বাদামের পুষ্টিগুণ কি, বাদাম খেলে কি কি উপকার হয়

আমার অনেকেই জানিনা যে বাদামে কি পুষ্টি রয়েছে। বাদাম খেলে কি উপকার হয় এ বিষয়েও অনেকের অজানা, বাদামে রয়েছে পুষ্টিগুণের সমাহার, শরীরের জন্য বাদাম কতটা প্রয়োজন জানলে সবাই নিয়মিত বাদাম খেতেন। বাদামে কি কি পুষ্টি রয়েছে তা জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন ।



আমাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের বাদাম চাষ করা হয়।এক একটি বাদামে রয়েছে এক এক রকম পুষ্টিগুণ বাদাম খেলে কি কি উপকার হয়, বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা শরীরকে সুস্থ রাখে।

সূচিপত্র: বাদামের পুষ্টিগুণ কি, বাদাম খেলে কি কি উপকার হয়

বাদাম খেলে কি কি উপকার হয়, বাদাম এমন একটি খাদ্যশস্য যা শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে, হাড় মজবুত করে, ক্যান্সার নিরাময় করে, দাঁত ভালো রাখে, বাদাম খাওয়ার ফলে ফসফরাস মিনারেল থাকায় শুধু দাঁত ও হাড় শক্ত করে না, দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। 

বাদামে ফাইবার থাকার কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি এগুলো রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত বা নিয়ম মেনে বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাময় পাওয়ার সম্ভব। আরো বিস্তারিত নিজে আলোচনা করা হলো।

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

বাদাম খেলে কি কি উপকার হয় বাদাম বলতে বোঝায় পুষ্টিগুনে সমাহার। প্রতিদিন সকালে খালি ৪ থেকে ৫টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে শরীরে ভালো ও এনার্জি পাওয়া যায়। এবং কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন এ ম্যাগনেসিয়াম ও নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আপনারা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাঠবাদাম 10 থেকে 12 টা ও সকালে ও বিকালে খেতে পারে । 

বাদামে রয়েছে ফাইটিক নামক উপাদান, জিঙ্ক এবং আয়রন শোষণ করতে গেলে ফাইটিক অ্যাসিড বাধার সৃষ্টি করে। এইজন্য এই দুই পদার্থের পুরোপুরি ব্যবহার হয় না। এজন্য কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে হাইটেক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। ফলে তার পুষ্টিগুণ বাড়ে, রোজ কাঠ বাদাম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রয়োজন মতো বাড়তে পারে। 

যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে, এজন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ও সমস্যা নেই। কাঠবাদামের ফাইবার আর প্রোটিনের মাত্রা কম থাকে। তাই কয়েকটি কাঠ বাদাম খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছে তারা নিয়মিত খেতে পারে। এতে খুব সহজেই ওজন কমাতে পারবেন।

কাঠ বাদাম খাওয়ার ১৬ টি উপকারিতা হলো

  • কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় হয়
  • হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • ব্রেনের পাওয়ার বৃদ্ধি করে
  • পুষ্টির অভাব পূরণ করে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে উপকার করে
  • ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল রাখে
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
  • হজম ক্ষমতার উন্নত সাধন করে
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • হার্ট এটা থেকে প্রতিরোধ করে
  • ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • মজবুত করে দাঁত মজবুত করে
  • হাড়ের ক্ষয়ের প্রতিরোধ করে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে  বাদামের ২০ উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

বাদাম হলো এমন একটি উপাদান যার পুষ্টিগুন দেখতে গেলে বাদামের কোন বিকল্প নেই। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন খনিজ আন্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন রয়েছে। যা স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। ছোট থেকে বড় অনেকেই বাদাম খেতে পছন্দ করেন, সঠিক নিয়ম মেনে বাটাম খেলে অনেক রোগ নির্মূল করে। 

তা সবারই জানা কথা, কিন্তু এর সাইড ইফেক্ট রয়েছে। বাদাম খাওয়ার উপকারিতা পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আজ বাদাম খাওয়া নিয়ে আলোচনা করব। বাদাম খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন।

ক্যান্সার থেকে বাঁচায়: কাজু প্রুনোথোসিনিডিন ফ্লাভোনিওাইডের একটি উপাদান যা ক্যান্সার কোষগুলিকে ক্রমবর্ধমান আটকায়।কাজুবাদাম নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

মস্তিষ্কের শক্তিশালী করে: কাজুবাদাম খেলে শুধু শরীর ভালো থাকে না মানুষকে মস্তিষ্কের শক্তিশালী করে তোলে। কাজুবাদামে রয়েছে এক প্রকার তেল থাকে। যা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এজন্য এটি একটি শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি, যা মেমরি শক্তিশালীও স্টং করে তোলে।

ক্লান্তি দূর করেঃ বাদাম শক্তির উৎস বাদাম খাওয়ার ফলে এনার্জি বৃদ্ধি হয়। শরীরকে ভালো রাখে নিয়মিত বাদাম খেলে শরীর ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

