শরীরের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকরী ২৫ টি উপায় বিস্তারিত জানুন
শরীরে মেদ ভুড়ি হলে অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেয়, এবং শরীরে অস্বস্তিকর অনুভব হয়। আমরা বাঙালি বলে সব ধরনের খাবার খেয়ে থাকি, মিষ্টি জাতীয় অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে মেদ বা ভুড়ি হয়। অনিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে পেটের মেদ অনেকাংশেই বাড়িয়ে তোলার ভূমিকা রাখে।শরীরের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকরী ২৫ টি উপায় গুলো নিজের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আমরা অনেকেই আছি যে শরীরের কোন যত্ন নিই না। তার ফলে শরীরে মেদও ভুড়ি বাড়ে। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খেলে বাহিরে তেলেভাজা খাবার খেলে শরীরে যেমন ক্ষতি হয়। তেমনি ভুড়ি বাড়ে শরীরের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকরী ২৫ টি উপায় উপায় গুলো হলো।
সূচিপত্র: শরীরের মেদ কমাতে কার্যকরী ব্যায়াম হলো
শরীরে বা পেটের মেদ একটি বিব্রতকর বিষয়। যা একটা মানুষকে দেখতে অনেক খারাপ লাগে অতিরিক্ত পেটে চর্বির কারণে, এবং সেই মানুষেরও চলাফেরা করতে অনেক সমস্যা মধ্যে পড়তে হয়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি বাসা বাধে। যা একটা মানুষকে ধীরে ধীরে শেষ করে ফেলে। শরীরে আজকে এই সমস্যা কালকে ওই সমস্যা হতেই থাকে। যেগুলো খাবার খেলে মেদ বাড়ায় উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয়,
বেশি ক্যালরিযুক্ত যে কোন খাবারে পেটের মেদ বাড়াতে পারে। একবার পেটে মেদ জমলে কাটিয়ে ওঠা যাবে না। এটা ভুল ধারণা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করলে স্বাস্থ্যকর খাবার সঠিক নিয়মে গ্রহণ করলে সহজেই মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। কোন কোন খাবারগুলো খেলে পেটে মেদ জমতে পারে। অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে।
তেলে ডুবানো ভাজা খাবার খেলে, কোমল পানীয় ও অস্বাস্থ্যকর বাহিরের খাবার খেলে, নিয়মিত লাল মাংস রেড মিট খাওয়া ফলের শরীরের বা পেটের মেদ বাড়িয়ে তুলে। শরীরের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকরী ২৫ টি উপায় গুলো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
শরীরে মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় কি
শরীরে মেদ কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবে বেশ কিছু সিক্রেট টিপস রয়েছে। সেগুলো ফলো করলে খুব তাড়াতাড়ি শরীরের মেদ কমিয়ে ফিট থাকতে পারবেন। দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে, খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। প্রত্যেকদিন প্রত্যেক বেলা সঠিক নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে। খাবারে পরিমাণ আগের চেয়ে একটু কম খেতে হবে।
নিজের ইচ্ছামত যে কোন খাবার খাওয়া যাবে না। ঘুমের রুটিন বদলে ফেলতে হবে, অস্বাস্থ্যকর ঘুমানো যাবে না। সাদা চাল সাদা আটা খাওয়া যাবে না । এর বদলে লাল চাল এবং লাল- আটা খেতে হবে। বেশি ফ্যাটযুক্ত এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। কোন খাবারে ফ্যাট রয়েছে তা যাচাই করে খেতে হবে।
মেয়েদের পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় কি
আমরা মেয়েরা পেটের মেদ নিয়ে অনেক লজ্জা বোধ করি। বাহিরে বের হতে পারি না, পেটের মেদ এর কারণে ভালো পোশাক ও পড়তে পারি না। কারণ পেটে চর্বির কারণে ভুড়ি হয়ে গিয়েছে। ভালো পোশাক পড়লে খারাপ দেখা যায়। খুব সহজেই ঘরোয়া ভাবে মেয়েদের পেটে চর্বি বা মেদ কমানোর উপায় নিচে দেওয়া হলো।গরম পানিতে লেবুর রস: আমরা সবাই কমবেশি লেবু খাই, কিন্তু কিভাবে খেলে মেয়েদের পেটের চর্বি কমাবে হয়তো খুব কম মানুষেরই জানা রয়েছে।
চলুন জেনে নিয়া যাক, সকালের এক গ্লাস পরিমাণ পানি হালকা কুসুম গরম করে নিন, এরপর একটি লেবু পুরো কেটে নিয়ে রস গুলো হালকা কুসুম গরম পানিতে দিয়ে পান করুন এতে আপনার পেটে চর্বির খুব সহজে গোলে মেদ কমাবে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সাইডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজম করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহযোগিতা করে।
প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর রস খেলে খুব দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। অনেকের কাছে সকালে গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়া খুব কষ্টকর মনে হতে পারে চাইলে এর সাথে একটা চামচ মধু যোগ করতে পারেন। বাট চর্বি কমানোর জন্য মধু যোগ না করাই ভালো কারণ লেবুর রস খালি খেলে খুব দ্রুত কাজ করবে মেদ কমাতে।
