শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় বিস্তারিত জেনে নিন

আমাদের শরীরে ভিটামিনের খুব প্রয়োজন ,শরীরে ভিটামিন ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়। আমরা বুঝতে পারি না এজন্য আমরা খুব দুশ্চিন্তা করি ,আর নয় চিন্তা আপনারা হয়তো ভিটামিন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না, ভিটামিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


কোন খাবারে কোন কোন ভিটামিন রয়েছে, আমরা হয়তো অনেকেই এ বিষয়ে জানিনা। ভিটামিনের অভাবে কি কি রোগ হয়। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো ভিটামিনের অভাবে শরীরে কোন কোন অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।

ভূমিকা: কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়

আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়, ভিটামিন ছাড়া মানব শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা অসম্ভব। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই সেই খাবারগুলোতে নানান রকমের ভিটামিন বিদ্যমান থাকে।

পোস্ট সূচীপত্র:-আর সেই খাবার গুলো আমরা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে সেই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন গুলো জমা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমাদের শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। কারণ আমরা সবাই জানি আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে আমরা বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ি।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো কয়েকটি পোস্টের তালিকা:


একেকটি ভিটামিন একেক ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই আমাদের শরীরে যে ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় বা শরীরে যে ভিটামিনের ঘাটতি হয় তখন আমরা সেই ভিটামিনের অভাবে যে রোগগুলো হয় সেগুলোতে খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। তাই আমাদের শরীরকে সুস্থ- সবল রাখতে ভিটামিনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মানব শরীর যেমন ২০৬ টি হারের সমন্বয়ে গঠিত, ঠিক তেমনি মানব শরীর বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়েও সুস্থ- সবল থাকে। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বিদ্যমান না থাকলে আমরা খুব সহজেই নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বো।

ভিটামিন আমাদের শরীরে রোগ-ব্যাধির প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। এক কথায় ভিটামিন কে বলা যেতে পারে রোগ ব্যাধি প্রতিরোধে মানব শরীরের অতন্ত্র প্রহরী। অর্থাৎ আমাদের শরীরে যেন কোন ধরনের রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধতে না পারে সেজন্য প্রতিরোধক হিসেবে শরীরে মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিন কাজ করে থাকে। তাই বুঝতেই পারছেন আমাদের শরীরে যদি কোন ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আমরা বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বো। এমনকি মারাত্মক দুরারোগ্য রোগেও আক্রান্ত হতে পারি।

সুতরাং আমাদের শরীরকে সুস্থ-সবল ও রোগবিহীন রাখতে চাইলে আমাদের জানতে হবে কোন ভিটামিনের অভাবে শরীরে কি রোগ হয়। কারণ কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সেটা যদি আমরা আগে থেকেই জানি তাহলে আমরা সেই ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে এমন খাবার খেয়ে আমাদের শরীরে সেই ভিটামিনের ঘাটতি

আগে থেকেই পূরণ করতে পারব এবং আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সক্ষম হব। নিচে কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সেটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আকারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। খুবই মনোযোগ সহকারে নিচের অংশগুলো পড়ুন।

ভিটামিন-এ এর অভাবে কি রোগ হয়

আমাদের শরীরে ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিনের অভাবে শরীরে নানা রকমের রোগ ব্যাধি হয়। আমাদের শরীরে যে ভিটামিন গুলো প্রয়োজন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ভিটামিনের নাম হলো ভিটামিন এ। তাই আজকে আমরা জানব ভিটামিন এ এর অভাবে আমাদের শরীরে কি কি রোগ হয়। নিচে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:
  • ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়
  • আমাদের শরীরের ইউরিনারিতে পাথর হতে পারে
  • ত্বকের কোষ গুলো ভিতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
  • শরীরের গঠন এবং বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না
  • সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস পায়
  • শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন ঠিকমতো হতে পারে না
  • চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়
  • মাথা ঘোরে এবং শরীর ঝিমঝিম করে
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে টিউমার হয়
  • স্কিন ক্যান্সার হতে পারে
  • স্তন ক্যান্সার এবং এইডস হতে পারে
  • নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়
  • ভ্রুণ তৈরিতে সমস্যা দেখা দেয়
  • চুল পড়ে যায়
  • শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়
  • প্রজনন স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি হয়
  • শরীর দুর্বল লাগে

ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা 

আমরা সবাই জানি বিভিন্ন খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান থাকে। ঠিক তেমনি ভিটামিন এ রয়েছে এমন খাবারের নামগুলোই এখন আমরা জানবো। প্রধানত সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। সবুজ শাকসবজি ছাড়াও সবুজ ফলের মধ্যেও ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও মাখন, গাজর, পেঁপে, ঘি, কুমড়ো এগুলোর মধ্যেও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফলমূল এর মধ্যেও ভিটামিন এ রয়েছে। 

মূলত যে শাকসবজি বা ফলের রং যত বেশি গাঢ় হয় তাতে ভিটামিন এ এর পরিমাণ তত বেশি থাকে। তাছাড়াও মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাল শাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, আলু, মিষ্টি আলু, পুদিনা পাতা, করলা, ক্যাপসিকাম, কাকরোল ,পটল, বরবটি এসব সবজির মধ্যেও অনেক পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান আছে ।বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যেও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মলা ও ঢেলা মাছ। এছাড়া ছোট মাছের মধ্যে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে।


দুধ, ডিম, গরুর কলিজা, পালং শাক, লেটুসপাতা, সরিষা শাক এগুলোর মধ্যেও ভিটামিন এ পাওয়া যায়।ফলের মধ্যে আম ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস।এসব খাবার ছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ক্যাপসুল কিনতে পাওয়া যায়। সেই ট্যাবলেটগুলো খেলেও মানব শরীরে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

ভিটামিন-বি এর অভাবে কি কি রোগ হয়

ভিটামিন বি এর অভাবে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। নিচে ভিটামিন বি এর অভাবে কি কি রোগ হয় সেগুলো পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো :
  • শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
  • ডায়রিয়া হতে পারে
  • জীভ লাল টকটকে হয়ে যায়
  • স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে
তবে কমবেশি আমরা সবাই জানি ভিটামিন বি শুধুমাত্র একটি মাত্র ভিটামিন নয়। ভিটামিন বি এর মধ্যে অনেকগুলো ভাগ বা অনেকগুলো শাখা রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে এখন আমরা জানব। যেমন:
  • ভিটামিন বি১: এটার অভাবে বেরিবেরি রোগ হতে পারে
  • ভিটামিন বি৩: এটার অভাবে পেলেগ্রা রোগ হয়
  • ভিটামিন বি৪: এর অভাবে প্রোটিন বিপাক ব্যাহত হয়
  • ভিটামিন বি৫: এটার অভাবে পেরেস্থেসিয়া রোগ হয়
  • ভিটামিন বি৬: এর অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
  • ভিটামিন বি৭: এর অভাবে চুল পড়া সমস্যা হয়
  • ভিটামিন বি১২: এটার অভাবে স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: এর অভাবে বমি বমি ভাব হয়, হাত পা শিরশির করে, ত্বকে বিভিন্ন ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে, পেটব্যথা হতে পারে, লিভারের সমস্যা হতে পারে।

ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবারের নামসমূহ

যেসব খাবারের মধ্যে ভিটামিন বি পাওয়া যায় সেগুলো হলো: পেঁয়াজ, সিম, আলু, চিনা বাদাম, কমলালেবু, ভুট্টা, ছয়া, লেবু, কমলা লেবু, সন্দেশ ইত্যাদি।

ভিটামিন বি১ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে

মাছ, মটরশুঁটি, মসুর ডাল, রুটি, নুডুলস, ভাত, সূর্যমুখী বীজ, দই, তেতুল, তরমুজ, আপেল, কাঁঠাল, চেরিমোয়া,কমলালেবু, গরুর মাংস, বাদাম, গোটা শস্য, ফুলকপি, আলু ইত্যাদি।
  • ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ খাবারের নাম: সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ, দুধ জাতীয় খাবার, মাশরুম, সবুজ শাকসবজি, কলা, এভোক্যাডো, গুর ও মধু।
  • ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ খাবারের নাম: টুনা ফিস, বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, মুরগির মাংস, চিনা বাদাম, কলিজা, মটরশুঁটি ইত্যাদি।
  • ভিটামিন বি৫ সমৃদ্ধ খাবারের নাম: বিভিন্ন ধরনের মাংস, আটা, ডাল, বাদাম, তেল বীজ, ছোলা, সবুজ শাকসবজি ,যকৃত, সেমন ফিস, সেলফিশ মাছ, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।
  • ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবারের নাম : চাল, আটা, মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ছত্রাক, ডিমের কুসুম ইত্যাদি।
  • ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবারের নাম: যকৃত, দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, পনির এবং কলা, সবুজ শাক, রঙিন সবজি ও ফলমূল, পান্তা ভাত ইত্যাদি ।

