১০০ লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালনের সহজ পদ্ধতি
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালন করা হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক আপনারা কি ১০০ লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালন করতে চাচ্ছেন খুব সহজে। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি, অল্প জায়গায় কম খরচে লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালনের খুব সহজ পদ্ধতি। এর গোপন টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
আপনারা হয়তো ভাবছেন কিভাবে লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালন করব। কতদিন পালন করতে হবে, কেমন ঘর তৈরি করতে হবে, কি পরিমাণ মুরগিকে খাবার দিতে হবে, কোন খাদ্যশস্য দিলে মুরগি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে ও ডিম দিবে আরো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
উপস্থাপনা
১০০ লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালনের সহজ পদ্ধতি হলো, আপনারা হয়তো লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালন করতে চাচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। মুরগি পালানোর জন্য আগে নিরিবিলি খোলামেলা পরিবেশ এমন স্থান সিলেক্ট করতে হবে। যাতে মুরগির খামারে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস পৌঁছাতে পারে। তারপরে খামারে কতগুলি মুরগি পালন করবেন, সেই অনুযায়ী ঘর তৈরি করতে হবে। কোন কোন খাদ্যশস্য বা পুষ্টিকর খাবার দিলে মুরগি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে।
পোস্ট সূচীপত্র:-কোন ভিটামিন মুরগিকে খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে ও অনেক দিন পর্যন্ত ডিম দিবে। মুরগিকে কতদিন পর পর ভ্যাকসিন দিতে হবে। কোন ওষুধ খাওয়ালে মুরগির রোগব্যাধি নিরাময় হবে। কতদিন পর্যন্ত মুরগির পালন করে বাজার করা যাবে, এবং কোন সময় মুরগি উঠিয়ে বাজারজাত করলে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। নিজে আরো বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
১০০ লেয়ার মুরগির ঘর তৈরির নিয়ম
লেয়ার মুরগি তিনভাবে পালন করা যায় একটি হলো মাঁচা পদ্ধতি ,খাচা পদ্ধতি ও মেঝে পদ্ধতি ।লেয়ার মুরগি পালন করে আপনি যদি ডিম উৎপাদন করতে চান তাহলে মাঁচা পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো। তবে আপনি চাইলে মেঝেতেও পালন করতে পারেন।
মাঁচা পদ্ধতি: লেয়ার মুরগির জন্য মাঁচা পদ্ধতির ঘর তৈরি করতে হবে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে করে বানাতে হবে। প্রতিটি মুরগির জন্য ১ ফুট জায়গা ধরে ঘরটি তৈরি করতে হবে এতে মুরগি খুব ভালোভাবে থাকতে পারবে। ঘরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হবে ৫:১ অনুপাতে প্রতি ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের জন্য প্রস্থ হবে ১ ফুট।
১০০ লেয়ার মুরগির জন্য ঘর নির্মাণের দৈর্ঘ্য হবে ২০ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৫ ফুট। লেয়ার মুরগির জন্য মাটি থেকে মাঁচার উচ্চতা হবে সাড়ে তিন থেকে চার ফুট এবং মাঁচা থেকে চালের উচ্চতা হবে ৬ ফুট। আর অবশ্যই ঘরের আলো বাতাস ঢুকার জন্য সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। আপনি চাইলে বাঁশ কাঠ অথবা ইট দিয়ে ঘর তৈরি করতে পারেন। এবং বাঁশ বা কাঠের মাঝে এক থেকে দেড় ইঞ্চির চেয়ে কম পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে।
