হার্ট অ্যাটাক কেন হয় - হার্ট অ্যাটাক হলে এর করনীয় কি
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না হার্ট অ্যাটাক কেন হয়, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার লক্ষণগুলো কি অনেকের অজানা, অনেক মানুষের হার্ট অ্যাটাক অনেক রকম হয়ে থাকে। অনেকে আবার প্রচন্ডভাবে কোন বিষয় আঘাত পেয়ে থাকে ধীরে ধীরে এ কষ্টগুলো একসময় বুকে ব্যাথা সৃষ্টি হয়, এর থেকে হার্ট এটাক হতে পারে।
আপনারা হয়তো হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
পেজ সূচিপত্র: হার্ট অ্যাটাক কেন হয় হার্ট অ্যাটাক হলে এর করনীয় কি
হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এর লক্ষণ গুলো কি কিভাবে বুঝব যে হার্ট অ্যাটাক মুক্ত রয়েছি। হার্ট অ্যাটাক খুলে কোন কোন খাবার খেতে হবে। কোন ধরনের হার্ট অ্যাটাক হলে মানুষ মারা যায়। হার্ট অ্যাটাক সৃষ্টি হওয়ার কারণ কি। আমরা হার্ট অ্যাটাক কিভাবে প্রতিরোধ করব। কোন অভ্যাস পরিহার করতে হবে হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে। নিয়মিত কোন ব্যায়াম করতে হবে আর ভালো রাখতে। কোন ধরনের খাবার খেলে হার্ট সুস্থ থাকবে। এই বিষয়ে আপনাদের অনেকেরই জানার কৌতূহল সৃষ্টি হয়। নিজেকে সুস্থ ও ভালো রাখতে হলে নিয়মিত হার্টের খেয়াল রাখতে হবে যেসব খাবার খেলে হার্টের সমস্যা হবে সেই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: শরীরের মেদ কমানোর সহজ ও কার্যকরী ২৫ টি উপায়
যে অভ্যাসগুলোর জন্য হার্ট দুর্বল বা ক্ষতি হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সব সময় হাসিখুশি থাকতে হবে, সঠিক নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি ও সুষম খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। তাহলে আমরা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে পারব।
হার্ট ভালো রাখার উপায়
হার্ট হলো আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্স যা কোন ভাবে একবার খারাপ হলে সুস্থ করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। এইজন্য হার্টের যত্ন নিতে হবে। হার্ট ভালো থাকলে একজন মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। হার্ট ভালো রাখার জন্য ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে। শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। আমিষ ওশর্করা জাতীয় খাবার পরিমাপ মতো খেতে হবে। সব সময় চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে খেলাধুলা মাধ্যমিক হাসিখুশি শরীরচর্চা নিয়মিত করতে হবে।আর অবশ্যই হার্ট ভালো রাখতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দরকার।
তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে মনও ভালো থাকবে এতে হাড়ের কোন ক্ষতি হবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। নিয়ম মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। হার্ট ভালো রাখার জন্য বাদাম কিসমিস গরুর কলিজা দুধ ডিম,ব্রবুবেরি আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার রয়েছে যেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে নিয়মিত খেলে হার্ট ভালো থাকবে। হার্ট ভালো রাখতে হলে আগে শরীর ভালো রাখতে হবে শরীর সুস্থ সবল থাকলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হলে শরীর সুস্থ সবল ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাহলেই রাখা সম্ভব হবে।
হার্ট অ্যাটাক এর পূর্ব লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এবং এর প্রতিকার কিভাবে করব এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ আমরা কিভাবে বুঝব। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক একটি অসুখ হলো হার্ট অ্যাটাক। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় আমরা সেগুলো দেখে বুঝতে পারব যে তার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হার্ট অ্যাটাক মূলত অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে হয়ে থাকে। হার্ড এটাকের প্রথম লক্ষণ হল প্রচন্ড বুকে ব্যথা বিশ্বাস নিতে কষ্ট বোধ হয়। এই ব্যথা বারবার যায় আবার আসে। ওকে চাপ ধরে থাকে এবং শক্ত অনুভব হয়।
শরীর প্রচন্ড পরিমাণ ঘামে অস্থির অনুভব হয়, বমি বমি ভাব হয় প্রচন্ড মাথাব্যথা হাত পা ব্যথা করে। মাঝে মাঝে কাশি হয় অনেক সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। এ লক্ষণগুলো একটা মানুষের মধ্যে দেখা গেলে আমরা বুঝবো যে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এইজন্য হার্ট অ্যাটাক নিরাময় করতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
আপনার বাসার কেউ অথবা বাইরের যদি হঠাৎ তার হার্ট অ্যাটাক হয় তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় তাকে অবশ্যই বসিয়ে রেখে মাথায় নরমাল পানি দিতে হবে এবং সরিষার তেল দিয়ে বুকে ব্যথা হচ্ছে সেই স্থানে হালকা ভাবে মেসেজ করে দিতে হবে। ওই সময় হার্ট অ্যাটাক রোগীর হাত পায়ে প্রচুর ব্যথা হয়। এইজন্য হাত পায়ে ও গলায় সরিষার তেল ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। আর একটু পরপর রোগীর হাতের পালস চেক করতে হবে। যে রোগী কি অবস্থায় রয়েছে খুব জটিল সমস্যা হলে খুব দ্রুত নিকটবর্তী কোন হাসপাতালে হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।