ভিটামিন-সি এর অভাবে কি কি রোগ হয়

আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ প্রতিনিয়ত বাসা বাঁধে। মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রকমের রোগ হয়ে থাকে। এখন আমরা জানবো ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি রোগ হয়ে থাকে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়
  • বিরক্তিভাব দেখা দেয়
  • ওজন কমে যেতে পারে
  • স্কার্ভি রোগ হয়
  • রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
  • অল্পতেই শরীরের ক্লান্তি বোধ চলে আসে
  • অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা অনুভব হয়
  • হাত পা ফুলে যেতে পারে
  • দাঁতের মাড়িতে ঘা হয়
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা দিন দিন মলিন হয়ে যায়
  • ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে
  • দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্তপাত হতে পারে
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে কালশিরে দাগ পড়তে পারে
  • চুল শুষ্ক হয়ে যায়
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়
  • শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে
  • সর্দি কাশি হয়
  • ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হয়
  • ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়
  • স্কিনে ছোট- বড় ফুসকুড়ি উঠতে পারে
  • ঠোঁট ফেটে যায়

ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের নাম

পেয়ারা, পাকা পেঁপে ,বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক, বিভিন্ন জাতের গোল আলু ,পাতি লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা, মালটা, আঙ্গুর, আনারস, জাম, তরমুজ, কলা, আম ,টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবুজ মটর, ব্রকলি, আমলকি ,কাঁচা মরিচ ,পুদিনা পাতা ,পালং শাক, পুঁইশাক, লাউ শাক, শুকনা মরিচ, থানকুনি পাতা, কামরাঙ্গা. আমলকি ইত্যাদি ।

ভিটামিন-ডি এর অভাবে কি কি রোগ হয়

মানব শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পয়েন্ট আকারে নিচে দেয়া হলো:
  • উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে
  • শরীর অধিক পরিমাণে ক্লান্ত লাগে
  • অবসাদগ্রস্থ লাগে
  • জরায়ুতে ক্যান্সার হয়
  • ডায়াবেটিস হতে পারে
  • স্তন ক্যান্সার হয়
  • শরীরে অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধি পেতে পারে
  • চুল পড়ে যায়
  • মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে
  • রিকেট রোগ হয়
  • মাংসপেশীর দুর্বলতা বেড়ে যায়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যায়
  • হাড়ের মধ্যে ব্যথা হতে পারে
  • ক্ষত শুকাতে দীর্ঘ সময় লাগে
  • দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে
  • পিঠে ব্যথা হয়
  • খিদে কমে যায়

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের নাম সমূহ

সূর্যের তাপ ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস। দুধ, মাশরুম, ডিমের কুসুম, দই এবং পনির,গরুর কলিজা, কমলা, কড লিভার অয়েল বা মাছের তেল, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, শ্যামন ফিস, টুনা ফিস, পালংশাক, খেজুর ইত্যাদি ।

ভিটামিন-ই এর অভাবে কি কি রোগ হয়

  • মাংসপেশীর দুর্বলতা
  • চুল পাতলা হয়ে যায়
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • হাত-পা অসার হয়ে যাওয়া
  • বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা হতে পারে
  • বার্ধক্য জনিত সমস্যা হয়
  • হাত পায়ের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে

ভিটামিন ই যুক্ত খাবারের নাম

চিনা বাদাম, আখরোট, বাদাম, ডিমের কুসুম, গম, সয়াবিন, পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, কাঁচা শালগম, বিভিন্ন ধরনের মরিচ, মটরশুঁটি, লেবু, অ্যাভোকাডো, ডিম, শ্যালমন মাছ, চর্বি বিহীন মাছ, সূর্যমুখী বীজ, লাল মরিচের গুঁড়া ,কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, জলপাইয়ের আচার, কচুর মূল ইত্যাদি।

ভিটামিন-কে এর অভাবে কি কি রোগ হয় 

  • রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না
  • পেট ব্যথা হয়
  • হাড়ের বিকৃতি হতে পারে
  • রগে টান ধরে
  • হার্টের সমস্যা হতে পারে
  • হাটুতে ব্যথা হয়
  • হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে
  • পিত্তথলিতে পাথর হয়
  • হাড়ে খনিজের স্বল্পতা দেখা দেয়
  • হৃদরোগ হতে পারে
  • অস্টিওপোরোসিস রোগ হয়
  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘা হতে পারে

