ত্বকে বরফ ঘষলে যা যা উপকার হয়

ত্বকে বরফ ঘষলে যা যা উপকার হয় আজকে আমরা সেই বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানব। বরফ ছোট থেকে বড় সবার কাছেই অতি পরিচিত একটা জিনিস। এই বরফ আমাদের ত্বকের নানা রকমের উপকার করে । তাই ত্বকে কিভাবে বরফ ব্যবহার করব সেটা জানতে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন।
ত্বকে-বরফ-ঘষলে-যা-যা-উপকার-হয়
ত্বকে বরফ ঘষলে যা যা উপকার হয় সেই সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেল। ত্বকে বরফ ব্যবহার করলে ত্বকের কি কি উপকার হবে সেই বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ত্বকে বরফ ঘষলে যা যা উপকার হয়

ভূমিকা

বরফ আমাদের সবার কাছেই অতি পরিচিত। আমাদের সবার বাড়িতেই কমবেশি ফ্রিজ রয়েছে। আর এই ফ্রিজেই পানি জমে বরফ তৈরি হয়। কিন্তু আমরা সচরাচর এই বরফ ব্যবহার করি না। তাই চাইলে আপনারা এই বরফ ব্যবহার করতে পারেন আবার পানি দিয়ে আলাদাভাবে বরফ তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়া বরফ কিভাবে তৈরি করব এবং কিভাবে ত্বকে ব্যবহার করব পাশাপাশি ত্বকে বরফ ঘষলে যা যা উপকার হয় সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুরোটা ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে নিচের গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুলে কি হয়

বরফ পানি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত ত্বক বরফ পানি দিয়ে ধুলে ত্বকের অনেক উপকার হয়। যাদের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক তারা বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের রুক্ষতা এবং শুষ্কতা দূর হবে।ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তারা নিয়মিত বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ত্বক গ্লো করবে। আমরা সারাদিন বাহিরে ঘোরাঘুরি করি। যার ফলে আমাদের ত্বকে অনেক ধুলোবালি জমে। 
যা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই বাহির থেকে বাসায় আসার পরে বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের অতিরিক্ত ধুলোবালি পরিষ্কার হবে। ফলে আমাদের ত্বক জীবাণুমুক্ত হবে এবং ত্বক সতেজ হয়ে উঠবে। এছাড়া যাদের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ হয় তারা চাইলে বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। কারণ বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখ জীবাণুমুক্ত হয় যার ফলে ব্রণের জীবাণু আমাদের ত্বকে বাসা বাধতে পারে না। অনেক কারণেই আমাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করে। 

ত্বকে জ্বালাপোড়া শুরু হলে বরফ পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিলে জ্বালা ভাব সাথে সাথে কমে যাবে। তাছাড়া যাদের ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ হয় তারা চাইলে নিয়মিত বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। তাহলে মুখের কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ অনেকাংশে কমে যাবে। বরফ পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের ত্বককে অনেক ফর্সা করে। 
বরফ পানি ত্বকে ক্ষতিকর রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে দেয় না। যার ফলে আমাদের ত্বক অনেক সুন্দর থাকে ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না। সুতরাং বরফ পানি দিয়ে মুখ ধুলে কি হয় তা আমরা উপরে লেখা থেকে স্পষ্ট ভাবে জানতে পারলাম।

