ডায়াবেটিস পরিমাপ করার ১৫টি মেশিনের নাম ও দাম ২০২৪
সারা পৃথিবীতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। ডায়াবেটিস একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর রোগ। ডায়াবেটিসকে সকল রোগীর উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস হচ্ছে শরীরের সেই বিশেষ রোগ যা শরীরকে ইনসুলিন তৈরি করতে অক্ষম করে। এবং শরীরে ইনসুলিন ব্যবহারে অক্ষমতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় যাকে ডায়াবেটিস রোগ বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষণা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জরিপ করে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ১০০% মানুষের মধ্যে ৯৫ পার্সেন্ট লোক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, প্রতি সেকেন্ডে প্রায় একজন লোক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগ একবার হলেও খুব সহজে নিরাময় হয় না। ডায়াবেটিস রোগ হলে নিয়মিত ডায়েট ও চেকআপ মেন্টেন করে চললে খুব সহজে কন্ট্রোল করা সম্ভব। ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আছে কিনা এটা জানার জন্য বারবার ডক্টরের কাছে যেতে হয়।
এই জন্য ডাইবেটিস পরিমাপের যন্ত্র নিজের কাছেই রাখা উচিত। এতে খুব সহজেই জানা যায় ডায়াবেটিস এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে। গ্লুকোমিটর হলো ডায়াবেটিস পরিমাপের যন্ত্রের নাম। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডায়াবেটিস পরিমাপ করার মেশিনের নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
- ভূমিকা:
আপনারা হয়তো ডায়াবেটিস পরিমাপ করা মেশিনের নাম ও দাম জানতে আগ্রহী। ডায়াবেটিসের জন্য কোন মেশিন ভাল হবে দাম কেমন হবে এটা হয়তো অনেকেরই অজানা বিষয়। এইজন্য আজকে আমরা ডায়াবেটিস পরিমাপ করা মেশিনের নামও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এবং কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
পোস্ট সূচীপত্র:-কিভাবে চললে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট চার্টও খাদ্যের তালিকা আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে শেয়ার করব। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- ডায়াবেটিস মেশিন কি
গ্লকোমিটার হল ডায়াবেটিস পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম।এই যন্ত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই ডায়াবেটিস গ্লকোজ এর পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। এই মেশিনের মাধ্যমে শরীরের ডায়াবেটিসের মাত্রা বা পয়েন্ট কেমন আছে তৎক্ষণিকভাবে জানা যায়।খুব সহজেই যে কেউ ঘরে বসেই ডায়াবেটিসের পরিমাণ কেমন আছে চেক করতে পারবে।
কম খরচেই ডায়াবেটিস মাত্রা চেক করা যায়।কারণ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিস মাপার মেশিন রয়েছে। আপনি ভালোভাবে দেখে শুনে নিতে পারেন।কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজ পদ্ধতিতে গ্লুকোমিটর মাধ্যমে মানুষ ডায়াবেটিসের মাত্রা সম্পর্কে জেনে নিয়ে, এবং সচেতন হতে পারবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের খাদ্যের ডায়েট চার্টের তালিকা হলো
খাবারের তালিকা | খাওয়ার সময় |
---|---|
১টি রুটি, বাটি সবজি অপেল অথবা পেয়ারা এক গ্লাস দুধ সুগার ছাড়া, একটি ডিম কুসুম ছাড়া খেতে হবে। | সকালের ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে |
এক বাটি ভাত একবারে সবজি এক পিস মাছ অথবা দুই থেকে তিন পিস মাংস সাথে সালাদ | দুপুর ১২.৩০ থেকে ১.৩০ মধ্যে |
এক কাপ চা অথবা এক কাপ কফি সুগার ছাড়া চিনি ছাড়া বিস্কিট পপকন, ছাতু, | বিকালের নাস্তা ৫.০০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত |
এক বাটি সবজি, সালাত, অথবা সবজি সুপ, একটি আপেল এক গ্লাস দুধ, খেতে পারেন | রাতের খাবার ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে |
ডায়াবেটিস হলে অনেকে আবার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বলতে কিছু বুঝে না। এবং কোন কিছু বাজ বিচার না করেই খেয়ে নেয়, এর কারণে তার ডায়াবেটিস অনেক অংশে বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাবারে ডায়েট করতে হবে। এবং বেলা খাবারের সময় সবজি রাখতে হবেও বিভিন্ন ধরনের সালাত রাখতে হবে বিশেষ করে ক্যালরি মুক্ত খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এইজন্য আজকে আপনাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যের ডায়েট জাতের জাতের চার্টের তালিকা দেওয়া হলো।
- ডায়াবেটিস পরিমাপের ১৫টি মেশিনের নাম ও দাম জানুন
মেশিনের নাম | মেশিনের দাম |
---|---|
A CCU CHEK Performa | 1100 Taka |
ACCU CHEK Instants | 950 Taka |
Palm Check | 750 Taka |
Viva Check Ino | 1299 Taka |
FIA Biomed | 690 Taka |
Contour TS | 2200 Taka |
Quick Check | 1500 Taka |
Sugar Check | 1330 Taka |
Gluco Leader Enhance | 1400 Taka |
Gluco Sure Auto Code | 1899 Taka |
Bionime GS100 | 1000 Taka |
Right Test | 850 Taka |
Prodigy Preferred | 999 Taka |
On Call Plus | 1550 Taka |
Glu Neo Light | 500 Taka |
ডিজিটাল বাংলাদেশে আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসে ডায়াবেটিস মেশিনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডায়বেটিস পরিমাপের মেশিন রয়েছে। গ্লুকোমিটর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মডেল এবং তার ওপর ভিত্তি করে এর দাম রাখা হয়। আপনারা আপনাদের সাধ্যের মধ্যে ভালো দেখে ডায়াবেটিস পরিমাপের মেশিন কিনে নিবে।যাতে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ডায়াবেটিসের মাত্রা পরিমাপ করতে পারেন।
ডায়াবেটিস পরিমাপ করার জন্য কোন মেশিন আপনাদের জন্য ভালো হবে।কোনটা কিনলে ভালো ফলাফল পাবেন। সেই সুবিধার্থে ভালো ও উন্নত মানের ডায়াবেটিস পরিমাপের মেশিনের নাম ও দাম দামের তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
- ডায়াবেটিস মাপার জন্য যা যা দরকার হয়
আমরা ডায়াবেটিস মাপার বিভিন্ন ধরনের মেশিনের নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। ভালো ব্র্যান্ডের মেশিন কিনলেই তো হবে না। তার সাথে আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস লাগবে।আমরা তো ডায়াবেটিস মাপার গ্লকোমিটার মেশিন কিনেছি। এবার তাহলে আমাদের কিনতে হবে জীবাণুমুক্ত লেনসেট এবং লেনসেট বসানোর জন্য প্লাস্টিকের কলম।
অবশ্যই তার সাথে থাকতে হবে টেস্ট স্ট্রিপ।অনেক সময় টেস্ট স্ট্রিপ আলাদা হয়ে যায়। এজন্য ডায়াবেটিস মাপার মেশিন কেনার সময় অবশ্যই সব জিনিস ঠিক আছে নাকি চেক করে নিবেন। এগুলোর মধ্যে একটিও না থাকলে ডায়াবেটিস পরিমাণ করা সম্ভব নয়।এইজন্য সবকিছু ভালোভাবে দেখে শুনে কিনবেন।
- ডায়াবেটিস পরিমাপ করার কয়েকটি নিয়ম হলো
আপনারা সবাই জানেন যে ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। এই জন্য অত্যন্ত সাবধানতার সাথে ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।আগে কারো থেকে জেনে অথবা দেখে তারপরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। এতে কোন রকম ঝুঁকি থাকে না। আরো কয়েকদিন ডায়াবেটিস পরিমাপ করার নিয়ম জেনে নিন ।
প্রথম ধাপ: ডায়াবেটিস পরিমাপ করার আগে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। এরপরে পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে হাত মুছে নিতে হবে যেন হাতে কোন পানি না থাকে ।
দ্বিতীয় ধাপ: তারপরে ডায়াবেটিস পরিমাপ করার মেশিনের নির্দিষ্ট জায়গায় স্ট্রিপ প্রবেশ করাতে হবে। তবে অবশ্যই গ্লকোমিটার এর মডেল অনুযায়ী স্টিপ নিতে হবে। বাজার থেকে যখন স্ট্রিপ কিনবেন তখন অবশ্যই স্ট্রিপের মেয়াদ আছে কিনা সেটা অবশ্যই দেখে নিবেন ।কারণ স্ট্রিপের মেয়াদ না থাকলে সেটা ডায়াবেটিস পরিমাপ করার সময় ঠিকঠাক মতো কাজ করবে না। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ স্ট্রিপ ব্যবহার করার ফলে আপনার ক্ষতিও হতে পারে।
