কাঁঠাল খেলে কি হয় কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা জানেন না। কিন্তু আমরা কমবেশি সবাই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করি।কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল, কাঁঠাল একটি বহু গুণ সম্পূর্ণ কারী ফল, কাঁঠাল খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে। কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কাঁঠাল শব্দটি খুবই পরিচিত, গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে কাঁঠাল গাছ আছে। কাঁঠাল গাছের পরিচর্য করলে, কাঁঠালের ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। কাঁঠাল অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হতে পারে, কাঁঠাল বহুগুণ পুষ্টি সম্পূর্ণ কারী ফল। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেলে এমনকি মৃত্যু হবার সম্ভাবনা রয়েছে। নিয়ম মেনে কাঁঠাল খেলে ওজন কমে, কাঁঠাল খেলে চর্বির পরিমান কমে, নিয়ম মেনে কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎসাহ বৃদ্ধি করে।
কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের সমস্যা দূর করে। এবং কাঁঠালের ভিটামিন সি এর উপাদান রয়েছে। কাঁঠালে অন্যতম বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এর উপাদান রয়েছে যা আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ সক্ষম। কাঁঠাল খাওয়ার আরো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কাঁঠালের কি কি পুষ্টি গুন আছে
কাঁঠালে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন,জিঙ্ক,থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন সহ আরো বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিগুণ উপাদান। অন্যদিকে রয়েছে কাঁঠালে ভিটামিন এ ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন এ চোখের সমস্যা দূর করে, ভিটামিন সি ত্বককে ভালো রাখে। এবং প্রচুর পরিমাণ আমিষ ও শর্করা যা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কাঁঠাল খেলে চর্বি কমে, এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁঠাল খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমায়, পাশাপাশি কাঁঠাল আমাদের ভিটামিন ও মিনারেল চাহিদা পূরণ করে। কাঁঠালে রয়েছে ফাইবারের উৎস। কাঁঠাল খেলে দাঁত মজবুত হয়, আর হাড়ের গঠন ভালো হয়। শুধু কাঁঠালেই পুষ্টি গুন আছে এমন নয়, কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধি।
কাঁঠালের বিচিতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ থায়ামিন এবং ভিটামিন বি যা শরীরের শক্তি সঞ্চয়ের পাশাপাশি মস্তিষ্ক ,হৃদযন্র, মাংসপেশি রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। কাঁঠাল হলো গ্রীষ্মকালীন ফল যা নারী পুরুষ সবার জন্যই উপকারী একটি ফল। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল।
খালি পেটে কাঁঠাল খেলে কি হয়
কোনো ফল খালি পেটে না খাওয়াই ভালো কারণ হলো ফলে এসিড এর পরিমাণটা বেশি থাকে এতে গ্যাস হয় এবং খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। কিন্তু কাঁঠালের বিষয় আলাদা আপনি চাইলে যেকোনো সময় কাঁঠাল খেতে পারেন। কাঁঠাল খাওয়ার কোন তেমন কোনো নিয়ম নেই। গ্রীষ্মকাল মানে নানা ফলের সমাহার আম কাঁঠাল জাম লিচু এর সুবাস চারিদিকে।
আর কাঁঠালের রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধি। কাঁঠাল খেলে ওজন কমে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, গ্যাসের প্রকোপ কমায়, পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, হাতের হাডের হার্টের ক্ষমতা ভালো রাখে, রক্তে শর্করা মাত্রা ঠিক রাখে, ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণ ঠিক রাখে।
ওজন কমায়ঃ যে কোন ফল ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কাঁঠাল ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে, যারা ওজন নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন আর চিন্তা নয় প্রতিদিন সকালের নাস্তায় বা খাবারে ফল রাখুন ফল খেলে শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দিন দিন মেদ ঝরে ওজন কমে। এইজন্য প্রতিদিন সকালে খাবার রুটিনে বিভিন্ন রকম ফল রাখুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে শরীর সবসময় অসুস্থ ফিল হয়। এইজন্য খাবারে বিভিন্ন রকম ফল এবং ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ডি ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। বিভিন্ন ধরনের ফলে এগুলো রয়েছে যেমন আম জাম কাঁঠাল লিচু ইত্যাদি। সকালের ব্রেকফাস্টে ফল খাওয়ার রুটিন তৈরি করুন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে সুস্থ সবল রাখবে।
শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। ফলের মত এত পুষ্টি গুণ অন্য কোন খাবারে নেই এই জন্য নিয়মিত ফল খান বিশেষ করে সকালে ব্রেকফাস্টে ফল খেলে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
গ্যাসের পকোপ কমায়ঃ মানবদেহে গ্যাস একটি কমন রোগ যা ৯৯ শতাংশ মানুষের শরীরে গ্যাস আছে। গ্যাস হওয়ার কারণ হলো নিয়মিত খাবার না খাওয়া পানি না খাওয়া, এইজন্য সকালের খাবারে বিভিন্ন রকম ফল খেলে, সকালে খাবার নিয়মিত খাওয়া হলো এবং শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পুষ্টিকর আবার খাওয়া হলো এতে গ্যাস হবে না শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এই জন্য গ্যাস কমাতে সকালের খাবারে কিছু ফল নিয়মিত ফল খাবেন।
ভিটামিন ও মিনারেলঃ আমরা যে নিয়মিত খাবার খাই তার মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে না। কিন্তু ফল খেলে আমরা ভিটামিন ও মিনারেল অভাব পূরণ হয়। এই জন্য ফল খেলে শরীর কাজে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সব রকম ভিটামিন চাহিদা পূরণ হয়।
রক্তের শর্করা মাত্রা ঠিক রাখতেঃ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খাওয়া উচিত এতে রক্তের শর্করা মাত্রা ঠিক রাখে শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখে। যা কাঁঠাল পেয়ে যাবেন, বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্নকারী ফল হলো কাঁঠাল। কাঁঠাল খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা ঠিক রাখে, এবং বিভিন্ন ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করে।
কাঁঠাল খেয়ে ভুলে ও যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয়।
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিকা যেমন রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে কাঁঠাল খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। খাওয়ার পর দুধ খাওয়া যাবেনা, এতে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পরে পেঁপে খেলে শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেট খারাপ হতে পারে। কাঁঠাল ও ভেন্ডি বা ঢেঁড়স একসাথে খাওয়া উচিত নয় এতে পায়ের ব্যথা হতে পারে।
এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে বাতের ব্যথা হতে পারে। পেট ব্যথা ও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কাঁঠাল ও মধু একসাথে খাওয়া উচিত নয়। এত শরীরের সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এইজন্য কাঠাল ও মধু একসাথে খাওয়া উচিত নয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা পরিমাপমতো কাঁঠাল খেতে পারেন। কাঁঠাল খাওয়ার পরে পান খেলে মৃত্যু হতে পারে ।
এই জন্য কাঁঠাল এবং পান একসাথে খাওয়া উচিত নয়, আগে বা পরে ও না। কাঁঠাল খাওয়ার পরে অ্যালকোহল যুক্ত খাবার উচিত নয়। যেমন কোকাকোলা সেভেন আপ পান আপ ইত্যাদি। এতে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে , যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কাঁঠাল খাওয়ার পরে এগুলো খাবার বর্জন করুন।
কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি
পাকা কাঁঠাল খেলে যে উপকার মেলে তেমনি কাঁচা কাঁঠালের রয়েছেন বহু পুষ্টিগুণ। কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেলে এটি একটি আঁশযুক্ত খাবার যার অপর নাম ডায়াটারি ফাইবার। আঁশযুক্ত খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এতে কোষ্ঠকাঠিন্য ঝুঁকি কমায়। কাঁঠালেও রয়েছে ভিটামিন এ যা রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এবং ভিটামিন সি ও রয়েছে যা ত্বককে ভালো রাখে।
কাঁচা কাঁঠাল শরীরের জন্য খুব উপকারী। কাঁঠালের রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন বি ১ বি ২, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম নানা রকমের উপাদান রয়েছে কাঁচা কাঁঠালে। কাচা কাঁঠাল খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি পায় । তরুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়, চর্মরোগ প্রতিরোধের কাজ করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁচা কাঁঠাল খেতে পারেন। কারণ এখানে মিষ্টি পরিমাণ একেবারেই নেই পাকা কাঠালে মিষ্টি পরিমাণ বেশি থাকে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের খেলে ক্ষতি হয়, এজন্য কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেলে শরীরের জন্য উপকারী।
কাঁঠালের বিচিতে কত ক্যালরি রয়েছে
