বল হবে। 

ঠিক তেমনি আমরা সারাদিন বাহিরে থাকার ফলে আমাদের ত্বকে অনেক ধুলোবালি জমে। তাই সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে আমরা যখন বাসায় ফিরব তখন সর্বপ্রথমে আমাদের মুখ ভালোভাবে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে আমাদের মুখের উপরে ভালোভাবে ঘষতে হবে। এভাবে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট বরফ আমাদের মুখে ঘসলে মুখের যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার হবে। 

আমাদের মুখ হবে অনেক উজ্জ্বল ও ফর্সা। পাশাপাশি আমাদের ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সতেজ হয়ে উঠবে। কারণ বরফ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এভাবে ঘরোয়া উপায়ে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক টুকরো বরফ ত্বকে ঘষলে ত্বকের অনেক উপকার হবে।

তৈলাক্ত ভাব দূর করতে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন

সুন্দর ও উজ্জ্বল চেহারা সকলেরই পছন্দ।সবাই চায় তার ত্বক অনেক সুন্দর হোক। কিন্তু আমাদের ত্বকে নানান ধরনের সমস্যাও দেখা দেয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো তৈলাক্ত ত্বক। ত্বকের তৈলাক্ত ভাবের কারণে অনেক সমস্যা হয়। তৈলাক্ততার জন্য মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ হয়। আমরা চাইলেই ঘরোয়া ভাবে খুব সহজেই ত্বকের এই তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পেতে পারি। বরফের সাথে ছোট বড় আমরা সবাই পরিচিত।
২০-টি-ঘরোয়া-ভাবে-ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বাড়ানোর-উপায়
প্রায় সব বাড়িতেই বরফ পাওয়া যায়। এই বরফ ব্যবহার করেই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কয়েক টুকরো বরফ একটি কাপড়ের মধ্যে পেচিয়ে নিয়ে সেটি আমাদের পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ মুখে মাসাজ করার পরে মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সারাদিনের কাজকর্ম শেষে বাসায় ফেরার পর আবার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। 
তারপর কয়েক টুকরো বরফ মুখে ঘষে পুরো মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ও রাতে মুখে বরফ মাসাজ করলে মুখের তৈলাক্ত ভাব কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে। এছাড়া তৈলাক্ত ভাব দূর করার আরেকটি ঘরোয়া টোটকা হল মুখে বেসনের পেস্ট ব্যবহার করা। তার জন্য প্রথমেই আমাদের অল্প কিছু বেসন বাটিতে নিতে হবে। তারপর বেসনের মধ্যে দুই তিন টুকরা শসা একদম কুচি কুচি করে কেটে দিতে হবে। 

বেসনে শসা দেয়ার পরে তার মধ্যে কিছুটা মধু দিতে হবে। তারপর শসা, বেসন এবং মধুর মধ্যে একটি ডিম ভেঙে দিতে হবে। এখন এই চারটি উপাদান একসঙ্গে খুব ভালোভাবে মিক্স করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আমাদের মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে এই পেস্টটি পুরো মুখে ভালোভাবে একটু মোটা প্রলেপ করে লাগিয়ে দিতে হবে। 

পেস্টটি মুখে লাগানোর পরে 10 থেকে 12 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে পুরোপুরি শুকিয়ে যাবার জন্য ।শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এই ঘরোয়া টোটকা সপ্তাহের দুই দিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আমাদের মুখে ব্যবহার করলে খুব সহজেই মুখের তৈলাক্ত ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্নের টিপস

ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন। সবাই চায় তার চেহারা হোক ফর্সা ও সুন্দর। আর আপনাদের ত্বক ফর্সা করতে ঘরোয়া পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অনেক ফর্সা ও উজ্জ্বল। ত্বক ফর্সা করতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত ত্বকে মধু মাখলে ত্বক অনেক ফর্সা হয়ে ওঠে। 

কারণ মধুর মধ্যে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে। তাই নিয়ম করে দিনে অন্তত একবার আপনার ত্বকে মধু লাগালে ত্বক হবে ফর্সা ও উজ্জ্বল। আমরা জানি দুধ অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমাদের সবার বাড়িতেই দুধ পাওয়া যায়। আর এই দুধের সর আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। 

