ঘরোয়া ভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় বা প্রতিকার বিস্তারিত জানুন

ঘরোয়া ভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হলো ডায়াবেটিস হবার আসল কারণ হলো আমরা অলস শরীরের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। এতে করে স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।



ডায়াবেটিস নিয়ে এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরেই আতঙ্ক রয়েছে। এমনকি নবজাতক শিশু ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এইজন্য ডায়াবেটিস নিরাময় করতে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। আরো বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন।

ভূমিকা

ডায়াবেটিস একটি পরিচিত রোগ বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষের ডায়াবেটিস রয়েছে।ঘরোয়া ভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হলো , ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার হলো ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যে রোগ ৪০ শতাংশ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। এ ছাড়াও যারা বেঁচে আছে তাদের শখ আলাদ বলে কিছুই নেই ,

নিয়মিত খাবার খেতে হবে। খাবারের রুটিন মেনে খেতে হবে সময় মত ইনসুলিন নিতে হবে, অনেক মানুষ এর ক্ষেত্রে আলাদা ডাক্তারা বলেছে তাদের নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

সকালে এক গ্লাস নিম পাতার রস খেতে হবে নিয়মিত, এটা খেলে রক্তের ব্লাড প্রেসার কমায়। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার কি

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা এখন ঘরে ঘরে রয়েছে। ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার এই রোগে ছোট বড় নেই এমনকি নবজাতক শিশু ও ডায়াবেটিস হচ্ছে। ডায়াবেটিস হওয়ার যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ও পিপাসা লাগা দুর্বল লাগা ও মাথা ঘুরানো। 

মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া শরীরের কোন জায়গায় খত বা কাটা ছেঁড়া হলে দীর্ঘদিন ও সেটা না সাড়া। সময়ের খাবার সময় মতো না খেলে শরীরের রক্তে শর্করা কমে যায় এতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সময়মতো খাবার খাওয়া উচিত। 

কোন কারণ ছাড়াই ওজনে কমে যায়। এটাও ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ। ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দেয়, এতে চোখের সমস্যা হয়, সবকিছুতে বিরক্ত লাগে মেজাজ হয়ে ওঠে। চুলকানির ভাব হয় চামড়া শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়।এছাড়াও যাদের গোষ্ঠীগত

মা বাবা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজনদের এই রোগ রয়েছে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হতে পারে মা এবং শিশুর। যাদের রক্তের কোলেস্টেরল বেশি উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের এই রোগী আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ডায়াবেটিস থেকে প্রতিকার হওয়ার উপায়ঃ ঘরোয়াভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের নিয়মিত শরীরচর্চা ব্যায়াম করতে হবে। খাবার সঠিক সময় নিয়মিত খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। 

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত নিম পাতার রস খেতে হবে এতে রক্তের কোলেস্টেরল পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। আর যাদের এই উপরের এ লক্ষণগুলো দেখা দিবে অতি দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেভাবে ওষুধ সেবন করলে ডায়াবেটিস নিরাময় সম্ভব।

ঘরোয়াভাবে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার হলো ঘরোয়া ভাবে ডায়াবেটিস কমানো যায়। আমরা সবাই জানি ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ। অনেকের ধারণা যে এই রোগ হলে মৃত্যু অনিবার্য , এটা কিন্তু ভুল ধারণা ডায়াবেটিস অল্প হলে অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করলে নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

এবং যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি তারাও খাবার রুটিন করে খেতে হবে মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার্য করতে হবে, প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস নিম পাতার রস খেতে হবে ।এবং শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করতে হবে। রেগুলার নিয়মিত এগুলো করলে ডায়াবেটিস কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। 

এবং প্রত্যেক মাসে মাসে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এবং ডাক্তার যে নিয়ম অনুযায়ী চলতে বলে সেটা ফলো করতে হবে। এভাবে চললে ধরো ভাবি ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব।

কি খেলে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরময় করতেন যেসব খাবার খেতে হবে ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় করতে অনেকগুলো উপকরণ রয়েছে এই উপকরণগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের শক্তিশালী উপাদান গবেষণা করে দেখার গেছে যে ফাইটোস্ট্যারলসের অ্যান্টিহাইপার গ্লাইসেমিক প্রভাব রয়েছে যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী উপাদান এর সাথে তেজপাতা, হলুদ, অ্যালোভেরা, জেল সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুইবার থেকে তিনবার পান করুন।

ডুমুরঃ গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান হল ডুমুর ডুমুরের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হয়বার রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে ডুমুরে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান। যা ডায়বেটিস প্রতিরোধ করতে পারে। গবেষণা দেখা গিয়েছে যে ডুমুর পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধে উন্নতিতে ও উপকারী ঔষধ।

করলাঃ আমরা তো সবাই জানি যে করলা ডায়াবেটিসের জন্য কতটা উপকারী উপাদান। করলা ইনসুলিনের নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। করলাতে রয়েছে রক্তের গ্লকোজের মাত্রা কমাতে পারে। এইজন্য সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিনটি করলার নিয়ে বীজ বের করে। করলা রস করে খেতে হবে।