কাঁঠাল খেতে যেমন মজা তেমনি কাঁঠালের বিচি খেতেও অনেক মজা ও সুস্বাদু এবং পুষ্টিতে ভরপুর। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল অ্যান্টিঅক্সাইড প্রত্যেকটা বিচিতে ২৮ গ্রাম ক্যালরি রয়েছে। যা আমাদের শরীরের অনেক চাহিদা পূরণ করে। কাঁঠালের বিচি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং ডি এন এর ড্যামেজ রিপেয়ার করে।
কাঁঠালের বিচি ক্যান্সার যুক্ত রক্তনালির গঠন ৬১ শতাংশ হ্রাস করে। একটি টেস্ট টিউব সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। কাঁঠালের বিচি অন্যান্য ফলের মতোই দ্রবনীয় ও অদ্রনীয় উভয় ফাইবার থাকে। এ ফাইবার খেয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলো বেঁচে থাকে। অন্ত কোষগুলো বিশেষ পুষ্টি সরবরাহ করে, সুস্থ হজম ব্যবস্থা বজায় রাখে।
অনেক গবেষণা করে দেখা গিয়েছেন এমন খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলে। এজন্য কাঁঠালের বিচি বেশি বেশি খেতে পারেন। এতে রয়েছে বহু পুষ্টি গুণের সমাহার যা শরীরকে সুস্থ সবল রাখে। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। কাঁঠাল খাওয়ার ও উপকারিতা হয়েছে, এবং বিচিতেও পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধি রয়েছে।
কাঁঠালের বিচি খাওয়ার অপকারিতা
মানবদেহের জন্য কোন কিছুই বেশি ভালো না, এতে শরীরের অনেক ক্ষতি করে। তেমনি কাঁঠালের বিচি বেশি পরিমাণ খেলে পেট ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এতে খাবার হজম হয় না। বুক ব্যথা পা জ্বালা করতে পারে। যারা ওজন কমাতে চান তারা কাঁঠালের বিচি এড়িয়ে চলুন। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি আছে যা ওজন বৃদ্ধি করে।
কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার উপায়
কাঁঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা সবাই জানে, বহুগুণ পুষ্টি সম্পন্ন কাঠালের বিচি, এইজন্য সবাই কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করতে চায়। কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার দুইটা উপায় রয়েছে। এই দুই নিয়মে কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করলে বিচি অনেকদিন ভালো থাকবে। স্বাদ একই রকম থাকবে।
কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার প্রথম ধাপঃ কাঁঠাল হলো সিজনাল ফল এটা শুধু সিজনে পাওয়া যায়।এজন্য কাঁঠালের বিচি আমরা অনেকে খেতে পছন্দ করি। কিন্তু সংরক্ষণ করার সঠিক নিয়ম জানি না, এজন্য পরে আর খাওয়া হয় না, আর নয় চিন্তা আপনি চাইলে এখন সারা বছর বিচি সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন। প্রথমে কাঁঠাল খাওয়ার পরে যে বিচি থাকে বিচিতে কোনো পানি দেওয়া যাবে না। খাওয়ার পরে ওই বিচি একটি মাটির পাত্রে পরিমাপ মতো নিতে হবে
আমরা কম-বেশি সবাই সাই কি জানি, প্রথমে মাটির পাত্রে এক লেয়ার সাই দিতে হবে। তার ওপর বিচি দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে নিতে হবে, আবার বেশি করে এক লেয়ারে ছাই দিয়ে পুরো পাতিল এভাবে চাইলে ভর্তি করে রাখতে পারেন। এরপর ঢাকনা দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ স্থানে রাখলে, অনেক দিন ভালো থাকবে এবং স্বাদ পুষ্টিগুণ একই রকম থাকবে।
কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করার দ্বিতীয় ধাপঃ কাঁঠালের বিচি খেতে এত সুস্বাদু বা এত মজা যে সবাই সংরক্ষণ করতে চাই। কিন্তু সঠিক নিয়ম জানেন না, অনেক খুঁজে খুঁজি করছেন সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আর চিন্তা নাই, অনেকে চায় শুকনো কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করতে কিন্তু কিভাবে করবেন জানেন না। এজন্য প্রথমে কাঁঠালের বিচির খোসা ছাড়িয়ে নিন, একটি প্যানে অল্প পরিমাণ পানি নিন, তারপরে খোসা ছাড়ানো কাঁঠালের বিচি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন,
করে তারপরে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। হওয়ার পরে বক্সে বা পলিব্যাগে করে ডিপ ফ্রিজে রেখে প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খেতে পারেন ইচ্ছামত স্বাদ একই রকম থাকবে। এভাবে সংরক্ষণ করলেন বিচি নষ্ট হবে না, স্বাদ ও কোনো বেহাত ঘটবে না । চাইলে আপনারাও এভাবে সংরক্ষণ করে কাঁঠালের বিচি খেতে পারেন।
সর্বশেষঃ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানতেন না, আশা করি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং জানতে পেরেছেন। এবং উপকৃত হয়েছে, অনেক ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য আর্টিকেল ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আরো যদি এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে চান কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url