কারণ দুধের স্বরে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক ক্লোজেন। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও মুখে দুধের সর মাখা প্রয়োজন। নিয়মিত দুধের সর আপনার মুখে মাখলে মুখ হবে আগের থেকে কোন বেশি ফর্সা এবং মুখের যাবতীয় কালো দাগ দূর হবে। পাশাপাশি মুখে কোন রকম বয়সের ছাপ পড়বে না। 

দুধ এবং মধুর মতোই হলুদ আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। কারণ হলুদের রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক নানা গুনাগুন। প্রথমে আমাদেরকে কয়েকটা কাঁচা হলুদ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পরে হলুদ গুলোকে মিহি করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। 

এখন এই হলুদের পেস্ট আপনার পুরো মুখে একটু ঘন করে প্রলেপ দিয়ে নিন। তারপর ৮ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন মুখের উপরে হলুদের পেস্টটি শুকিয়ে যাবার জন্য। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এই নিয়ম অনুসরণ করে মুখে হলুদ পেস্ট লাগালে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা 

আগের থেকে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এবং আপনার ত্বক ফর্সা দেখাবে। এছাড়াও ত্বকে ব্রণ থাকলে সেগুলো আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে। আপনার ত্বক ফর্সা করতে আরেকটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো মসুর ডাল পদ্ধতি। এর জন্য আপনাকে অল্প পরিমানে মসুর ডাল নিতে হবে। তারপর মসুর ডাল ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। 

মসুর ডালের পেস্ট এর মধ্যে একটি ডিম ভেঙে দিতে হবে এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিক্স করে নিতে হবে। এবার মসুর ডাল, ডিম এবং লেবুর রস ভালোভাবে একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানোর পরে যে পেস্ট তৈরি হবে সেটি আপনার পুরো মুখের প্রলেপ আকারে লাগিয়ে নিতে হবে। পেস্ট লাগানোর পরে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে পেস্টটি তিন থেকে চার দিন পর পর ১ বার করে আপনার মুখে লাগাতে হবে। তাহলে আপনার ত্বক হবে ফর্সা, সতেজ এবং সম্পূর্ণ দাগহীন। উপরের ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে আপনি চাইলে খুব সহজেই নিজেকে সুন্দর ও ফর্সা করতে পারবেন।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

প্রতিটি মানুষই সৌন্দর্যের পূজারী। সবাই সৌন্দর্যকে ভালোবাসে। কেউই এর ব্যতিক্রম নয়। ঠিক তেমনি মানুষের ক্ষেত্রেও সৌন্দর্যের এই বিশেষণটি প্রযোজ্য। আমরা সবাই সুন্দর চেহারার মানুষকেই বেশি প্রাধান্য দেই এবং পছন্দ করি। তাই আজকে আমরা জানব কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে নিজেকে কালো থেকে ফর্সা করবেন। আলু নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবজি হিসেবে সব বাড়িতেই আলু খাওয়া হয়। 

কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই আলুর মধ্যে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী নানারকম গুনাগুন। প্রথমে আপনাকে ভালো দেখে কয়েকটি আলু নিতে হবে। তারপর সেই আলু গুলোকে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তারপর আলু গুলোর মিহি করে পেস্ট তৈরি করতে হবে । আলুর পেস্ট এর সাথে এক চা চামচ চিনি এবং দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এই তিনটি উপাদানের মিশ্রণে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। 

এখনই প্যাকটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন। এভাবে দুইদিন পর পর এই আলুর প্যাক আপনার শরীরে ব্যবহার করলে আপনার শরীর হবে ফর্সা। কমলালেবুর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমরা সবাই কমলালেবুকে ফল হিসেবে চিনি। কিন্তু এই কমলালেবুতে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক অবিশ্বাস্য গুনাগুন। কমলালেবু নিয়মিত খেলেও আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে। পাশাপাশি কমলার খোসা যেটা আমরা ফেলে দেই। 