দেয়ালের বেড়া নেট বা চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে শীতের জন্য।লেয়ার মুরগি পালনের জন্য ঘরের চাল টিন,পলিথিন অথবা ছনের ছাউনি গোল পাতা দিয়ে দিতে পারেন। অবশ্যই চালের নিচে তাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য বাঁশের চাটাই দিতে পারেন, এতে তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মেঝে পদ্ধতি: আপনারা চাইলে খুব সহজে একই পদ্ধতিতে মাচা তৈরি না করে ঘরের মেঝে পাকা বা শক্ত কিছু বিছিয়ে দিয়ে ঘর তৈরি করতে পারেন। মেঝের উপরে ধানের তুষার অথবা কাঠের গুঁড়ো দিলে মুরগি খুব ভালোভাবে থাকতে পারে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তুষা অথবা কাঠের গুড়োতে যেন কোনরকম জীবাণু না থাকে। মেঝেতে তিন থেকে চার ইঞ্চি পুরো করে ধানের তুষা ও কাঠের গুড়ো দিতে হবে।
তাহলে খুব সহজে লেয়ার মুরগি ডিম পাড়তে পারে। এতে ডিম ভাঙ্গার কোন ঝুঁকি থাকে না। আপনারা এ কাজটি করতে পারেন ধানের তুষা অথবা কাঠের গুড়ো বস্তা বন্দী অবস্থায় জীবনমুক্ত করতে ২ লিটার পানিতে ফরমলিন মিশ্রণ করে স্প্রে করে দুই থেকে তিন দিন রেখে দিতে হবে। এতে খুব সহজেই জীবাণুমুক্ত হয়।
দুই থেকে তিন দিন পর বের করে ভালোভাবে শুকাতে হবে যাতে ভিতরকার গ্যাস বের হয়ে যায়। আর অন্যান্য পদ্ধতিগুলো মাঁচা পদ্ধতির মতনই হবে। মেঝে পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি পালন করলে মুরগির রোগ বালাই বেশি দেখা দেয়, এ তো মুরগির মারাও যায়।
খাঁচা পদ্ধতি: খুব সহজে লেয়ার মুরগি পালন করতে পারবেন খাচায় রেখে। অনেকে শখ করে অনেকে লেয়ার মুরগি পালন করতে চান। কিন্তু রাখবেন কোথায় এটা ভেবে পান না এজন্য, খুব সহজেই খাচা পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি পালন করতে পারবেন কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই। ঘরের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মাপের খাঁচা বিক্রি করে। এতে লেয়ার মুরগি পালন করা খুব সহজ হয়।
এবং খাঁচার ভিতর ১০ থেকে ১৫ টি মুরগি পালন করা যায় এবং প্রতিটি মুরগির জন্য ৫০ থেকে ৭০ ইঞ্চি পরিমাণ আলাদা আলাদা কেইজে রাখা হয়। আপনি চাইলে কাস্টমাইজ করে মুরগি পালনের জন্য খাঁচা তৈরি করে নিতে পারেন। খাঁচা তৈরি করতে পারেন লম্বালম্বি বা শারিবদ্ধ ভাবেও তৈরি করা যায়। শারি উপর আরেক সারি এভাবেও কয়েক সারি তালা উপরে তালা তৈরি করা যায়। এবং মাঝে সিঁড়ি দিয়ে দুই পাশে কাঠামো রেখে খাঁচা তৈরি করা যায়।
এবং বৃত্ত আকারে বা গোল আকৃতি করে বড় সাইজের খাঁচা তৈরি করা যায়। এবং খাঁচাগুলো কাস্টমার করে নিলে মুরগি ডিম পারলে ডিমগুলো সাইডে চলে যায় এবং পানি ও খাদ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় খাঁচার ভিতর, এভাবে খুব সহজেই কাঁচা পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি পালন করা যায়, এবং খুব সহজে লাভবান হওয়া যায়।
লেয়ার মুরগির খাদ্য তালিকা ও ভ্যাকসিন কতদিন পর পর দিতে হয় বিস্তারিত জানুনলেয়ার মুরগির কি কি রোগ হয় এবং এর প্রতিকার কি
লেয়ার মুরগির রানীক্ষেতে ভাইরাসজনিত তীব্র ছোঁয়াচে রোগ হয়। বাংলাদেশের মুরগির রোগ গুলোর মধ্যে রানীক্ষেত সবচেয়ে মারাত্মক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ। প্রতিবছর এই রোগের কারণে দেশের বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় কারণ এই রোগ ছোঁয়াচে বয়সের তুলনায় বাচ্চা মুরগি এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া এবং শীত বসন্তকালে এই রোগ দেখা যায়,