তৃতীয় ধাপ: প্লাস্টিকের যে কলম কিনেছেন তার ভিতরে ল্যানসেট সংযুক্ত করতে হবে ।তারপরে মনে করে অবশ্যই ল্যানসেটের ঢাকনা সরিয়ে দিতে হবে ।যখনই ডায়াবেটিস পরিমাপ করবেন তখনই নতুন সুচ ব্যবহার করতে হবে। একই সুচ ব্যবহার করে বারবার ডায়াবেটিস পরিমাপ করা যাবে না। কারণ একই সুচ বারবার ব্যবহার করলে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।
সেই সাথে একই সুচ বারবার যদি আপনার আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করান তাহলে সেই সুচের মধ্যে যে জীবাণুগুলো থাকবে সেগুলো খুব সহজেই আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবে। এবং আপনি বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। তাই একই সুচ কখনোই বারবার ব্যবহার করবেন না।
চতুর্থ ধাপ: আপনার হাতের মাঝের একটি আঙ্গুল ভালো করে স্পিরিট দিয়ে মুছে নিন। তারপর স্পিরিট আঙ্গুলে শুকিয়ে যাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
পঞ্চম ধাপ: স্পিরিট ভালোভাবে আঙ্গুলে শুকিয়ে যাবার পরে আঙ্গুলের একপাশে কলমটি ধরে সুঁচ দিয়ে ছিদ্র করে নিতে হবে। তবে মনে রাখবেন প্রতিবার ডায়াবেটিস মাপার সময় আঙ্গুল পরিবর্তন করে নেওয়া উচিত। আঙ্গুল পরিবর্তন করে নিলে আপনার হাতে কোনরকম ব্যথা পরবর্তীতে অনুভূত হবে না।
ষষ্ঠ ধাপ :তারপরে আঙ্গুল টিপে দুই থেকে তিন ফোটা রক্ত গ্লকোমিটার টেস্ট ট্রিপের নির্দিষ্ট জায়গায় দিতে হবে।
সপ্তম ধাপ: টেস্ট স্ট্রিপের মধ্যে রক্ত দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গ্লকোমিটারে আপনার ডায়াবেটিসের পরিমাণ অর্থাৎ সুগার পয়েন্ট দেখা যাবে ।এভাবে ঘরে বসেই আপনি আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা খুব সহজেই করতে পারবেন।আপনাকে সব সময় ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হবে না বা অতিরিক্ত কোন ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে না ।
অষ্টম ও শেষধাপ: আপনার ডায়াবেটিস মাপা শেষ হয়ে গেলে ব্যবহৃত সুঁই এবং স্ট্রিপ ডাস্টবিন বা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিন। এরপরে গ্লকোমিটার ভালোভাবে জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিরাপদ কোন স্থানে যত্ন সহকারে তুলে রাখুন। পরবর্তীতে আবার ডায়াবেটিস পরিমাপ করার সময় যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবেন ।
- শরীর সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিসের পয়েন্ট কত থাকা উচিত
ডায়াবেটিস হলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ।এবং ডায়াবেটিস হওয়ার আগে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। এইজন্য একজন মানুষের ডায়াবেটিস হয়েছে, খুব সহজেই ডায়াবেটিস শনাক্ত করা যায়। ডায়াবেটিস সনাক্ত করার জন্য দুইবার পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার নিয়ম হলো আপনি সকালে খালি পেটে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে পারেন, অথব সকালে নাস্তা করার এক থেকে দেড় ঘন্টা পর করতে পারেন।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের ডায়াবেটিসের পরিমাণ থাকে ৬ পয়েন্ট থাকা দরকার ।কিন্তু সকালের নাস্তা করলে হয়তো একটু বেড়ে যেতে পারে । কিন্তু ভয়ের কোন কারণ নেই, ৯ এর মধ্যে থাকলে স্বাভাবিক ডায়াবেটিস বলে ধরা যায়।একজন ডায়াবেটিস রোগীর অনিয়মিত চলাফেরার জন্য ডায়াবেটিসের মাত্রা বিভিন্ন রকম হয় ।কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীর ক্ষেত্রে তার পয়েন্ট থাকতে হবে ৬ অথবা ৭ মধ্যে থাকতে হবে।
আবার সকালে খাবার খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিসের মাত্রা ৮ থেকে ৯ এর মধ্যে স্বাভাবিক বলে ধরা যায়। এর বেশি হলে নিয়মিত ডায়েট করতে হবে, এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ইনসুলিন নিতে হবে। এ নিয়মগুলো নিয়মিত ফলো করলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর খুব তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমিয়ে নেওয়া সম্ভব ।
- ডায়াবেটিস পরিমাপের ক্ষেত্রে টাইপ ১