প্রতিদিন বরফ মুখে দিলে কি কি উপকার হয়

প্রতিদিন বরফ মুখে দিলে চোখের চারপাশের ফোলা ভাব কমবে। ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। নিয়মিত মুখে বরফ দিলে ত্বকে কোনও র‌্যাস বের হতে পারে না।বরফ ত্বকের জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে এবং তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাকনের সমস্যা যাদের ত্বকে বেশি বেশি হয় তারা নিয়মিত মুখে বরফ দিলে অ্যাকনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মুখে বরফ দিলে সানবার্নের জ্বালাভাব কমে। গরমকালে ত্বকে নানা সমস্যা লেগেই থাকে।
ত্বকে-বরফ-ঘষলে-যা-যা-উপকার-হয়
রোদের তাপে ত্বক পুড়ে যায় মুখে টোন পরে তাই ত্বকে নিয়মিত বরফ দিলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ত্বকে জ্বালা ভাব ও চুলকানির মত সমস্যা বরফ দিলে দূর হয়। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন মুখে বরফ দিলে ত্বকের এই লাল ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাছাড়া যাদের ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণ হয় তারা প্রতিদিন বরফ মুখে দিলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
মুখে বরফ দিলে অতিরিক্ত ময়লা মুখে জমতে পারে না যার ফলে কোনরকম রোগ জীবাণু মুখে বাসা বাঁধতে পারে না এবং আমাদের ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগহীন থাকে। বরফ আমাদের ত্বক ফর্সা করে এবং ত্বককে সতেজ রাখে। ত্বকের চামড়া টানটান থাকে। ত্বকে কোনরকম বয়সের ছাপ বুঝতে দেয় না। প্রতিদিন মুখে বরফ দিলে যা যা উপকার হয় তা আমরা উপরের লেখা থেকে বুঝতে পারলাম।

কিভাবে মুখে বরফ ঘষতে হয়

বরফ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আমরা অনেকেই বরফের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত নই এবং ত্বকে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জানিনা। যদি জানতাম তাহলে আমরা অবশ্যই প্রতিদিন আমাদের ত্বকে বরফ ঘষতাম। বরফ মুখে ঘষার জন্য প্রথমেই পুরো মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর আপনার মুখ পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। 

এখন বরফ মুখে ঘষার জন্য একটি পরিষ্কার কাপড়ের ভিতরে কয়েকটি বরফের টুকরো ঢুকিয়ে ভালোভাবে কাপড়টি বেঁধে নিন। তারপর কাপড়ে বাঁধা বরফের টুকরো গুলো মুখের চারদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করুন। এভাবে পুরো মুখের উপরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দশ থেকে বারো মিনিট মাসাজ করুন। এভাবে বরফের টুকরো মুখের উপরে ঘসলে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যাবে এবং আমাদের ত্বক হবে অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বল। 

এছাড়া আমরা চাইলে সরাসরি বরফের টুকরো আমাদের হাতে নিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করতে পারব। এভাবে মাসাজ করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আরো ভালো ফলাফল পেতে আমরা কয়েক টুকরো বরফের সাথে অল্প পরিমাণে মধু ছিটিয়ে নিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করতে পারি। এভাবে বরফের টুকরো সাথে মধু মিশিয়ে নিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করলে মুখের উজ্জ্বলতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। আমাদের ত্বক হবে অনেক ফর্সা এবং ব্রণহীন। 

তাছাড়া ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে বরফের টুকরো সাথে অল্প পরিমাণে লেবুর রস এবং কিছুটা বেসনের মিক্স নিয়ে মুখের উপরে ভালোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করলে মুখের কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে। এভাবে নিয়ম করে মুখে বরফ ঘষলে আমাদের মুখের অনেক উপকার হবে এবং মুখে রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারবে না। তাই সর্বোত্তম ফলাফল পেতে মুখে কিভাবে বরফ ঘষতে হয় তা আমরা উপরের লেখাগুলো পড়ে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম।

প্রতিদিন মুখে কতবার বরফ ঘষা যায়

বরফ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। মুখে বরফ ঘষলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বক সতেজ থাকে। আমরা অনেকেই বরফের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত নই এবং ত্বকে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জানিনা। যদি জানতাম তাহলে আমরা অবশ্যই মুখে বরফ লাগাতাম। প্রতিদিন মুখে দুইবার বরফ লাগানো উচিত। সকালে এবং রাতে। কারণ সারারাত ঘুমিয়ে থাকার ফলে আমাদের মুখে অবাঞ্চিত অনেক ময়লা জমতে পারে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাদের উচিত বরফ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া। 

ঠিক তেমনই আমরা সারাদিন বাহিরে থাকি যার ফলে অনেক ধুলোবালি আমাদের মুখে জমে থাকে। তাই রাতে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই সর্বপ্রথমে আমাদের উচিত বরফ দিয়ে মুখের চারদিকে ভালোভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নেওয়া। না হলে আমাদের ত্বকের নানান রকম ক্ষতি হতে পারে। যেমন ব্রণ হতে পারে,মুখে কালো কালো দাগ হতে পারে, মুখে তৈলাক্ত ভাব হতে পারে, একনের সমস্যা হতে পারে, এমনকি আমাদের ত্বক জ্বালাও করতে পারে। 