এলার্জি সমস্যাঃ বাদামে প্রচুর পরিমাণ উপকারী উপাদান রয়েছে। তবে সঠিক সময় আপনাকে জানতে হবে। বাদাম খাওয়ার পদ্ধতি না ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তার মধ্যে বড় একটি সমস্যা এলার্জি ।কারণ অনেক বাদামে এলার্জির সমস্যা রয়েছে। বাদামে এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি তাই বাদাম খাওয়ার আগে ভেবে খাবেন। আপনার কোন বাদামে এলার্জি রয়েছে।

গ্যাস্টিকের সমস্যাঃ আমরা কমবেশি সবাই কাজু বাদাম খেতে পছন্দ করি। এজন্য দিনে প্রয়োজনের অধিক বাদাম খেয়ে ফেলি এতে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কোন কিছুই প্রয়োজনের অধীনে খাওয়া উচিত নয়, এর সাইড ইফেক্ট আছে।

ওজন বাড়াতে পারেঃ বাদামি একমাত্র উপাদান যা বেশি খেলে ওজন বাড়াতে পারে, আবার সঠিক নিয়ম মেনে খেলে ওজন কমাতে পারে। বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা আগে জেনেছি, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। তাই অতিরিক্ত বাদাম খেলে আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন। কাঠবাদাম সঠিক পরিমাণ খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অন্যান্য বাদাম রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্যাট সঠিক পরিমাণ না খেলে ওজন বৃদ্ধি করে। তাই শরীরকে ভালো সুস্থ রাখতে খাবার তালিকায় বাদাম যোগ করলে চার ভাগের এক ভাগ বাদাম রাখুন।

মেজাজ ভালো রাখেঃ আপনার শরীর ভালো থাকলে মন ও ভালো থাকবে এতে মেজাজ ও ভালো থাকবে। কারণ নিয়মিত প্রত্যেকদিন বাদাম খেলে আপনার ক্যালোরির জন্য অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না। তাই মনের বিষন্মতা দূর করে মনকে রিফ্রেস করে তোলে। তাই বাদামকে খাদ্য মেজাজ হিসেবে পরিচিত।

কলেস্টেরল কমায়ঃ নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে কলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়। বাদামে উচ্চ প্রোটিন থাকার কারণে দ্রুত হজম শক্তি বাড়ায়। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন। এতে কলেস্টেরল কমায়।

স্বাস্থ্যকর হৃদয়ঃ বাদামে এক প্রকার এসিড পাওয়া যায়, যা হার্টের পক্ষে খুব ভালো কাজ করে। হার্ট সুস্থ রাখে। তাছাড়া বাদামে রয়েছে দস্ত ম্যাগনেসিয়াম তামা এবং লোহার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এবং হৃদরোগ সারাতে সহায়তা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ বাদামি রয়েছে পটাশিয়ামের পরিমাণ উচ্চমাত্রায় থাকার ফলে সোডিয়ামের পরিমাপ কম থাকে যা রক্ত নিয়ন্ত্রণে রাখে। সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে দেহের রক্ত বৃদ্ধি পায়। তখন রক্তচাপ বেড়ে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য উপকার বাদাম খাওয়ার ফলে।

অপকারিতা গুলো জেনে নিন

বাদামে যেমন পুষ্টিগুণ আছে, তেমনি ক্ষতি কর দিক হয়েছে। যাদের শরীরে এলার্জির প্রবণতা রয়েছে তাদের বাদাম খাওয়া উচিত নয়। বাদামে ক্যালোরি বেশি থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি ওজন কমাতে চাচ্ছেন তবে বাদাম আপনার জন্য ক্ষতিকর বাদামে অতিরিক্ত পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এতে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাক হজমের সমস্যা ধমনী বন্ধের মতো সমস্যা তৈরি করে। এইজন্য অতিরিক্ত বাদাম শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

সকালে খালি পেটে কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে কাঠবাদাম খেলে শরীর সারাদিন সুস্থ থাকে। শরীরে অনেক এনার্জি পাওয়া যায়, কারণ কাঠবাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর রাতের কিছু পানি এর মধ্যে কয়েকটি কাঠবাদাম ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম অনেক উপকারিতা রয়েছে,বাদামের ভিটামিন খনিজ পদার্থ রয়েছে। কাঠবাদাম রান্না করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়,
 


বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার ক্ষীর পায়েশ সাথে কাঠবাদাম খাওয়া যায়। কাঠবাদাম হলো দানাজাতীয় খাবার যা খেলে অনেক সময় পেট ভরা থাকে, এতে যারা ওজন কমাতে চান । খুব সহজে ওজন কমাতে পারেন নিয়িমিত কাঠবাদাম খেয়ে। ভেজানো কাঠ বাদাম খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরের ফোলা ভাব কমায় ও অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে। 