তবে বছরের অন্যান্য সময়ও এই রোগ হতে পারে। এই রোগটি সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের নিউক্যালসল নামক শহরে সনাক্ত করা হয়। এছাড়াও উপমহাদেশ ভারতের রানীক্ষেত নামক স্থানে সর্বপ্রথম এই রোগটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে এজন্য রোগকে রানীক্ষেত রোগ বলা হয়। এই রোগ গুলো কিভাবে সংক্রমণ হতে পারে বিস্তারিত জানুন
- খাদ্য, পানি ও লিটারের মাধ্যমে
- বাতাসের মাধ্যমে আক্রান্ত স্থান থেকে অন্য স্থানে জীবাণু ছড়াতে পারে
- পরিচর্যা কারী বা দর্শনার্থী মানুষের জামা জুতা বা খামারের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ছড়াতে পারে
- বন্য পশুপাখির মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে
- মৃত মুরগি বা পাখির যেখানে সেখানে ফেললে
- অসুস্থ পাখির সর্দি হাচি কাশি থেকে অন্য স্থানে জীবানু ছড়াতে পারে
- আক্রান্ত অতিথি পাখির মাধ্যমে ছড়াতে পারে
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধ দুই ধরনের টিকা ব্যবহার করা হয়। বি সি আর. ডি. ভি. এবং আর.ডি.বি, টিকা ছাড়া রোগ দমন করতে চাইলে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
- রানীক্ষেত রোগের আক্রান্ত মৃত মুরগিকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা মাটি চাপা দিতে হবে
- খামারের যাবতীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি জীবাণু নাশক ওষুধ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- কোন খামারে এই রোগ দেখা দিলে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সমস্ত মুরগিকে ধ্বংস করতে হবে, কোনভাবেই আক্রান্ত মুরগি খামার থেকে বের করা যাবে না।
- ডিম পাড়া শুরুর আগেই এই টিকা প্রদান করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
- নিয়মিত আইওসান মিশ্রিত পানি দ্বারা ঘর ও খাবার পাত্র পরিষ্কার করতে হবে।
- ডিম ফোটানোর সময় সুস্থ ও জীবাণুমুক্ত ডিম বেছে নিতে হবে।
- সব সময় খামারের আশেপাশে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে
- বেশি দিন পুরনো খাদ্য খাওয়ানো যাবে না।
রোগের লক্ষণ:
- খাদ্যে অরুচি পাতলা পায়খানা হবে মুখে ঘা দেখা দিবে
- শরীরে ওজন কমে যাবে ও প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়
- ঝিমাবে ও শ্বাস নিতে কষ্ট হবে হঠাৎ হঠাৎ শরীরে কাপুনি হবে
- হাঁটা বা নড়াচড়া অনীহা দেখা দিবে
- চোখ দিয়ে পানি পড়ে
- সবুজ রংয়ের পাতলা পায়খানা দেখা দেয়।
- মুরগির খাবার চাহিদা কমে যায়
- মুরগির ঝুটি বেগুনি রং ধারণ করে
- শরীর ফুলে যায়
বয়লার মুরগি পালন ও পরিচর্যা করার নিয়ম
- বয়লার এক ধরনের বিশেষ মুরগির যার রহস্য পৃথিবীর মাত্র চারটি দেশ জানে, ঐসব দেশগুলোর মাধ্যমে বয়লার মুরগির ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। বয়লার মুরগি আর সব মুরগির মতোই কিন্তু এদের খাদ্যের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে। এজন্য ব্রয়লার মুরগিকে মানুষ আলাদা মুরগি ভাবে। যারা বয়লার মুরগী নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই টিপস গুলো।
- একদিনের বয়লার মুরগির বাচ্চার ওজন ৩৮ থেকে ৪০ গ্রাম হয়ে থাকে। এমন বাচ্চা কিনলে বিক্রির সময় লাভ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
- তবে বয়লার মুরগির জাত দেখে কিনতে হবে না হলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ এক জাতের বয়লার মুরগি রয়েছে এটা খুব দ্রুত বড় হয় ,আর আরেক জাতের মুরগি রয়েছে যা বৃদ্ধি পায় না।
