চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায়

মেয়েদের সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে চুল। চুলই একটা মেয়ের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তোলে। তাইতো লম্বা ও ঘন চুল প্রত্যেকটা মেয়েরই স্বপ্ন। অনেকেই চুল সম্পর্কে খোঁজে খুঁজি করছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না, এজন্য আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
চুলের-সৌন্দর্য-বৃদ্ধির-রহস্যময়-২৫-টি-উপায়
প্রতিটি মেয়েই চায় তাদের চুল হোক ঘন ও রেশমের মত সুন্দর। রেশমের মতো চুল পেতে অনেক প্রাকৃতিক উপাদান দরকার। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায় এই বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময়  ২৫ টি উপায়

ভূমিকা

প্রতিটি মেয়েই চায় তাদের চুল হোক ঘন ও রেশমের মত সুন্দর। মেয়েদের সৌন্দর্যের কথা বলতে, গেলে প্রথমেই আসে চুল। চুলই একটা মেয়ের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তোলে। তাইতো লম্বা ও ঘন চুল প্রত্যেকটা মেয়েরই স্বপ্ন। আর এই রেশমের মত সুন্দর ও ঘন চুল পেতে হলে নিয়মিত চুলের পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা ঘরে বসেই লম্বা ও ঘন চুল পেতে পারি। কিন্তু তার জন্য আমাদের জানা দরকার ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি।
চুলের যত্নে সর্বদাই ঘরোয়া পদ্ধতি ও টোটকা সর্বোত্তম। বাজারে আমরা চুলের যত্নের জন্য যে সকল প্রোডাক্ট কিনি বা দেখতে পাই তার প্রায় শতভাগীই কেমিক্যাল যুক্ত। আর যেকোনো কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টটিই আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা চুলের যত্নে সর্বদাই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করব। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ২৫ টি উপায় নিচে আমরা ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্পূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে হলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
  • চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান
  • চুলের জন্য ভিটামিন ভালো হবে
  • কোন কোন পাতা চুলের জন্য উপকারী
  • চুল লম্বা করতে কোন খাবার খেতে হবে
  • চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান কোনটি
  • চুল পড়া বন্ধ করতে কোন ভিটামিন খেতে হবে
  • চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো
  • চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য কি করা উচিত
  • কোন দোয়া পড়ে তেল দিলে চুল পড়া কমে
  • চুল ভালো রাখার জন্য কি খাওয়া উচিত
  • চুলের জন্য উপকারী খাবার কি
  • চুলের জন্য উপকারী গাছ কোনটি
  • চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতার ব্যবহার
  • চুলের পুষ্টির যোগায় কোন ভিটামিন
  • চুলের জন্য কোন তেল ভালো
  • কি খেলে চুল পড়া কমবে
  • কি খেলে চুল গজাবে

চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্য এর ২৫ টি উপায় চুলের জন্য উপকারী ভেষজ উপাদান গুলো হল মেহেদী পাতা,নিম পাতা,আমলকি,অ্যালোভেরা,মেথি এগুলো উপাদান চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। সেই সাথে চুল পড়া কমায়। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং রেশমের মতো করে তোলে। এই জন্য ভেষজ উপাদান চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চুলের-সৌন্দর্য-বৃদ্ধির-রহস্যময়-২৫-টি-উপায়
আমরা নিয়মিত ভেষজ উপাদান ব্যবহার করব। পছন্দমত লম্বা ও ঘন রেশমের মতো চুল পেতে চাইলে নিচে বর্ণনা কৃত ঘরোয়া টোটকা গুলো অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহার করবেন। নিয়মিত টোটকা গুলো ব্যবহার করলে আপনার চুলও হবে সুন্দর ঘন ও রেশমের মত সিল্কি।