ভিটামিন-কে যুক্ত খাবারের নাম সমূহ 

সরিষা শাক, মুলার শাক, মটর শাক, পালংশাক, পাতাকপি, ফুলকপি, টমেটো, কচুর লতি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, লাউ শাক, জলপাই,করমচা, বাদামি লেবু,শালগম,গাজরের রস,বেদানার রস,ইত্যাদি।

সুস্থ-সবল রোগবিহীন শরীর পেতে চাইলে আমাদের কি করা উচিত

সুস্থ-সবল ও রোগ বিহীন শরীর প্রতিটি মানুষই চায়। প্রত্যেকটা মানুষই স্বপ্ন দেখে তার শরীর হোক রোগ বিহীন। কারণ কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই একজন মানুষকে সুখী হতে হলে সর্বপ্রথম তাকে রোগ বিহীন সুস্থ শরীরের অধিকারী হতে হবে। আমাদের শরীর প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। যার ফলে আমাদের শরীর ও মন কোনটাই ভালো থাকতে পারে না। পাশাপাশি মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের উচিত নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অধিক যত্নবান হওয়া। 

আমরা যদি সঠিক নিয়ম মেনে নিয়মিত আমাদের শরীরের যত্ন নেই তাহলে আমরা অনেকাংশেই রোগ মুক্ত থাকতে পারবো। রোগমুক্ত শরীর পাওয়ার জন্য আমাদের প্রথমেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকতে হবে। কারণ আমাদের শরীর যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে শরীরে কোন রকমের রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারবেনা। যার ফলে আমরা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবো না। 

এছাড়াও রোগহীন থাকতে হলে আমাদের শরীরে ভিটামিনের চাহিদা সঠিক মাত্রায় পূরণ করতে হবে। তার জন্য আমাদের পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি রাখতে হবে। কারণ পুষ্টিকর খাবার খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান থাকবে। যার ফলে আমাদের শরীরে রোগ ব্যাধি সহজেই বাসা বাঁধতে এবং বংশবিস্তার করতে পারবে না। 

আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা যদি পূরণ করা যায় তাহলে শরীর সুস্থ-সবল এবং রোগবিহীন থাকবে। মানব শরীর কে রোগ বিহীন রাখতে শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কারণ ব্যায়াম আমাদের শরীরকে সতেজ করে তোলে। মানসিক চাপ দূর করে, শরীরের ক্লান্তি ভাব আসতে দেয় না, মেজাজ ভালো থাকে। তাছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকলাপ স্বাভাবিক থাকে। 

যার ফলে আমাদের শরীরও সুস্থ থাকে। এছাড়াও নিয়ম করে প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শরীরের ভেতরের কোষগুলো সতেজ হয়ে ওঠে। যার ফলে রোগ জীবাণু চাইলেই আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। ব্যায়ামের পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত। ঘুম যদি ঠিকমতো হয় তাহলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালো থাকে। আর মস্তিষ্ক ভালো থাকলে যেকোনো কাজ খুব সহজেই করা যায়। কোনরকম মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় না। 

কমবেশি আমরা সকলেই জানি অতিরিক্ত টেনশন আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত টেনশন করলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর দুর্বল শরীরে রোগ ব্যাধি খুব সহজেই হয়। তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত টেনশন না করা। যেকোনো কাজ মাথা ঠান্ডা রেখে করা। মাথা ঠান্ডা থাকলে আমাদের শরীর ও মন ভালো থাকবে। আর শরীর ও মন ভালো থাকলে কোন রোগ আমাদের শরীরে আক্রমণ করতে পারবে না।

অতএব সুস্থ-সবল এবং রোগবিহীন শরীর পেতে চাইলে আমাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে, ঠিকমতো ঘুমাতে হবে এবং অতিরিক্ত টেনশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

রোগমুক্ত শরীর পেতে চাইলে ভিটামিনের কোন বিকল্প নেই। রোগমুক্ত শরীর পাওয়ার জন্য আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। তার জন্য আমাদের উচিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় এবং কোন খাবারগুলো খেলে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করা যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে  জন্য। এমন তথ্য মূলক এবং স্বাস্থ্য উপযোগী সৃজনশীল পোস্ট পেতে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url