তাই রাতে বরফ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলে এই সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। আর আপনারা তো জানেনই অতিরিক্ত যে কোন কিছুই আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সর্বোত্তম ফলাফল পেতে আমাদের উচিত প্রতিদিন দুইবার করে সকালে ও রাতে বরফ লাগানো। সুতরাং প্রতিদিন মুখে কতবার বরফ ঘষা যায় তা আমরা উপরের লেখাগুলোর মাধ্যমে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝতে ও জানতে পারলাম।

বরফ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার উপায়

বরফ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত বরফ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা। বরফ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা সব থেকে সহজ। কারণ আমাদের সবার বাড়িতেই বরফ পাওয়া যায়। যার জন্য আমাদের বাহিরে যেতে হয় না বা সংগ্রহ করতেও কোন ঝামেলা হয় না। আমরা অনেকেই বরফের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত নই এবং ত্বকে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জানিনা।
বরফ-দিয়ে-মুখ-পরিষ্কার-করার-উপায়
যদি জানতাম তাহলে আমরা অবশ্যই প্রতিদিন আমাদের মুখ পরিষ্কার করার জন্য বরফ ব্যবহার করতাম। বরফ মুখে ব্যবহার করার জন্য প্রথমেই পুরো মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর আপনার মুখ পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এখন বরফ মুখে ঘষার জন্য একটি পরিষ্কার কাপড়ের ভিতরে কয়েকটি বরফের টুকরো ঢুকিয়ে ভালোভাবে কাপড়টি বেঁধে নিন। তারপর কাপড়ে বাঁধা বরফের টুকরো গুলো মুখের চারদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করুন।

এভাবে পুরো মুখের উপরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দশ থেকে বারো মিনিট মাসাজ করুন। এভাবে বরফের টুকরো মুখের উপরে ঘসলে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যাবে এবং আমাদের ত্বক হবে অনেক সুন্দর ও উজ্জ্বল। এছাড়া আমরা চাইলে সরাসরি বরফের টুকরো আমাদের হাতে নিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করতে পারব। এভাবে মাসাজ করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এবং আমাদের মুখ পরিষ্কার হবে। 

আরো ভালো ফলাফল পেতে আমরা কয়েক টুকরো বরফের সাথে অল্প পরিমাণে মধু ছিটিয়ে নিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করতে পারি। এভাবে বরফের টুকরো সাথে মধু মিশিয়ে নিয়ে পুরো মুখে মাসাজ করলে মুখের উজ্জ্বলতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। আমাদের ত্বক হবে অনেক ফর্সা এবং ব্রণহীন। তাছাড়া ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে বরফের টুকরো সাথে অল্প পরিমাণে লেবুর রস এবং কিছুটা বেসনের মিক্স নিয়ে 

মুখের উপরে ভালোভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করলে মুখের কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে। এভাবে নিয়ম করে মুখে বরফ ঘষলে আমাদের মুখ পরিষ্কার হবে এবং মুখে রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারবে না। তাই সর্বোত্তম ফলাফল পেতে নিয়ম করে বরফ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। অতএব বরফ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার উপায় উপরের লেখার মাধ্যমে আমরা ভালোভাবে জানতে পারলাম।

মুখে বরফ দিলে কি ঘাম কমে

বরফ আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী একটি উপাদান। নিয়ম করে মুখে বরফ লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আমাদের অনেকের মুখ প্রচুর পরিমাণে ঘামে। যার ফলে একটা অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাই মুখ ঘামা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়ম করে প্রতিদিন মুখে বরফ লাগান। মুখে বরফ লাগালে ত্বক অনেক সতেজ হয়ে ওঠে এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে যায়। যার ফলে মুখ ঘামা অনেকাংশে কমে আসে। 