কারণ হার্ট অ্যাটাক রোগীরা এ অবস্থায় মারা যেতে পারে । এই জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পরেও যদি না কমে, তাহলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি ভালো হার্ট বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ হলো অতিরিক্ত টেনশন করা অথবা অতিরিক্ত কোনো কাজে প্রেশার নেওয়া থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
হার্টের ব্লক দূর করার খাবার
হার্ট ব্লক দূর করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে। এই সমস্যা গুলোর জন্য আমাদের হার্টের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে যার থেকে হার্টের সমস্যা শুরু হয়। নিয়মিত শরীরচর্চা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে ভালো রাখতে হলে। আর অবশ্যই হার্ট সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দরকার শরীরের জন্য এতে মন ভালো থাকবে।
লেবু পানি: প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস করে খেলে শরীরে দূষিত পদার্থ বের করে এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ মধ্যে থাকে। এই জন্য নিয়মিত লেবু পানি খেলে হার্ট ব্লক দূর করা সম্ভব।
লাউ: নিয়মিত লাউ খেলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে, এইজন্য হার্ট ব্লক হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায় নিয়মিত লাউ খাওয়ার ফলে। আপনারাও চাইলে হার্ট ব্লক রোধ করতে লাউ খেতে পারে না।
রসুন: আপনারা হয়তো কম বেশি অনেকেই জানেন রসুন আমাদের হার্টের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরের কোষগুলো সতেজ করে। এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। হার্ট ব্লক হওয়ার মূল কারণ হলো বুকে রক্ত জমাট বাধা নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে। এই জন্য নিয়মিত রসুন খেলে হার্ট ব্লক রোধ করার যাবে।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে হার্টের জন্য কোন খাবারগুলো ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই না জানার কারণে এই খাবারগুলো খেয়ে থাকি। এই অসুস্থকর খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের হার্টের সমস্যা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার পরিহার করতে হবে এই খাবার হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাহিরের ফাস্টফুড খাবারের এড়িয়ে চলতে হবে। চিংড়ি মাছ ডিমের কুসুম মাছের মাথা, মগজ ঘি মাখন, আইসক্রিম পেস্টি নারিকেল রেড মিট আরো ইত্যাদি খাবার হয়েছে।
যেগুলো হার্টের জন্য অনেক ক্ষতিকর এই জন্য এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলায় একজন বুদ্ধিমানের কাজ কারণ নিজে সুস্থ থাকতে হলে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণে খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। হৃদরোগের সৃষ্টি হতে পারে এই জন্য এই খাবারগুলো পরিহার করাই ভালো।
হার্টের ব্লক দূর করার ব্যায়াম
হার্ট ব্লক দূর করার জন্য একজন মানুষকে প্রত্যেকদিন নিয়ম করে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত এতে শরীর ভালো থাকে মনু ভালো থাকে। যা হার্টের জন্য খুব উপকারী,হার্ট ব্লক দূর করার জন্য একজন মানুষকে প্রত্যেকদিন খুব দ্রুত ৪০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন এতে হার্টের রেট ভালো থাকবে। অথবা নিয়ম করে ৩০ মিনিটের মতো সাঁতার কাটলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এতে হার্ট ব্লক রোধ করে।
কেউ কেউ আবার হার্ট ব্লক রোধ করার জন্য সাইকেলিং করতে পছন্দ করে এক ঘন্টা সাইকেলিং করলে হার্ট ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।কিন্তু অবশ্যই আপনার বয়স অনুযায়ী আপনি কতটুকু নিতে পারবেন সেই ভাবে আপনাকে ব্যায়ামগুলো করতে হবে অতিরিক্ত প্রেম করলে এতে আবার শরীরে ক্ষতি হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
হার্ট আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যার মাধ্যমে আমরা নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি। একজন মানুষের হার্ট ব্লক হলেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা দিয়ে থাকেন। এইজন্য সবার উচিত হার্টের যত্ন নেওয়া তার ভালো রাখার চেষ্টা করা আর যাতে ভালো থাকে সেই খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়া আপনারা হয়তো হার্ট ব্লক কেন হয় এবং হার্ট ব্লকের তার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কোন খাবার খেলে হার্ট ব্লক প্রতিরোধ করা যায় এবং হার্ট ব্লক প্রতিরোধ করতে অসুস্থকর খাবারগুলো পরিহার করতে হবে ইতিমধ্যে হয়তো আপনারা এ বিষয়গুলো জেনে গিয়েছে আর্টিকেল করার মাধ্যমে।
আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। হার্টের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও জেনে গিয়েছেন অবশ্যই আপনার বাসায় কেউ এই সমস্যা থাকলে আপনি তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আর কি বিষয়ে আর্টিকেল চান অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url