জিরা পানি পান করা: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপনি চাইলে পানীয় হিসেবে জিরা পানি পান করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে একটা চামচ জিরা পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবে। সকালে সেই পানি সহকারে জিরা পানি খেয়ে নিবেন। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, পেটের মেদ কমাতে সহযোগিতা করে, পেটে গ্যাস হলে বা পেটে ফোলাভাব কমায়।
পর্যাপ্ত পানি পান: ওজন কমাতে বা পেটের চর্বি কমাতে পানির ভূমিকা রয়েছে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর আদ্রতা বজায় থাকে। এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চাহিদা কমায়, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে ওজন হ্রাস পায়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া সম্ভাবনা কমে আসে। ফলের পেটের চর্বি জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম: ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ হলো মানসিক চাপ। যা মানুষের সবকিছু অনিয়মিত করে ধীরে ধীরে মানুষের ওজন বৃদ্ধি পায় পেটে মেদ বাড়ে। মানসিক চাপের কারণে চর্বি বৃদ্ধিকারী হরমোন যেমন কটিসোলার মাত্রা বাড়ায়।মানসিক চাপের কারণে অনিয়মিত খাবার খাওয়ার ফলে তীব্র ক্ষুধা বাড়ায়, এতে ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়ার চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। খাওয়ার ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকবে। এইজন্য মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
শসা: আমরা সবাই জানি শসা ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকারী উপাদান। নিয়মিত খাবার তালিকায় শসা থাকলে পেটে চর্বি জমতে পারে না। শসা খেলে পেটে ফোলা ভাব বা গ্যাসের সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এজন্য খাবার তালিকায় শসা রাখা উচিত।
শস্য জাতীয় খাবার: শস্য জাতীয় খাবার গুলো হলো যে খাবারে ক্যালরি বিহীন থাকে, যেগুলো খাবার খেলে অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। এই খাবারগুলো খেলে শরীর সুস্থ রাখে ক্যালরি বহুল খাবারের চাহিদা কমাতে সাহায্য করে। কাটবাদাম কাজুবাদাম সঠিক নিয়ম মেনে খেলে শরীর সুস্থ রাখে। ওজন কমায় পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে।
আদা: আমরা সবাই জানি আদা একটি মসলা এই মসলার অনেক গুনাগুন রয়েছে। আদা যেমন রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করে, এবং রান্না করে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তেমনি সকালে খালি পেটে আদার রস খেলে খুব দ্রুত পেটের চর্বি ঝরতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আদা খেলে দেহের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলেই আদা রান্না করে খেতে পারেন।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রোটিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আমরা অনেকে ওজন কমাতে গিয়ে প্রোটিন খাবার গুলোকে বাদ দি। এতে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি। ওজন কমানোর পাশাপাশি প্রোটিনযুক্ত খাবার সকালের নাস্তা রাখা উচিত। এতে সারাদিন পেট ভরা থাকে ফলে বাড়তি ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণে ঝুঁকি কমায়।
বিভিন্ন ধরনের ফল: ফল খেলে যেমন শক্তি বৃদ্ধি হয়। তেমনি ফল খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ ফল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যা ফল খেলে পেট ভরা থাকে, এতে খাবার খাওয়ার চাহিদা অনেক অংশে কমে আসে।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
তলপেটে চর্বি কমাতে নিয়মিত চা পান করে চর্বি কমানো সম্ভব নয়। শরীরের ওজন বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ সব সময় থাকে না। অনিয়মিত ঘুম অনিয়মিত খাবার মানুষের মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা কারণে তলপেটে চর্বি জমতে থাকে। শরীরে অন্য জায়গার তুলনায় তলপেটে চর্বি বেশি জমে। অনেকের আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে চর্বি জমে। এর জন্য ওজন কম রাখতে চেষ্টা করুন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই কিলো দৌড়ান, সাথে অবশ্যই কার্ডিও ব্যায়াম করুন। এতে তলপেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
