কম খরচে দেশি মুরগি পালনের সহজ পদ্ধতি জানুন

বাংলাদেশের গ্রামের প্রায় মানুষই মুরগি পালন করে। কারণ খুব সহজেই কম খরচে মুরগি পালন করা যায় কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। মুরগি পালন করে পরিবারের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করা যায় । কম খরচে মুরগি পালন করে ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অল্প জায়গায় অনেক মুরগি পালন করা যায়। কারণ মুরগির রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি। অল্প সময়েই কম খরচে মুরগি পালন করে লাভবান হওয়ার গোপন টিপস জেনে নিন।



কোন ধরনের মুরগি পালন করলে তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন। কি কি খাবার দিলে মুরগির তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধি পাবে। কেমন পরিবেশে মুরগি পালন করলে মুরগির রোগ ব্যাধি কম হবে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন

সূচিপত্র: অল্প জায়গায় খুব সহজে মুরগির চাষের পদ্ধতি কি

বাংলাদেশে গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ পরিবারেই কম বেশি মুরগির পালন করে থাকে। মুরগি পালন করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। মুরগি পালন করলে পরিবারের আমিষের চাহিদা পূরণ হয় এবং বাজারে বিক্রি করে টাকা ইনকাম হয়। খুব কম খরচেই মুরগি পালন করা সম্ভব। কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই অল্প জায়গায় মুরগি পালন করা যায়। মাত্র ৩০ দিন মুরগি পালন করলেই একটি মুরগির ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়। কিভাবে খুব সহজে কম খরচে মুরগি পালন করবেন সেই পদ্ধতি জানুন । কি পরিমাণ মুরগি কে খাবার দিতে হবে, কি খাবার দিতে হবে ,

কোন কোন ওষুধ খাওয়ালে মুরগি রোগ ব্যাধি হবে না। মুরগিকে কোন পরিবেশে রাখলে মুরগির তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধি পাবে, মুরগিকে কি খাবার দিলে তাড়াতাড়ি ডিম দিবে। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি কি পদ্ধতি অবলম্বন করে বড় একটি মুরগির খামার গড়ে তোলা যাবে সেই সম্পর্কে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল। নিচে কম খরচে মুরগি পালনের সহজ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আকারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

দেশি মুরগি পালন করার পদ্ধতি কি

কম খরচে মুরগি পালনের সহজ পদ্ধতি জানুন, দেশি মুরগি পালন করা খুবই সহজ এবং অল্প জায়গায় দেশি মুরগি পালন করা যায়। বাজারে বেশি মুরগির চাহিদা অনেক বেশি , কারণ দেশি মুরগির মাংস অনেক সুস্বাদু ।এই জন্য অনেকেই চান দেশি মুরগি পালন করতে। আপনি চাইলে খুব সহজে ছোট দেশি মুরগির খামার তৈরি করতে পারেন বাড়িতে। খুব কম খরচে মুরগির পালন করা যাবে কারণ বাড়িতে বাসি খাবার ধান,গম,ঘাস,পাতা,কচু খেয়ে মুরগি খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। পুষ্টির জন্য কিছু খাবার বাড়তি দিতে হয় দেশি মুরগিকে। দেশি মুরগি আকারে ছোট হওয়া সত্ত্বেও দেশি মুরগি পালন করা ব্যয়বহুল।

দেশি মুরগি বছরে ৪০ থেকে ৫০ টি ডিম দিয়ে থাকে। অন্যান্য জাতের মুরগির তুলনায় দেশি মুরগির ডিম আকারে ছোট হয়। দেশি মুরগির ডিম ও মাংসের দাম সব সময়ই বেশি থাকে। এইজন্য খুব সহজে এবং কম টাকা ইনভেস্ট করে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। লেখাপড়া বা চাকরির পাশাপাশি ও দেশি মুরগির পালন করতে পারবেন খুব সহজে,নিজ বাড়িতে। দেশি মুরগির রোগ বালাই খুবই কম এজন্য দেশি মুরগি পালন করতে কোন ধরনের ঝুঁকি নেই। তাই খুব সহজেই দেশি মুরগি পালন করা সম্ভব হয়।

দেশি মুরগির পালনের ঘর তৈরির পদ্ধতি

দেশি মুরগির পালনের জন্য খোলামেলা ঘর হওয়া প্রয়োজন। ২.৫ মিটার (১০ ফুট) লম্বা X২.২ মিটার (৮ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের তরজা বা কাঠের তক্তা অথবা নেট দিয়ে তৈরি করতে হবে। অথবা মাটির দেয়াল ও দালানে তৈরি করা যাবে। কিন্তু বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র রাখতে হবে। ঘরের চাল টিন বা খড় সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে।

