পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে প্রতিদিন কোন আমল করবেন জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো প্রতিদিন নামাজ পড়ে কোন কোন দোয়া পড়তে হয়। এ বিষয়ে অনেকেরই অজানা, এই জন্য নামাজের পরে আপনারা ঠিকমতো আমল করতে পারেন না। এই বিষয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য নামাজের পরে প্রতিদিন যে আমলগুলো করবেন। 

এ বিষয়ে জানতে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ানোর অনুরোধ রইল। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন, কিভাবে কোন সময় আমল গুলো করতে হয়।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে প্রতিদিন যে আমলগুলো করতে হবে অনেকের না জানার কারণে ভুল করে থাকেন।ফরজের নামাজের পরে কোন দোয়া পড়তে হয়। এবং কি নিয়মে পড়তে হবে। জোহরের নামাজের পরে কোন দোয়া পড়তে হবে। আসরের নামাজের পরে কোন দোয়া পড়তে হবে। মাগরিব ও এশার নামাজের পরে কোন দোয়া পড়তে হবে। কোন নিয়ম করে আমল করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। দোয়া পড়ার আগে কি বলে শুরু করতে হবে। 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরে এই আমল গুলো না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে। এই বিষয়ে জানার কমবেশি সবারই আগ্রহ রয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে এই আমলগুলো করলে মনে নেক চাওয়া গুলো পূরণ হয়। নামাজের পরে প্রতিদিন কোন আমলগুলো করবেন। বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

নামাজের পরে প্রতিদিন যে আমলগুলো নিয়মিত করবেন। ফরজের নামাজ যে ব্যক্তি পড়তে পারে যে খুবই ভাগ্যবান। কারণ এই সময় অনেকেই ঘুমের মধ্যে থাকে এজন্য অনেকেই ফজরের নামাজ পড়তে পারে না। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে কিছু আমল করে কাজ শুরু করেন আল্লাহ তায়ালার রহমতে সেই ব্যক্তির কাজে আল্লাহ বরকত দান করেন। ফরজের নামাজের পরে অবশ্যই কুরআন তিলাওয়াত করা খুবই উত্তম। এবং ফরজের নামাজ পড়ে আয়াতুল কুরসি পড়লেন। 

ওইদিন যদি ওই ব্যক্তি মারা যায়। একটা হাদিস থেকে বর্ণিত আল্লাহতালা বলেছেন, তার জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। প্রত্যেকদিন আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে তবে তার মধ্যে জান্নাতে প্রবেশ করতে একমাত্র মৃত্যুর ছাড়া অন্য কিছু বাঁধা থাকবে না এইজন্য প্রত্যেকদিন ফরজের নামাজের পরে নিয়ম করে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত ও আয়াতুল পাঠ করা খুব উত্তম। আরো বেশ কিছু জিকির রয়েছে নামাজের নামাজ পড়ার পরেই 

৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ আর ৩৩ বার আল্লাহু আকবার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা- শারিকা লাহু লাহুল মুলুক; ওয়ালাহুল হামদু; ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির) একবার নিয়মিত পড়লে একটা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন নিয়মিত আমল করার ফলে।

জোহরের নামাজের পর কোন আমলের কথা উল্লেখ করা নেই হাদিসের। কিন্তু আমরা প্রত্যেক নামাজ পড়ার সময় নামাজে মনোযোগ দিয়ে একটু সময় ধরে নামাজ পড়া উত্তম। তবে অনেকেই সুরা ফাতেহা যোহরের নামাজের পর তেলাওয়াত করেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু (স) হযরত ওমর রাঃ কে বলেন আজকে আমার উপর একটি সূরা নাযিল হয়েছে। তখন তিনি সুরা ফাতিহা তেলাওয়াত করেন। এজন্য প্রায় মুসলমান ভাই-বোনেরা রাসূল সাল্লাল্লাহু (স) এর পথ অনুসরণ করে জোহর নামাজের পরে সূরা ফাতেহা তেলাওয়াত করেন।