গর্ভ অবস্থায় সকালে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা কাঠ বাদাম খেলে মা ও শিশু ভালো থাকে। এবং শিশুর গঠন নিখুঁত হয়। এজন্য স্ত্রীরোগীবিশেষজ্ঞরা কাঠবাদাম খাওয়ার কথা বলে। কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে দুর্বলতা হ্রাস পায়, এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। এইজন্য সবার উচিত সকালে খালি পেটে সঠিক নিয়ম মেনে কাঠ বাদাম খাওয়া।

কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম

কাজুবাদাম আমরা সাধারণত খাবারের মধ্যে নাস্তা হিসেবে খাই। প্রত্যেকদিন খাবারের সাথে ৫থেকে ৬টি কাজুবাদাম খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আপনারা চাইলে বিভিন্ন খাবারের যোগ করতে পারেন অতিরিক্ত স্বাদ এবং টেস্ট বাড়ানোর জন্য কাঁচা বা ভাজা বাদাম এবং কাজু বাদাম চিনি বা অন্যান্য মিষ্টিতে প্রলেপ না দিয়ে খাওয়াই ভালো। কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে হাড় মজবুত করে। 

কারণ কারণ কাজু বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। কাজু বাদাম নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রকম খনিজ চাহিদা পূরণ করে। কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে মিনারেল ভিটামিন বি ৬ যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে পেশি ব্যথা যন্ত্রণাও উপশম করে, হাড়কে শক্তও মজবুত করে। তাছাড়াও রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় কাজুবাদাম।

চোখের জ্যোতি বাড়ায়ঃ কাজুবাদামের প্রচুর পরিমাণ লুটেন ও জিয়াক্সাথিন অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট থাকে। যা চোখকে ক্ষতিকর আলোক রশ্মির থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত কাজুবাদাম খান, এবং চোখে নানা রকম সমস্যা না হওয়ার জন্য খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখতে পারে। চোখের পানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কাজু বাদাম।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করেঃ আজ কাল আমরা প্রায় প্রতিদিনই এই সমস্যায় পড়ে থাকি, অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যার ভুগছেন। তাদের জন্য বাদাম হলো মহাঔষধি উপাদান, যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ আছে, তাদের জন্য কাজুবাদাম হতে পারে এক মহা ঔষধ কাজু বাদামে ফাইবারের মতো উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যর দূর করে পেটের সমস্যা সমাধান করেও থাকে।

অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেলে যা যা ক্ষতি হতে পারে

  • প্রয়োজনের অধিক কাজুবাদাম খেলে কি পেটে পাথর হতে পারে কারণ কাজু বাদানো ভালো পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকে।
  • কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যা ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্থুলতা রক্তে শর্করা মাত্রায় সমস্যা হতে পারে।
  • ডিহাইড্রেশন হতে পারে কাজুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
  • স্থুলতা বাড়ে কাজু বাদামে ক্যালরি পরিমান অত্যন্ত বেশি।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমরা এখন প্রায় খাবার খাওয়ার অনিয়ম এর বিভিন্ন ভাজা খাবার খেয়ে থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি করে। কারণে জলবায়ু ও আবহাওয়া কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে,এতে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। এর জন্য আপনাকে নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখতে হবে বাদাম। নিয়মিত দুধে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

আমরা সবাই কমবেশি বাদাম চিনি চিনা বাদাম ভালো উৎসাহ ও দীর্ঘস্থায়ী শক্তি আছে। নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে শরীর গরম থাকে, শীতকালে যে ক্লান্তি ভাব হয় কমাতে সহায়ত করে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে অনেক ঠান্ডা অথবা এলার্জি দেখা দেয়, তা থেকে মুক্তি মিলে খাবার তালিকায় নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে। চিনা বাদামে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সুস্থ সবল রাখে , 

এলার্জি ঝামেলা কমাতে সহায়তা করে। চিনা বাদামের ক্ষেত্রে আলাদা কিছু নয়, এ বাদামের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা আছে। প্রয়োজনের অধিক খেলে শরীরে নানা রকম ক্ষতি হবে, এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভ অবস্থায় চিনা বাদাম খেলে মা ও শিশু দুজনে সুস্থ সবল থাকে। শিশুর ব্রেন বিকাশ ঘটে, নিয়মিত চিনা বাদাম খাওয়ার পরে মায়ের ডায়াবেটিস এর সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে আসে।

মন্তব্যঃ আমরা জানি আমাদের শরীরের জন্য বাদাম কতটা উপকারী উপাদান। আমরা খুব সহজেই আমাদের হাতের নাগালে এই উপাদানগুলো পেয়ে থাকি, প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম রাখা উচিত। এতে শরীর ভালো থাকবে, শরীর ভালো থাকবে মনও ভালো থাকবে, আপনারা সুস্থ থাকেন এই কামনা করি, আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনারাও উপকৃত হবে। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url