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। যা সারিয়ে তোলা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে । এই জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় টাইপ ১ রোগীদের জন্য দিনে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ বার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে।এতে করে জানা যায় রোগীর ডায়াবেটিস কোন পর্যায়ে রয়েছে ।সেই অনুযায়ী ইনসুলিন সেবন করতে হবে।সকালে খালি পেটে একবার আবার ১০.৩০ একবার ১.৩০ এ
একবার ৪.৩০ ও,রাতে আরেকবার এবং যখন ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যায় তখন একবার নিতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে। শারীরিক কিছু ব্যায়াম করতে হবে, তাহলে ধীরে ধীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা কমে আসবে। আস্তে আস্তে ডায়াবেটিসের রোগী সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
- ডায়াবেটিকস পরিমাপের ক্ষেত্রে টাইপ ২
ডায়াবেটিসে একটি কমন রোগ যা প্রত্যেকটা বাসায় কেউ না কেউ এই রোগে আক্রান্ত। হয়তো কারো বেশি হয়তো কারো কম এইজন্য একজন চিকিৎসক ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দুই ভাবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার কথা বলা হয়ে থাকে। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে নিয়মিত ইনসুলিন সেবন করছে, তাদের জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ পরীক্ষার করার কথা বলেছেন। একদিন সকালে খালি পেটে এবং খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে।
পরের দিন দুপুরে খাওয়ার আগে ও পরে আরেকদিন আবার রাতে খাবার আগে ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিতে পারেন। ইনসুলিন অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। সঠিক নিয়ম মেনে নিতে হবে, তাহলে ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব। অনেকে আবার প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে চান না, তাদের জন্য ডাক্তাররা অন্য ধরনের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।সপ্তাহের তিনদিন নিতে হবে, অবশ্যই আগে ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।তারপরে একদিন সকালের খাওয়ার আগে এবং খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ইনসুলিন নিতে হবে।
একদিন পরে আবার দুপুরে খাওয়ার আগে ও পরে নিতে হবে। তারপরে একদিন খাওয়ার আগে ও ঘুমানোর আগে নিতে হবে।এবং পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক কিছু ব্যায়াম করতে হবে। আর অবশ্যই ইনসুলিন সেবনের আগে ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে। এবং ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ।
- লেখকের শেষ কথা :
আমরা অনেকেই ভাবি ডায়াবেটিস রোগ অনেক জটিল এবং মরণব্যাধি রোগ। এই জন্য আমরা আতঙ্কে থাকি।এইজন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে অনেক সমস্যাই পড়ে থাকি। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে নিয়মিত ব্যায়াম শরীরচর্চা করলে এবং ডায়াবেটিসের মাত্রা জেনে ইন্সুলিন সেবন করলে, খুব তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এটি এমন এক ধরনের অসুখ যা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা সতর্কতা অবলম্বন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আমরা এ আর্টিকেলের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মেশিনের নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আশা করি আপনার উপকারে আসবে, এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীদের অনেক যত্ন ও খেয়াল রাখা উচিত। তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে, ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য ও আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনাদের বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে পারেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url