আছর নামাজের পর কোন সূরা নির্দিষ্ট করে পড়ার কথা হাদিসে উল্লেখ করা নেই, তবে অনেকেই সূরা নাবা তিলাওয়াত করে থাকে। কারণ এই সূরা আসর নামাজের পরে পড়লে অনেক ফজিলতপূর্ণ আল্লাহতালা বলেন হাশরের ময়দানে যে ব্যক্তি এই সূরা নিয়মিত পড়বেন। সূর্য যখন মাথার উপরে আসবে সবাই তখন তৃষ্ণার্ত অবস্থায় থাকবে। তখন ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা ঠান্ডা পানিও পান করার ব্যবস্থা করে দিবেন। এই জন্য অনেকেই আসর নামাজের পরে এই আমলটি করে থাকে। এইজন্য সবার আল্লাহর হুকুম মেনে চলা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরে এই আমলগুলো করা উচিত।

মাগরিবের নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন মাগরিবের নামাজ সঠিক নিয়মে সঠিক সময় পড়বে কেবল সেই ব্যক্তি কেয়ামতের দিনে মাগরিবের নামাজ সম্পূর্ণ পড়তে পারবে। একটি হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে কিয়ামত খুব নিকটেই আর কিয়ামত মাগরিবের নামাজের সময় হবে এই জন্য মাগরিবের নামাজ সঠিক নিয়ম সময় মধ্যে পড়া উচিত। এবং হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে মাগরিব নামাজের পরে বেশি বেশি জিকির করতে হবে ও 

তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে হবে। মাগরিব নামাজের পরে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করতে হবে। যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঠ করবে সে ব্যক্তি কোনদিন উপবাস থাকবে না। রোগমুক্ত থাকবে, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবে। এইজন্য নিয়মিত মাগরিব নামাজের পরে এই আমলগুলো করা উচিত।

ইশার নামাজ হলো নামাজের তালা হিসেবে ধরা হয়েছে আমরা যে সারাদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি তার তালা হল এশার নামাজ। এই নামাজ পড়ে আমাদের সূরা মূলক পাঠ করা প্রয়োজন। প্রত্যেকদিন ইশার নামাজের পরে সুরা মূলক পাঠ করলেন। মৃত্যুর পরে ওই ব্যক্তির কবর রাত্রিবেলায় আলোকিত হয়ে থাকবে। অনেকে আবার বেশি বেশি দুরূদ শরীফ ইস্তেগফার আয়তাল কুসরি এবং জিকির করে থাকেন। অনেকে আবার তওবা করেন কারণ সারাদিনে যে ভুল কাজগুলো করেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

সুরা মুলক এমন একটি সূরা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর রাসূল (স) বলেছেন কুরআনে এমন একটি সূরা যার মধ্যে ৩০ আয়াত আছে। যে ব্যক্তি এই সূরা নিয়মিত পাঠ করবে। তার জন্য স্বয়ং আল্লাহর রাসূল (স) পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবেন। এবং তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। আয়াত নাম্বার (২৮৯১) এইজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত এশার নামাজ পড়া এবং এই আমলগুলো সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে আমল করা।

আজকে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে প্রতিদিন কোন কোন আমল করব এ সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই অজানা ছিল। অথবা অনেকে জানতেন কিন্তু কিভাবে আমল করবেন কখন আমল করতে হবে এ সম্পর্কে বিভ্রান্তি হচ্ছিল। আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরে কোন আমল বা কোন সূরা পড়তে হবে জেনে গিয়েছেন। এবং কোন নামাজের পরে কোন আমল করলে কি ফজিলত হবে। 

এবং কোন সূরা পড়তে হবে আপনারা আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই নিয়ম অনুযায়ী আমল গুলো করলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। ভালোভাবে বুঝতে জানতে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এতে তাদের হয়তো উপকার হবে। 

ধন্যবাদ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর কি বিষয় আর্টিকেল চান অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের তথ্যমূলক আর্টিকেল দিয়ে জ্ঞান বৃদ্ধির করার আমার ছোট্ট প্রচেষ্টা ধন্যবাদ।