দরজা তৈরিতে কাঠের তক্তা পাশে দিয়ে মাঝখানে নেট দিতে হবে। এরকম ঘরে ২৫ থেকে ৩০ টি দেশি মুরগি পালন করা যাবে।আমাদের দেশে বেশিরভাগ দেশি মুরগি খোলামেলা জায়গায় পালন করা হয় এতে স্বল্প পুঁজিতে বেশি ইনকাম হয়। আমাদের দেশের নারীরা এই পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করে থাকে। এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। মুরগির বৃদ্ধি কম হয় এবং রোগব্যাধি বেশি হয়। এভাবে মুরগি পালন করলে মুরগির ওজন আসতেও অনেক সময় লাগে।



এতে লাভ কম হয়, কম ডিম পাড়ে, বাচ্চা কম হয়, মুরগির বাচ্চা বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এভাবে মুরগি পালন করতে ১৪৫ থেকে ১৫০ দিন সময় লেগে যায়। তাই চলুন মুরগি উৎপাদনের চক্র সম্পর্কে জেনে নিই। মুরগি উৎপাদনের চক্রকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলো হলো।
  • ডিম পাড়া ১৮ থেকে ২৪ দিন
  • ডিম কুচে বা তা দেয় ২২ দিন
  • বাচ্চা পালন ৯০ থেকে ১০০ দিন
  • বিশ্রাম ১২ থেকে ১৫ দিন
৫০ টি দেশি মুরগির পালনের খাদ্য তালিকা:

উপাদান স্টার্টার গ্রোয়ার লেয়ার
ভুট্টা ২৫ কেজি ২৬ কেজি ২৬ কেজি
গম ৪ কেজি ৩ কেজি ২ কেজি
সুয়াবিন মিল ১২ কেজি ১১ কেজি ১১ কেজি
রাইচপালিশ ৫ কেজি ৫ কেজি সাড়ে তিন কেজি
প্রোটিন ৪ কেজি ৩ কেজি দেড় কেজি
লাইমস্টোন/ঝিনুক চৃণ দেড় কেজি দেড় কেজি ৫ কেজি

দেশি মুরগির রানীক্ষেত কি কি রোগ হয়

  • মুরগির ঘাড় বেঁকে যায় কখনো কখনো একই স্থানে দাঁড়িয়ে ঘুরতে থাকে।
  • মুরগি দুর্বল হয়ে ঠোঁট বুক মাটিতে লাগিয়ে বসে পড়ে।
  • নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং হা করে নিঃশ্বাস নেয়।
  • মাথা নিচু ও চোখ বন্ধ করে ঝিমাতে থাকে।
  • সাদা চুলের মতো পাতলা মলত্যাগ করে।
  • নাক দিয়ে সর্দি ও মুখ দিয়ে লালা ঝরে।
  • মুরগি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
  • গামবোরা রোগ
  • পুলোরাম রোগ
  • বসন্ত রোগ
  • ফাউল কলেরা রোগ
  • হিট স্ট্রোক রোগ
  • আমাশয় রোগ ইত্যাদি

মুরগির পায়খানা বা বিষ্ঠা:

মুরগি পালন করে যেমন মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণ হয়। তেমনি মুরগির পায়খানা বা বিষ্ঠা জৈব সারের একটি মূল উৎস। এই সার দিয়ে কোন ফসল ফলালে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এতে কম খরচে ভালো ফসল চাষ করা যায়। মুরগি খোলামেলা জায়গায় পালন করলে পোকামাকড় খেয়ে নেয় এতে তাদের বাড়তি খাবার বেশি দিতে হয় না। এতে মুরগির মালিকের খাদ্য কম লাগে,খরচ কম হয় বাজার সম্ভাবনা বা স্থায়ী বাজার ছাড়াও বড় বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি করা যায়।মুরগির ডিম বাজারে বা প্রতিবেশী ও স্থায়ী কোনো দোকানে পাইকারি বিক্রি করা যায়।

দেশি মুরগি পরিচর্যা করার নিয়ম

দেশি মুরগি পরিচয় জন্য বেশি লোকজন বা বেশি সময় দরকার হয় না। তারপরেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে । সকালে সঠিক টাইমে মুরগির ঘর খুলে দিয়ে খাবার দিতে হবে। পানি দিতে হবে, সন্ধ্যার সময় খাবার দিয়ে মুরগিকে ঘরে উঠিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে। আবার মুরগির ঘরের পরিচর্যা বা খেয়াল রাখতে হবে। যেন মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে লেপটে না যায়,



সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ অথবা কাঠের গুঁড়ো ২.৫ সেন্টিমিটার বা ১ ইঞ্চি পুরো করে বিছে দিতে হবে। মুরগির পায়খানা জমতে জমতে যেন জমাট না বাদে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ২০ থেকে ২৫ দিন পর পর চেঞ্জ করে দিতে হবে। এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে কম খরচে খুব সহজে বেশি মুরগি পালন করে লাভবান হওয়া সম্ভব।

দেশি মুরগির পায়খানা দেখে রোগ নির্ণয় করুন

দেশি মুরগি খোলামেলা জায়গায় পালন করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সহ বেশ কিছু অদৃশ্য অনুজীবের সংক্রমণে মারা যায় অনেক মুরগি। মুরগির ভাইরাসের আক্রমণ করলে পায়খানা পরিবর্তন দেখা দেয় আসুন জেনে নেই মুরগির পায়খানা দেখে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি

সাদা বা চুনা পায়খানা: রানীক্ষীত, আই বি ডি, কলেরা, কিডনিতে সমস্যা, গাউট, পোলোরাম ডিজিজ, আই বি এইচ,ই কলাই ইত্যাদি।

হলুদ ও কমলা পায়খানা: কলেরা ,টাইফয়েড,পোলোরাম ডিজজ,নেক্রোটিক,এন্ট্যারাইটিস

সবুজ পায়খানা: এ আই, এন ডি,সালমোনেলোসিস,কলেরো (খাবার কম খায়),ই কলাই,মোইকেটক্রিন 

সবুজভ হলুদ: ই কলাই,ক্লেমাইভিওসিস,পোটাজোয়া,টাইফয়েড,এনভি,রক্ত আমাশয়।খাবার দানা যুক্ত: ইনডাইজেশন, মুরগির পায়খানা দেখে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।

দেশি মুরগির কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় এবং প্রতিকার জানুন

ভিটামিনের অভাবে দেশি মুরগির রোগ বালাই এর লক্ষণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জেনে রাখা প্রত্যেক খামারির জন্য প্রয়োজন। কারণ সঠিক সময়ে সুষুম খাবার খাওয়ানোর ফলে মুরগির উৎপাদন ভালো হয়। মুরগির পালনে সফলতা পেতে হলে দেখতে হবে মুরগি সঠিকভাবে খাবার পাচ্ছে কিনা।মুরগি সঠিকভাবে খাদ্য ও ভিটামিন পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।খাদ্যে পুষ্টির পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ সৃষ্টি হয়।

এতে মুরগির মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়। মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন গুলো হল ভিটামিন এ,ভিটামিন ডি,ভিটামিন ই,এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স নির্দিষ্ট পরিমাণ দিতে হবে তাহলে মুরগির রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত কম হবে। ভিটামিনের অভাবে মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।উর্বরতা হ্রাস পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, মুরগির ডিম ছোট ও পাতলা খোসা হয়, ওজন কমে যায়, মুরগি দুর্বল হয়ে পড়ে, চর্মপ্রদাহ দেখা দেয়।

রোগ প্রতিরোধ করার উপায়: মুরগিকে সবসময় সুষুম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। সবুজ শাকসবজি, হলুদ ভুট্টা, গম, ধান, সরিষা, এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার দিতে হবে। চাইলে কৃত্তিম ভিটামিন ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের খামারে মুরগির জন্য কৃত্রিম ভিটামিন ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া মুরগির ঘর ও আশপাশ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মুরগিকে রোগ প্রতিরোধী বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন যথাসময়ে প্রদান করতে হবে।

এছাড়াও কিছুদিন পর পর একজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দিয়ে খামারের মুরগি পর্যবেক্ষণ করাতে হবে। প্রাণী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মুরগীকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সরবরাহ করতে হবে। এভাবে ঠিকমতো মুরগির পরিচর্যা করলে মুরগিকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

মুরগি পালনের উপকারিতা 

গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই কমবেশি মুরগি পালন করে থাকেন। মুরগি পালন করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। মুরগি পালনের গুরুত্ব অনেক। মুরগি পালন করে যেমন পরিবারের সদস্যদের আমিষের চাহিদা পূরণ করা যায়। ঠিক তেমনভাবে মুরগি ও মুরগির ডিম বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যায় ।বাড়িতে ছোট পরিসরে মুরগি পালনে তেমন কোন অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া মুরগির জন্য বাড়তি কোন খাবারের ব্যবস্থা করতে হয় না। তাই গ্রামের প্রায় সব পরিবারেই মুরগি পালন করে থাকে। মুরগি পালন করা প্রতিটা পরিবারের জন্যই উপকারী। কারণ খুব সহজেই মুরগি পালন করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করা যায়।