সেই খোসা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তার পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলেও কালো ত্বক আস্তে আস্তে ফর্সা হয়ে উঠবে। এছাড়া নিম পাতা ও হলুদ একসঙ্গে বেটে পেস্ট তৈরি করে নিয়ে সেটা নিয়মিত আপনার ত্বকে ব্যবহার করলে আপনার কালো ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং আস্তে আস্তে অনেক ফর্সা হয়ে উঠবে।আর ত্বক ফর্সা করার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হলো মূলদানি মাটি। 

আপনি চাইলে মূলদানি মাটি সংগ্রহ করে তার সাথে কিছুটা গোলাপজল মিক্স করে মুখে নিয়মিত মাখতে পারেন। এভাবে গোলাপ জল ও মুলদানি মাটি আপনার ত্বকে মাখলে ত্বক ভিতর থেকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং আপনার কালো ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়ে যাবে ।এই ঘরোয়া টোটকা গুলো নিয়মিত মাখলে আশা করছি আপনার ত্বক আগের থেকে অনেকটাই ফর্সা হবে ।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন। সবাই চায় তার চেহারা হোক ফর্সা ও সুন্দর। আর আপনাদের ত্বক ফর্সা করতে ঘরোয়া পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অনেক ফর্সা ও উজ্জ্বল।ত্বক ফর্সা করতে বিভিন্ন ধরনের বাদামের কোন বিকল্প নেই। কারণ বাদামের মধ্যে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক গুনাগুন। কাঠ বাদাম ও পেস্তা বাদাম একসঙ্গে গুড়ো করে নিয়ে তার মধ্যে কিছুটা হলুদ মিক্স করে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। 
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
এবার এই বাদামের পেস্টটি আপনার মুখে প্রলেপ করে লাগিয়ে দিন। তারপর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে যাবার পরে আপনার পুরো মুখ হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে সর্বোত্তম ফলাফল পেতে সপ্তাহের অন্তত একদিন এই বাদামের পেস্ট আপনার মুখে ব্যবহার করবেন।ত্বক ফর্সা করতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত ত্বকে মধু মাখলে ত্বক অনেক ফর্সা হয়ে ওঠে। 

কারণ মধুর মধ্যে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে। তাই নিয়ম করে দিনে অন্তত একবার আপনার ত্বকে মধু লাগালে ত্বক হবে ফর্সা ও উজ্জ্বল। আমরা জানি দুধ অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। আমাদের সবার বাড়িতেই দুধ পাওয়া যায়। আর এই দুধের সর আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। কারণ দুধের স্বরে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক ক্লোজেন। 

তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও মুখে দুধের সর মাখা প্রয়োজন। নিয়মিত দুধের সর আপনার মুখে মাখলে মুখ হবে আগের থেকে কোন বেশি ফর্সা এবং মুখের যাবতীয় কালো দাগ দূর হবে। পাশাপাশি মুখে কোন রকম বয়সের ছাপ পড়বে না। দুধ এবং মধুর মতোই হলুদ আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। কারণ হলুদের রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী প্রাকৃতিক নানা গুনাগুন। 

প্রথমে আমাদেরকে কয়েকটা কাঁচা হলুদ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পরে হলুদ গুলোকে মিহি করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এখন এই হলুদের পেস্ট আপনার পুরো মুখে একটু ঘন করে প্রলেপ দিয়ে নিন। তারপর ১০ থেকে ১২ মিনিট অপেক্ষা করুন মুখের উপরে হলুদের পেস্টটি শুকিয়ে যাবার জন্য। 

শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই নিয়ম অনুসরণ করে মুখে হলুদ পেস্ট লাগালে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আগের থেকে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এবং আপনার ত্বক ফর্সা দেখাবে। এছাড়াও ত্বকে ব্রণ থাকলে সেগুলো আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে। আপনার ত্বক ফর্সা করতে আরেকটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো মসুর ডাল পদ্ধতি। 

এর জন্য আপনাকে অল্প পরিমানে মসুর ডাল নিতে হবে। তারপর মসুর ডাল ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। মসুর ডালের পেস্ট এর মধ্যে একটি ডিম ভেঙে দিতে হবে এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিক্স করে নিতে হবে। এবার মসুর ডাল, ডিম এবং লেবুর রস ভালোভাবে একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানোর পরে যে পেস্ট তৈরি হবে সেটি আপনার পুরো মুখের প্রলেপ আকারে লাগিয়ে নিতে হবে।