নয়নতারা উদ্ভিদঃ আমরা হয়তো অনেকেই নয়নতারা উদ্ভিদ সম্পর্কে জানি না কিন্তু এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা ডায়াবেটিসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নয়নতারা গাছের ফুল ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে শুকাতে হবে এবং ১ থেকে ২ গ্রাম এক কাপ পানি নিয়ে সারা ভিজিয়ে রাখুন 

সকালে পানি টা সেকে ফুটিয়ে নিন, ওই পানি সকালে কিংবা রাতে সমান ভাবে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস অনেক কমে যায় কয়েকদিনের মধ্যেই ঘন ঘন প্রসব হওয়া বন্ধ হবে। এবং ডায়াবেটিস অনেক কমে যাবে।

দারচিনিঃ যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য দারচিনি খুব উপকারী। এটি ইনসুলিন উপাদানের প্রক্রিয়া উদ্দীপ্ত করে। রক্তের সুগার লেভেল কমায়, দারচিনি গুড়োর চা খেলে ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব।

চর্বিযুক্ত মাছঃ চর্বিযুক্ত মাছের তালিকায় রয়েছে স্যালমন, হেরিং ইত্যাদি। এসব মাছ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত এই মাছ খেলে হৃদরোগে কমে ,এ মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ব ফ্যাটি এসিড এই মাছগুলো খাদ্য তালিকা থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

মেথিঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো একটি প্রতিকার হচ্ছে মেথি। ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ মেথির বীজ এক মগ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত সকালে ওই পানি পান করুন। তাছাড়াও মেথি রয়েছে ফাইবার যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করে।

পেঁয়াজঃ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। পেঁয়াজ রক্তের শর্করা ৬০ শতাংশ কমাতে পারে। পেঁয়াজে নির্যাস অ্যালিয়াম সিপা যা ডায়বেটিস কে অনেক অংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা অনেকেই জানিনা পেঁয়াজের ব্যবহার ডায়াবেটিসে করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য জিনিস। ডায়াবেটিস কমাতে কার্যকরী উপাদান হলো পেঁয়াজ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চাঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের করতে শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই। সকালে উঠেই এক মগ পানি খেয়ে শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়

ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে অতিরিক্ত তৃষা প্রায় কিছুক্ষণ পর পর মুখ শুকিয়ে আসে, ঘন ঘন পেশাব হয় শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি চোখে ঝাপসা দেখায় ,ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা এখন ঘরে ঘরে রয়েছে। ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার এই রোগে ছোট বড় নেই এমনকি নবজাতক শিশু ও ডায়াবেটিস হচ্ছে। ডায়াবেটিস হওয়ার যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন। 

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ও পিপাসা লাগা দুর্বল লাগা ও মাথা ঘুরানো। মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া শরীরের কোন জায়গায় খত বা কাটা ছেঁড়া হলে দীর্ঘদিন ও সেটা না সাড়া। সময়ের খাবার সময় মতো না খেলে শরীরের রক্তে শর্করা কমে যায় এতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সময়মতো খাবার খাওয়া উচিত। কোন কারণ ছাড়াই ওজনে কমে যায়। 

এটাও ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ। ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দেয়, এতে চোখের সমস্যা হয়, সবকিছুতে বিরক্ত লাগে মেজাজ হয়ে ওঠে। চুলকানির ভাব হয় চামড়া শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। এছাড়াও যাদের গোষ্ঠীগত মা বাবা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজনদের এই রোগ রয়েছে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা

ডায়াবেটিস হলে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা ভাত , আলু, খাওয়া যাবেনা ।খাদ্য তালিকা শাকসবজি ফল রাখতে হবে। মিষ্টি এবং চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা এতে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রুটিন মেনে খাবার খেতে হবে এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় কি

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই সব খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।করলা আমরা তো সবাই জানি যে করলা ডায়াবেটিসের জন্য কতটা উপকারী উপাদান। করলা ইনসুলিনের নিঃসরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। করলাতে রয়েছে রক্তের গ্লকোজের মাত্রা কমাতে পারে। এইজন্য সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিনটি করলার নিয়ে বীজ বের করে। করলা রস করে খেতে হবে।

মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো একটি প্রতিকার হচ্ছে মেথি। ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ মেথির বীজ এক মগ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত সকালে ওই পানি পান করুন। তাছাড়াও মেথি রয়েছে ফাইবার যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের করতে শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই। সকালে উঠেই এক মগ পানি খেয়ে শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সর্বশেষ: ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। ডায়াবেটিস হয় শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির অভাবে, রক্তের গ্লকোজের মাত্রা দীর্ঘ সময় বেশি থাকে, তখনই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়, ডায়াবেটিস থেকে নিরময় পেতে আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। এবং উপকৃত হবে এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাকে ফলো করতে পারেন ।এবং কি কি বিষয় আর্টিকেল চাচ্ছেন কমেন্টে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url