কোন কোন পাতা চুলের জন্য উপকারী

মেহেদি পাতাঃ আমাদের চুলের যত্নে মেহেদি পাতা সর্বোত্তম ঘরোয়া টোটকা। চুলের জন্য কোন ভিটামিন ভালো হবে, মেহেদি পাতা চুলে ব্যবহার করলে চুল হবে ঘন ও সুন্দর। প্রথমে আমাদেরকে গাছ থেকে মেহেদী পাতা সংগ্রহ করতে হবে। তারপর মেহেদি পাতাগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেবার পরে মেহেদী পাতার সুন্দর পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। মেহেদী পাতার পেস্ট চুলে ব্যবহার করার পূর্বে আমাদের চুলগুলো ভালোভাবে পানি দ্বারা পরিষ্কার করে নিতে হবে। চুল পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেবার পরে শুকনো গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।
এবার শুকনো চুলে মেহেদি পাতার পেস্ট ভালোভাবে চুলের গোড়া অব্দি লাগিয়ে দিতে হবে। এভাবে পুরো মাথায় মেহেদি পাতার পেস্ট লাগিয়ে দেবার পরে মেহেদি পাতার পেস্ট চুলে শুকিয়ে যাবার পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে যাবার পরে আমাদের চুলগুলো ভালোভাবে শ্যাম্পু দ্বারা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ধুয়ে নেবার পরেই লক্ষ্য করবেন চুলগুলো কত সুন্দর হয়ে গেছে।এভাবে নিয়মিত মেহেদী পাতার পেস্ট চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া হবে শক্ত এবং চুল হবে মজবুত ।

অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা বলা হয় চুলের প্রাকৃতিক ও ভেষজ মেডিসিন। চুলের যত্নে অ্যালোভেরাই সেরা। বাজারে অ্যালোভেরা সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। প্রথমেই আমাদের অ্যালোভেরা গুলোকে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর অ্যালোভেরা গুলোকে কেটে ভিতর থেকে নরম জেলি গুলো বের করে আনতে হবে এবং খুব ভালোভাবে অ্যালোভেরা গুলোর পেস্ট তৈরি করতে হবে।

পেস্ট তৈরি করার পরে আমাদের চুলে ভালোভাবে পেস্টগুলো লাগিয়ে নিতে হবে। লাগিয়ে নেবার পরে পেস্ট শুকিয়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপরেই লক্ষ্য করবেন চুল কত সুন্দর ও সিল্কি হয়ে গেছে। এভাবে নিয়মিত অ্যালোভেরার পেস্ট সপ্তাহে দুই দিন চুলে ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যাবে।
জবা ফুলঃ চুলের যত্নে জবা ফুলের জুড়ি মেলা ভার। জবা ফুল আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই পাওয়া যায়। প্রথমেই আমাদের বেশ কিছু জবা ফুল সংগ্রহ করতে হবে। জবা ফুলগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর জবা ফুল গুলোর ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের চুলে ভালোভাবে পেস্ট লাগিয়ে নিতে হবে।

অনেকটা সময় চুলে পেস্ট লাগিয়ে রাখার পরে পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। চুল ধুয়ে নেবার পরেই লক্ষ্য করবেন চুলগুলো অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। এভাবে প্রতি এক সপ্তাহে অন্তত একবার করে জবা ফুলের পেস্ট চুলে ব্যবহার করতে হবে।

পেঁয়াজঃ পেয়াজ চুলের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করলে চুল অনেক ঘন ও মজবুত হয়। পেঁয়াজের রসের সাথে মিক্স করে নিতে হবে অ্যালোভেরা ও নারিকেলের তেল। প্রথমেই আমাদের কিছু পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে। তারপরে পেঁয়াজগুলো কুচি কুচি করে কেটে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেঁয়াজের পেস্ট এর সাথে অল্প পরিমাণে নারিকেলের তেল মিক্স করে নিতে হবে।

তার সাথে দিতে হবে সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেলি। এই তিনটি উপাদান একসাথে মিক্স করে আমাদের চুলে লাগাতে হবে। এভাবেই ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট চুলের লাগিয়ে রাখতে হবে।তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার পেঁয়াজের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং কোকড়ানো ও জড়ানো চুল সোজা হবে। পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে।

নিম পাতা,কারি পাতা এবং ডিমঃ নিমপাতা কে বলা হয় স্কিনের জন্য মহা ঔষধ। যে কোন প্রকার স্কিনের জন্য নিম পাতা অনেক ভালো কাজ করে থাকে। পাশাপাশি চুলের জন্য নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী। গাছ থেকে নিম পাতা সংগ্রহ করে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার নিম পাতার পেস্ট হয়ে গেলে তা আমরা একটা বাটিতে সংগ্রহ করবো। তারপর বেশ কিছু কারি পাতার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।

এবার নিম পাতার পেস্ট এর সাথে কারি পাতার পেস্ট ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। কারি পাতা ও নিম পাতা ভালোভাবে মিশিয়ে নেবার পরে একটা ডিম ভেঙে দিতে হবে। তারপরে ডিম কারিপাতা ও নিম পাতা এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে আমাদের চুলে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই দিন নিম পাতা, কারিপাতা এবং ডিমের সমিশ্রণে তৈরি পেস্ট চুলে ব্যবহার করলে চুল অনেক ঘন হবে, চুল পড়া কমবে, পাশাপাশি চুল অনেক কালো হবে।