- বয়লার মুরগি বৃদ্ধি করার জন্য দরকার সুষম খাদ্য, এই খাবারের মাধ্যমে মুরগির শরীরে মাংস লাগে, এবং খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে উঁচু পর্যায়ে আমিষ এবং শক্তি বা তাপ দিতে পারে। এমন খাবার দিতে হয় কারণ এই বাচ্চাগুলোকে বাঁচানোর জন্য, প্রথমে খাদ্য দরকার প্রতি কেজি খাবারে আমিষ ২৩.২৪% তাপ ২৯৫০-৩০০০ কিলোক্যালরি আরো সুষম খাদ্যে থাকবে ১৯. ২০% তাপ ৩০০০/৩৩০০ কিলোক্যালরি প্রতি কেজি খাবারে, এই জন্য বয়লার মুরগি বাজারে যাবার আগে খাবারে ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ বয়স দেওয়া যেতে পারে।
- বয়লার মুরগির জন্য বিশেষ করে আমিষ অ্যামাইনো এসিড গুলির মধ্যে লাইসিন এবং মেথিও লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এরা বয়লার মুরগি বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে। তাড়াতাড়ি মাংসতে পরিণত করে ফলে বয়লার মুরগির ব্যবসায় ইনকাম ভালো হয়।
- বয়লার মুরগিকে পটাশিয়াম আয়োডিন ম্যাগনিজ সালফেট এবং জিঙ্ক কার্বনেট মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়ানো হয়।
- ভিটামিন A.2. B.2 D.2 B.12 এবং K ভীষণ প্রয়োজন বয়লার মুরগির জন্য
ব্রয়লার মুরগির ঘর তৈরি করার নিয়ম
ব্রয়লার মুরগির ঘর হবে পূর্ব ও পশ্চিম দিক করে ,এবং ঘরে আলো বাতাস যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। দূরত্ব হবে ১৫ থেকে ১২ মিটার, এবং প্রত্যেকটা মুরগির জন্য এক ফুট করে জায়গা নির্বাচন করতে হবে, আপনি কয়টি মুরগি পালন করবেন তার উপর নির্ভর করে ঘর তৈরি করবেন।ঘরের আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পোকামাকড় উকুন ছোট বড় এটুলি মেরে ফেলতে হবে। বাচ্চা মুরগির জন্য ঘরটি যেন গরম হয় সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
মুরগি নিয়ে আসার দুই থেকে তিন দিন আগে সবকিছু যাচাই করে নিতে হবে ঠিক আছে কিনা। এবং ঘরটিতে যেন শীত থেকে বাঁচার ব্যবস্থা রাখতে হবে।কারণ বয়লার মুরগী বেশি গরম সহ্য করতে পারি না তেমনি শীতল সহ্য করতে পারি না এজন্য দুটি ব্যবস্থায় রাখতে হবে এবং সুষম খাদ্য খাবার পানি সবকিছু জীবাণুনাশক করতে হবে । তাহলে মুরগির রোগ ব্যাধি কম হবে, মুরগি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আপনারা চাইলে উপরে আগের নিয়ম অনুযায়ী মুরগির ঘর তৈরি করতে পারেন।
বয়লার মুরগির রোগ ও প্রতিকার করার নিয়ম
বয়লার মুরগি পালন করার সময় অনেক রকম সমস্যায় করতে পারেন এবং সে সমস্যাগুলো থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার গোপন টিপস জেনে নিন যেসব রোগ দেখা দেয় সেগুলো হলো
- একই সময়ে কিছু বাচ্চা তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায় আবার কিছু বাচ্চা ছোট থেকে যায়
- ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা
- বাজার ব্যবস্থা
- গামাবোরা রোগ
লেখক এর মন্তব্য
আপনারা হয়তো আর্টিকেলটি পড়ে অনেকে ভাবছেন মুরগি পালন করবেন খুব সহজে। ঝামেলা ছাড়াই মুরগি পালন করা যায় খাঁচার মাধ্যমে, এতে আপনার বাড়ির পরিবেশে পালন করতে পারেন। আবার অনেকেই ছোট একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন, মুরগির খামার কিভাবে তৈরি করবেন তা উপরে দেওয়া হয়েছে। ১০০টি লেয়ার ও বয়লার মুরগি পালনের সহজ পদ্ধতি দেয়া আছে। এবং কখন কি পরিমান খাদ্য দিতে হবে কিভাবে ঘর তৈরি করবেন কি পরিমাণ জায়গা লাগবে কিভাবে পালন করলে মুরগি খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে বিস্তারিত আলোচনা আছে।
আশা করি ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে গিয়েছেন ,কোনো সমস্যা হলে আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন চেষ্টা করব প্রশ্নের উত্তর দিতে, আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য, আরও কি কি বিষয় আর্টিকেল পেতে চান কমেন্টে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url