যা একটি সংসারের জন্য সুফল বয়ে আনে ।বাড়িতে মুরগি পালন করার জন্য তেমন কোন খরচ হয় না। প্রতিদিন বাড়িতে যে খাবার নষ্ট হয় সেই খাবার মুরগিকে খাওয়ানোর মাধ্যমে মুরগি পালন করা যায়। এতে করে মুরগির খাবারের জন্য কোন চিন্তা করতে হয় না এবং কোন বাড়তি টাকা পয়সাও খরচ করতে হয় না। বরং আমাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার দিয়েই মুরগির খাবারের চাহিদা পূরণ করা যায়। তাছাড়া মুরগি পালনের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনাতেই ছোট্ট একটা ঝুপড়ির মত ঘর তৈরি করে তার মধ্যেই অনেক মুরগি পালন করা যায়।

এতে করে মুরগির জন্য খুব বেশি অর্থ অপচয় করা লাগে না। এছাড়াও গ্রামের বাড়িতে যে সকল মুরগি পালন করা হয় সেগুলো সারাদিন ছেড়ে দেয়াই থাকে। যার ফলে মুরগি তার খাবার বাহির থেকেই যোগাড় করে নেয়। যার ফলে সারাদিন মুরগির পেছনে পড়ে থাকতে হয় না। সবদিক বিবেচনা করে বোঝাই যাচ্ছে মুরগির পেছনে তেমন কোন টাকা পয়সা খরচ করার প্রয়োজন হয় না। বরং খুব সহজেই মুরগি পালন করে সংসারে বাড়তি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। যে অর্থ পরবর্তীতে সংসারের কাজে লাগে। তাই মুরগি পালন করার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

একদিকে যেমন তেমন কোন অর্থ ব্যয় না করেই মুরগি পালন করা যায়। অন্যদিকে আবার মুরগি পালন করার পরে সেই মুরগী থেকে পরিবারের সকলের আমিষের চাহিদা খুব সহজেই মেটানো যায়। পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে মুরগি ও ডিম বিক্রি করার মাধ্যমেও বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন করা যায়। যা একটি পরিবারের জন্য উভয় দিক থেকেই লাভজনক। তাই আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা চাইলেই খুব সহজেই মুরগি পালন করতে পারি। আর সবথেকে বড় কথা মুরগি পালনে তেমন কোন অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না।

তাই চাইলে সবাই মুরগি পালন করতে পারে। মুরগি পালন করলে ধীরে ধীরে আপনার সংসারের বাড়তি কিছু টাকা উপার্জন হতে থাকবে। যা আপনাদের জন্যই ভালো। তাই আমাদের সবার উচিত কমবেশি মুরগি পালন করা এবং সংসারে আয়ের উৎস বাড়ানো। পরিশেষে আমরা বলতেই পারি মুরগি পালন আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।

লেখক এর সর্বশেষ মন্তব্য

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে দেশি মুরগি পালন করতে হবে। আপনি যদি আমাদের মুরগি পালন পদ্ধতি অনুসরণ করে মুরগি পালন শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনি লাভবান হতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি অল্প সময়ে, কম খরচে, রোগবিহীনভাবে মুরগিকে বড় করতে পারবেন।আমরা সবাই জানি মুরগি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। মুরগি পালন করে অনেকেই তার ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে পেরেছেন।

যেহেতু অল্প পুঁজি দিয়েই মুরগি পালন শুরু করা যায় তাই যে কেউ চাইলেই মুরগি পালন শুরু করতে পারবেন। মুরগি পালন করে একদিকে যেমন আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। অপরদিকে আপনি মুরগি ও ডিম বিক্রি করে টাকাও ইনকাম করতে পারবেন ।তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন মুরগি পালন করা আপনার জন্য উভয় দিক দিয়েই লাভজনক।

এমন আরো তথ্যমূলক, উপকারী ও সহায়ক পোস্ট পেতে চাইলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। কারণ আমরা সর্বদা চেষ্টা করি আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে উপকার করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কারণ আপনি আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করলে আপনার মাধ্যমে তারাও উপকৃত হবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url