কালোজিরা,নারিকেল তেল,মেথি এবং আমলকিঃ চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায়কালোজিরা,নারিকেল তেল,মেথি এবং আমলকি এই চারটি উপাদান আমাদের চুলের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে চুলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। চুলের যত্নে এই চারটি উপাদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব নয়। প্রথমেই আমাদেরকে এই চারটি উপাদান সংগ্রহ করতে হবে।

তারপরে কালোজিরা, মেথি এবং আমলকির পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই তিনটি উপাদানের পেস্ট তৈরি করার পরে প্রয়োজনমতো নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এখন এই চারটি উপাদান একসঙ্গে মিক্স করে নিতে হবে। তারপরে আমাদের চুল পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পরে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপরে উক্ত চারটি উপাদানের মিক্স চুলের গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে বেশ কিছু সময় রাখতে হবে।

চুলের যত্নের জন্য এই পদ্ধতি অন্তত ১০ দিনে একবার ব্যবহার করা উচিত। এভাবে নিয়ম মেনে সঠিকভাবে এই পেস্টটি চুলে ব্যবহার করলে চুল আগের থেকে অনেক লম্বা হবে পাশাপাশি চুল অনেক ঘন হবে এবং চুলের গোড়া আগের থেকে অনেক শক্ত হবে চুল পড়া কমে যাবে। চুলের জন্য কোন তেল ভালো,চুলের জন্য সবচেয়ে অর্গানিক হলো নারিকেলের তেল যেটা প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি করা হয়।

তাছাড়াও ঘরোয়া ভাবে চুলের তেল তৈরি করা যায় চুলের জন্য চুলের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তেল তৈরি করা হয়। সেই তেল দিয়ে দিলে চুল পড়া কমে, এবং চুল গজায় ঘন ও মজবুত হয়। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চুলরেশমের মত সুন্দর হয়। আরো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেল প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা যায়।

কোন দোয়া পড়ে তেল দিলে চুল পড়া কমে

চুল পড়া কমানোর একটি কার্যকারী দোয়া আছে। বিসমিল্লাহ বলে দোয়াটি পড়লে চুল পড়া কমবে ইনশাল্লাহ।কিন্তু আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে তাহলে ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

দোয়াটি হলোঃ ”মুসাল্লামা তুল্লা শিয়াতা ফি হা”। পরিমাপ মতো তেল নিয়ে দোয়াটি পড়ে তিনবার ফু দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে মাথায় মেসেজ করে লাগিয়ে নিন ইনশাআল্লাহ ফলাফল পাবেন ।

চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য কি করা উচিত

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায় মেহেদি পাতা ,অ্যালোভেরা ,জবা ফুল ,পেয়াজ , নিম পাতা, কারি পাতা ,নারিকেলের তেল, কালোজিরা, ডিম পালং শাক, আমাদের চুলের যত্নে মেহেদি পাতা সর্বোত্তম ঘরোয়া টোটকা। মেহেদি পাতা চুলে ব্যবহার করলে চুল হবে ঘন ও সুন্দর। প্রথমে আমাদেরকে গাছ থেকে মেহেদী পাতা সংগ্রহ করতে হবে। তারপর মেহেদি পাতাগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেবার পরে মেহেদী পাতার সুন্দর পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। 
চুলের-সৌন্দর্য-বৃদ্ধির-রহস্যময়-২৫-টি-উপায়
মেহেদী পাতার পেস্ট চুলে ব্যবহার করার পূর্বে আমাদের চুলগুলো ভালোভাবে পানি দ্বারা পরিষ্কার করে নিতে হবে। চুল পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেবার পরে শুকনো গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। এবার শুকনো চুলে মেহেদি পাতার পেস্ট ভালোভাবে চুলের গোড়া অব্দি লাগিয়ে দিতে হবে। এভাবে পুরো মাথায় মেহেদি পাতার পেস্ট লাগিয়ে দেবার পরে মেহেদি পাতার পেস্ট চুলে শুকিয়ে যাবার পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে যাবার পরে আমাদের চুলগুলো ভালোভাবে শ্যাম্পু দ্বারা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায় অ্যালোভেরা বলা হয় চুলের প্রাকৃতিক ও ভেষজ মেডিসিন। চুলের যত্নে অ্যালোভেরাই সেরা। বাজারে অ্যালোভেরা সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। প্রথমেই আমাদের অ্যালোভেরা গুলোকে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর অ্যালোভেরা গুলোকে কেটে ভিতর থেকে নরম জেলি গুলো বের করে আনতে হবে এবং খুব ভালোভাবে অ্যালোভেরা গুলোর পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্ট তৈরি করার পরে আমাদের চুলে ভালোভাবে পেস্টগুলো লাগিয়ে নিতে হবে। চুলের যত্নে জবা ফুলের জুড়ি মেলা ভার। 