আর খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফল শাক-সবজি সালাত লাল চাউলের ভাত ময়দার বদলি লালা আটা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন, পারলে এড়িয়ে চলুন। বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন, প্রাকৃতিক ঘরের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওঠা বসা দড়ি লাফ দিন বেশি পরিশ্রম করলে মাংসপেশিতে চাপ লাগবে এতে ওজন কমে আসবে, অবশ্যই দুশ্চিন্তা করা যাবে না। ওজন কমাতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে, রাতে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম হলে ভালো, যারা ৫ ঘন্টার কম ঘুমান তাদের ওজন বাড়ে।
তলপেটের চর্বি ঝরানোর কার্যকরী একটি উপাদান হলো রসুন রাতে শুতে যাওয়ার সময় বা সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন দুই থেকে তিন কোয়া চিবিয়ে খেতে পারে এতে চর্বি ঝরে যাবে। চর্বি কমাতে আরো একটি উপাদান হলো বেশি ঝাল যুক্ত খাবার খান, তবে তেলও ঝোল যুক্ত খাবার নয়, খাবারে ঝাল হতে হবে কিন্তু এই ঝাল আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ, কাঁচামরিচ এসব স্বাস্থ্যকর মশলা থেকে এগুলো আপনার শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায়। রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তলপেটে চর্বি কমে আসে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এসব ধরনের খাবার খুবই উপকারী।
৭ দিনে ছেলেদের মেদ কমানোর সহজ উপায় কি
পেটে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। নিজের ইচ্ছা মতো পোশাক পড়তে সমস্যা হয় । পছন্দনীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হয়। পেটের মেদ কমাতে অনেক ডায়েট করে ওজন কমালেও। মেদ কমানোর সহজ নয় এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অতিরিক্ত মেদ কারণে অনেকে আবার সারাদিন না খেয়ে থাকে। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের জিমে গিয়ে জিম করে। তবুও ফলাফল জিরো এতে শরীর আরো বেশি অসুস্থ হয়।
শরীরের মেদ কমানোর সহজ উপায় হলো সকালের নাস্তায় বিভিন্ন ধরনের ফল রাখতে হবে। এবং দুই থেকে তিন কিলোমিটার দৌড়াতে হবে প্রত্যেকদিন। এবং খালি পেটে পর্যাপ্ত পরিমান পানি খেতে হবে। হাতে কিছু সময় থাকলে কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। পেটের ব্যায়াম যাতে পেট থেকে ঘাম ঝরে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি পেটের মেদ কমানো সম্ভব।
ছেলেদের মেদ কমানোর আরো একটি উপায় হলো সকালে এক ঘন্টার মত সাইকেলিং করতে পারেন। সাইকেলিং করলে পেটে চাপ লাগে, এতে ঘাম ঝরে খুব তাড়াতাড়ি পেটের চর্বি ওগুলো ঝরে গিয়ে মেদ কমাতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম ছাড়া ভুড়ি কমানোর সহজ পদ্ধতি হলো
আমরা এখন বেশিরভাগ মানুষই শহরে বাস করি, কারণ কাজের ক্ষেত্রে শহরে বসবাস করতে হয়। শহরের জীবনে দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করা। কম পরিশ্রম হওয়ার কারণে পেটে মেদ জমতে থাকে। একবার পেটে মেদ জমলে সহজে আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া অসম্ভব। কিন্তু এর সমস্যা থাকলে নিশ্চয়ই সমাধান রয়েছে। প্রতিদিনকার কিছু অভ্যাসরে মাধ্যমে টেকনিক কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই শরীর থেকে ব্যায়াম ছাড়াই ভুড়ি কমানোর সম্ভব।
খুব সহজেই আপনি নিজের শরীরের ভুড়ি কমিয়ে ফেলতে পারবেন। চিনি যুক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলুন, কোল্ড কফি আইসক্রিম তেলে ভাজা থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকুন। কারণ এসব খাবার খেলে খুব সহজে পেটে চর্বি জমতে পারে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণ ফল ও সবজি রাখুন। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এতে আপনার শরীরের ভিটামিন মিনারেলের ও রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটে চর্বির জমতে দেয় না। এ সময়ে মাংস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন, কারণ মাংসতে রয়েছে অতিরিক্ত চর্বি যা খেলে খুব সহজেই চর্বি জমতে পারে। এগুলো সঠিকভাবে মেনে চলবে ব্যায়াম ছাড়া খুব সহজেই ভুরি কমানো সম্ভব।
শরীরে মেদ কমাতে ডায়েট চার্ট হলো
আজকাল আমরা সবাই স্বাস্থ্য সচেতন, কিন্তু সবাই চায় মেদ ঝরাতে, একপ্রকার মেদ ঝরানোর যুদ্ধজয়ের মত হয়ে উঠেছিল। আবার কেউ মেদ ঝরাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ অনিয়মিত খাবার খেয়ে, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য, অস্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন কমানোর চেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মেদ কমাতে আমাদের ডায়েট ফলো করুন, চিরস্থায়ীভাবে ওজন কমান। অনেকে বলে রাতারাতি ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু সেটা স্থায়ী নয়, এতে সাইড এফেক্ট রয়েছে।
এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সবাই জানি ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হচ্ছে নিয়মিত পরিমান মতো খাবার খাওয়া আর ব্যায়াম করা সকালের নাস্তায় ক্যালারিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার দিয়ে প্লেট ভর্তি করুন। এতে আপনার পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে ,এবং শরীর সুস্থ সবল থাকবে এতে শরীরের মেদ জমতে পারবেনা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারীর কমপক্ষে ২০০০ থেকে ৩০০০ ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত।
এইজন্য আমরা আপনাকে সঠিক উপায়ে সঠিকভাবে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেখাবো। এগুলো ফলো করে নিজের বা আপনার আত্মীয়-স্বজনের খুব সহজেই শরীরের মেদ কমাতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সকালের নাস্তা: প্রতিদিন সকালে উঠেই খালি পেটে হালকা কুসুম এক গ্লাস পানিতে একটি লেবু রস করে চিনি ছাড়া সামান্য লবণ দিয়ে খেয়ে নিবেন। আধা ঘন্টা পর লালময়দার দুটি রুটিন কুসুম ছাড়া ডিম সেদ্ধ অথবা টক দই কমলা সাইটিক এসিডযুক্ত ফল সকালের নাস্তায় রাখতে হবে। কিংবা রুটির বদলে এক বাটি কনফ্লেক্স খেতে পারেন। নিয়মিত প্রতিদিন খেতে পারলে এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে। ত্বক ভালো থাকবে, আর খুব দ্রুত শরীরের মেদ ঝরবে।
দুপুরের খাবার: দুপুরের খাবারের ছোট এক বাটি ভাত এক বাটি ডাল এবং আলু ছাড়া তরকারি সাথে টমেটো, শসা, গাজর দিয়ে এক বাটি সালাত যত ইচ্ছা খেতে পারেন। তবে এক পিস মাংস অথবা মাছ এক পিস খেতে পারেন। সাথে এক বাটি সবজি, সবজি খেলে শরীর সতেজ থাকে, শরীরের এনার্জি পাওয়া যায় শরীর সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
বিকালের হালকা নাস্তা: বিকেলের নাস্তায় অনেকেেই তেলে ভাজা অস্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর, বিকেলের হালকা নাচটাই নাস্তায় চিনি ছাড়া টোস্ট বিস্কুট রাখতে পারেন। রং চা, মুড়ি, ছাতু, পপর্কন ইত্যাদি যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, এবং শরীরে কোন রকম মেদ জমবে না।
রাতের খাবার: আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। রাতের খাবার খাওয়ার নিয়ম সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে, এবং রাতের খাবারই ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। রাতের খাবারের জন্য এক বাটি সবজি, এক থেকে দুইটি আপেল, এক বাটি সালাত, আপনি চাইলে সবজি দিয়ে সুপ বানিয়ে খেতে পারেন।
খেতে কোন ক্যালরি নেই এবং পুষ্টিতে ভরপুর। এবং ঘুমানোর আগে এ ক্লাস দুধ সুগার ছাড়া খেতে পারেন, এতে আপনার শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। শরীরে কোন রকম রোগব্যাধি বাসা বাঁধতে পারবে না। শরীরের খুব দ্রুত চর্বি ঝরিয়ে ফিট রাখবে।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো মেনে চললে খুব দ্রুত শরীরের মেদ কমানো সহজ হবে। সেগুলো হলো বিস্তারিত জানুন। শরীরের জন্য অতিরিক্ত লবণ খুব ক্ষতিকর, এজন্য কম পরিমাণ লবণ খেতে হবে, বেশি লবণ খেলে শরীরে রক্ত পানি হয়ে যায় এ কারণে শরীর ফুলে যায়। এতে ওজন বৃদ্ধি পায়।
পেট কখনো খালি রাখা যাবে না পেট খালি রাখার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় অতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণের জন্য দানাযুক্ত খাবার এবং সালাত খেতে হবে, যা অনেক সময় পেট ভরে থাকে। অথবা সাইটিক এসিডযুক্ত ফল খেতে পারেন এতে অনেক সময় পেট ভরা থাকে।
প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা হাঁটুন, এবং ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন এতে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ গুলো বেরিয়ে যায়। প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো দরকার ৭ থেকে ৮ ঘন্টা এবং নিয়মিত খাবার হওয়া উচিত, কোন বেলার খাবার স্ক্রিপ করা উচিত নয় ।তাহলে অন্য সময় একটু বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়, এতে শরীরে মেদ জমতে পারে।
সর্বশেষ: শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে উপরে গুলো মেনে চলুন। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। ভালোভাবে বুঝতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার ফ্রেন্ডের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url