পেস্ট লাগানোর পরে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে পেস্টটি দুই থেকে তিন দিন পর পর ১ বার করে আপনার মুখে লাগাতে হবে। তাহলে আপনার ত্বক হবে ফর্সা, সতেজ এবং সম্পূর্ণ দাগহীন। এছাড়াও আপনি চাইলে ভিটামিন এই যুক্ত খাবার অনেক পরিমানে খেতে পারেন। 

কারণ ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এভাবে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

ঘরোয়া ভাবে পুরো শরীর ফর্সা করার উপায়

উজ্জ্বল দাগ হীন কোমল ও মসৃণ ত্বক আমাদের কার না ভালো লাগে, ধুলোবালি অনিয়ন্তিত জীবনযাপন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য আমাদের ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপে অথবা সময়ের অভাবে বেশিরভাগ সময় আমরা ত্বকের যত্ন নিতে পারি না। তাই আজকে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া ভাবে পুরো শরীর ফর্সা করার উপায়।

শসা: শসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকে রাখে ও কোমল। শসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অনেক ভালো কাজ করে। তিন টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। কাচের মুখবন্ধ পাএ মিশ্রণটি সংরক্ষণ করুন। দিনে কয়েকবার এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ মুছে নিন ,এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে ও ত্বককে কোমল রাখবে।

কলা: অল্প সময়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কলার কোন বিকল্প নেই। তার সাথে যদি চার টেবিল চামচ দুধ দিয়েএকটি কলা হাত দিয়ে চটকিয়ে নিতে হবে। তাহলে মিশ্রণটি তৈরি হবে যাবে। 15 থেকে 20 মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ,পেস্টটা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায়। তাহলে অনেক ভালো কাজ করবে।

মধু: মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ত্বক নরম রাখে ত্বকের বলিরেখা ও কালচে ভাব দূর করে। এছাড়াও ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে, কিন্তু মধু সবার স্কিনে সুট করে না। অয়েলি স্কিনে মধু মাখলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য যাদের অয়েলি স্কিন তাদের মধু মাখা উচিত নয়।যাদের নরমাল স্কিন তারা সরাসরি মধু মুখে লাগাতে পারেন ।কিন্তু বেশি ফলাফল পেতে হলে মধুর সাথে বিভিন্ন রকম উপকরণ মিক্স করতে পারেন যেমন দুধ, দই, কলা, পেপে, লেবুর ইত্যাদি এসবের যেকোন কিছু উপকরণ মিশিয়ে লাগাতে পারেন।

মসুর ডাল: মসুর ডাল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।এটা কম বেশি সবাই জানে,এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই ।মসুর ডাল নিয়ে কথা না বলাই ভালো এতে ত্বকের ক্ষতি হতেই পারেনা।মসুর ডাল বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে । ভেজা মসুর ডাল বেটে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । তারপরে পানি দিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। মুখে ডাল দিয়ে কথা না বলাই ভালো । মুখের ডাল শুকিয়ে যাওয়ার পর কথা বললে মুখের চামড়ায় চাপ লাগতে পারে।

পাতিলেবুর রসঃ পাতিলেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে অনেকেই ব্যবহার করেন। বাতি লেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু সরাসরি লেবুর রস ত্বকে লাগাবেন না। এর প্রভাবে ত্বকে তীব্র জ্বালাভাব ও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সরাসরি লেবুর রস না লাগিয়ে তার সাথে অন্য কিছু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। 

দুই চামচ লেবুর রসের সাথে দুই চামচ চিনি মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। চিনি গলে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ব্যবহার করার পর অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। পাতিলেবুর রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

সর্বশেষ লেখকের মন্তব্য ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়

ঘরোয়া ভাবে ত্বক উজ্জ্বল করতে আপনি আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিয়েছেন। আশা করছি উপরের নিয়ম গুলো ব্যবহার করে আপনি উপকৃত হবেন। আপনাকে ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আরো শিক্ষনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url