জবা ফুল আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই পাওয়া যায়। প্রথমেই আমাদের বেশ কিছু জবা ফুল সংগ্রহ করতে হবে। জবা ফুলগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর জবা ফুল গুলোর ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের চুলে ভালোভাবে পেস্ট লাগিয়ে নিতে হবে। অনেকটা সময় চুলে পেস্ট লাগিয়ে রাখার পরে পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায় পেয়াজ চুলের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করলে চুল অনেক ঘন ও মজবুত হয়। 

পেঁয়াজের রসের সাথে মিক্স করে নিতে হবে অ্যালোভেরা ও নারিকেলের তেল। প্রথমেই আমাদের কিছু পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে। তারপরে পেঁয়াজগুলো কুচি কুচি করে কেটে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেঁয়াজের পেস্ট এর সাথে অল্প পরিমাণে নারিকেলের তেল মিক্স করে নিতে হবে। তার সাথে দিতে হবে সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেলি। এই তিনটি উপাদান একসাথে মিক্স করে আমাদের চুলে লাগাতে হবে। এভাবেই ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট চুলের লাগিয়ে রাখতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করতে কোন ভিটামিন খেতে হবে

চুলের পুষ্টির জন্য ভিটামিন ই,ভিটামিন ডি,ভিটামিন এ যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায় চুলের জন্য আমাদের নাগালের মধ্যেই অনেক খাবার আছে। যেমন পুইশাক, পালংশাক, লাউ, কুমড়ো, ডিম, গাজর ,ডাল, সামুদ্রিক মাছ,হাঁস মুরগির মাংস, পাকা টমেটো, আমলকি ,ক্যাপসিকাম, বাদাম, আখরোট, লেবু, পেয়ারা, পেঁপে ও কমলালেবু নাশপাতি,মিষ্টিআলু, অ্যালোভেরা,পনির,দুধ জাতীয় খাবার এগুলো সবই আমাদের চুলের জন্য প্রয়োজনীয় বা উপকারী। এই খাবার গুলো খেলে চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।

চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে তেলাকুচার পাতা রস মাথায় লাগালে শক্ত ও মজবুত হয় চুল পড়া কমায় ঘন ও মজবুত হয় ।চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায কালোজিরা, নারিকেল তেল ,মেথি এবং আমলকি এই চারটি উপাদান আমাদের চুলের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে চুলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। চুলের যত্নে এই চারটি উপাদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব নয়। প্রথমেই আমাদেরকে এই চারটি উপাদান সংগ্রহ করতে হবে। তারপরে কালোজিরা, মেথি এবং আমলকির পেস্ট তৈরি করতে হবে। 

এই তিনটি উপাদানের পেস্ট তৈরি করার পরে প্রয়োজনমতো নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এখন এই চারটি উপাদান একসঙ্গে মিক্স করে নিতে হবে। তারপরে আমাদের চুল পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পরে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপরে উক্ত চারটি উপাদানের মিক্স চুলের গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে বেশ কিছু সময় রাখতে হবে। চুলের যত্নের জন্য এই পদ্ধতি অন্তত ১০ দিনে একবার ব্যবহার করা উচিত।

লেখকের মন্তব্য চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায়

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির রহস্যময় ২৫ টি উপায় উপরের যে ঘরোয়া টোটকা গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তা যদি আমরা সঠিকভাবে নিয়মিত নিয়ম মেনে এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করি তাহলে আশা করি আমরা চুলের নানারকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো। আর সব থেকে বড় কথা এগুলো ব্যবহারে কোন প্রকার সাইড এফেক্ট নেই। কারণ এগুলো সম্পূর্ণ অর্গানিক উপাদান। যা আমরা খুব সহজেই প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করতে পারব। 

আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা সবাই উপকৃত হবেন। এমন আরো শিক্ষণীয় এবং স্বাস্থ্য সচেতন মূলক আর্টিকেল করতে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ দীর্ঘ সময় ধরে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url