মুখে বরফ ঘষলে মুখের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে সহজেই মুখ ঘামে না। তাছাড়া নিয়মিত মুখে বরফ ব্যবহার করলে মুখের মাসেল সেলগুলো অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাই গরম লাগলে বা রোদে গেলেও মুখে ঘাম অনেক কম হয়। এছাড়াও মুখে বরফ ঘষলে মুখ ঠান্ডা থাকে। যার কারণে মুখে তেমন একটা ঘাম হয় না। তাই মুখ ঘামা সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে নিয়মিত মুখে বরফ ব্যবহার করুন। সুতরাং মুখে বরফ দিলে কি ঘাম কমে তা আমরা উপরে লেখা পড়ে ভালোভাবে জানতে পারলাম।

সকালে নাকি রাতে কখন বরফ ব্যবহার করা উচিত

বরফ আমাদের সবার কাছেই অতি পরিচিত একটি উপাদান। আমরা অনেকেই বরফের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানিনা। আমাদের মুখে বরফ লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ভালো ফলাফল পেতে সঠিক নিয়মে মুখে বরফ লাগানো উচিত। সকালে এবং রাতে এই দুই সময়েই মুখে বরফ ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন মুখে দুইবার বরফ লাগানো উচিত। সকালে এবং রাতে। কারণ সারারাত ঘুমিয়ে থাকার ফলে আমাদের মুখে অবাঞ্চিত অনেক ময়লা জমতে পারে। 

তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাদের উচিত বরফ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া। ঠিক তেমনই আমরা সারাদিন বাহিরে থাকি যার ফলে অনেক ধুলোবালি আমাদের মুখে জমে থাকে। তাই রাতে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই সর্বপ্রথমে আমাদের উচিত বরফ দিয়ে মুখের চারদিকে ভালোভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নেওয়া। না হলে আমাদের ত্বকের নানান রকম ক্ষতি হতে পারে। যেমন ব্রণ হতে পারে, মুখে কালো কালো দাগ হতে পারে, 

মুখে তৈলাক্ত ভাব হতে পারে, একনের সমস্যা হতে পারে, এমনকি আমাদের ত্বক জ্বালাও করতে পারে। তাই রাতে বরফ দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলে এই সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। আর আপনারা তো জানেনই অতিরিক্ত যে কোন কিছুই আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সর্বোত্তম ফলাফল পেতে আমাদের উচিত প্রতিদিন দুইবার করে সকালে ও রাতে বরফ লাগানো।

ত্বকে অতিরিক্ত বরফ ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হয়

আমরা সবাই জানি অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের জন্য ভালো নয়। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত বরফ ব্যবহার করাও আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বকে অতিরিক্ত বরফ ব্যবহার করলে আমাদের ঠান্ডা লাগতে পারে। অতিরিক্ত বরফ ব্যবহার করার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও যাদের হাঁপানি সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত বরফ ব্যবহার করলে তাদের হাঁপানি সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। 

ত্বকে অতিরিক্ত বরফ ঘষার ফলে ত্বকের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটা মসৃণ হয়ে যেতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ত্বকে রক্ত জমাট বাধার মতও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি আমাদের ত্বক চুলকাতে পারে এবং ত্বকে ঘামাচির মত এক ধরনের ছোট ছোট রেশের আবির্ভাব হতে পারে। তাই আমাদের সবার উচিত ত্বকে অতিরিক্ত বরফ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। 

একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে কোন গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে ত্বকে কোনরকম বরফ ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। কারণ কোন গর্ভবতী মহিলা ত্বকে বরফ ব্যবহার করলে পেটের ভিতরে বাচ্চার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। যার ফলে ডেলিভারির পরে বাচ্চার নিউমোনিয়ার মত সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা সকলে সঠিক নিয়ম জেনে নিয়মিত যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু বরফ আমাদের ত্বকে ব্যবহার করব। যাতে আমাদের কোন ক্ষতি না হয়।

সর্বশেষ লেখকের মন্তব্য ত্বকে বরফ ঘষলে যা যা উপকার হয়

উপরের গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ত্বকে কিভাবে বরফ ব্যবহার করব তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোপুরি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এইরকম আরো শিক্ষামূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url