মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনি যদি একজন মোটরসাইকেল রাইডার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করতে হবে। কিন্তু কিভাবে করবেন বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজাখুঁজি করার পরেও.সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না।
তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে। কোন নিয়ম অবলম্বন করে খুব সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন। জানতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্র: মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম জেনে নিন
- মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে
- মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
- ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কত দিন
- মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে
- মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হয়
- মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম লেখকের শেষ কথা
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
বর্তমান সময়ে প্রায় ৯৯% মানুষের মোটরসাইকেল রয়েছে।মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম হলো আপনার যদি একটি মোটরসাইকেল থাকে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করা না থাকলে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অনেকেই ভাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন কিন্তু কত টাকা লাগবে? এ সম্পর্কে ধারণা নেই। কোন রকম সমস্যা ছাড়া ড্রাইভিং করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা প্রয়োজন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করা এটি সরকার অনুমোদিত আপনার যদি আঠারো বছর হয়।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাইভিং করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য প্রথমে আপনাকে বিআরটিএ লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংরক্ষণ করতে হবে। এই লাইসেন্স সংরক্ষণ করার প্রথমেই আপনাকে ৫২০ টাকা জমা দিতে হবে। পরবর্তী ক্যাটাগরিতে আপনাকে ৭৫০ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। বর্তমান সময়ে সব জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সে করার ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান। এই লাইসেন্সটি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ব্যাংক একাউন্ট খোলার সহজ উপায়
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষা দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার ফ্রি দিতে হবে ৪,৫০০ টাকা, আগে এই পরীক্ষার ফ্রি ছিল ২,৫৯০ টাকা পরীক্ষা দেওয়ার পরে আপনি পরীক্ষাতে পাশ করলে তাহলে আপনাকে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। আপনারা হয়তো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন যে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। অনেকে প্রশ্ন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এবং কতদিন সময় লাগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে মূলত কোনো ধরা বাধা সময় নেই তবে আপনি যদি ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। সঠিক তথ্য দিয়ে সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করে থাকেন। এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করার টাকা পরিশোধ করে থাকেন।
তাহলে ১৫ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়ে গেলে আপনাকে মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। অথবা আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে, কিংবা আপনি চাইলে গিয়ে নিয়ে আসতে পারেন।
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে। এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে মানতে পারলে খুব সহজেই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে।
- প্রথমেই আপনাকে বিআরটিএ থেকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর একটি কাগজ সংরক্ষণ করতে হবে।
- এরপরে অবশ্যই আপনার ন্যূনতম শিক্ষা যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস থাকতে হবে। এবং সেই সার্টিফিকেটের একটি ফটোকপি নিতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ সবল আছেন এর প্রমাণ মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে নিতে হবে।
- আপনি যদি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। অথবা আপনি যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চান তাহলে আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
- এরপরে আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে। এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার ডেট, সেই ডেট অনুযায়ী আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। আর পরীক্ষা দেওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে যাচাই করে নিবেন। আসলেই আপনি পরীক্ষার্থী কিনা এই জন্য আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে।
- পরীক্ষা দেওয়ার পরে এই পরীক্ষার রেজাল্ট একদিনের মধ্যেই দিয়ে দেয়, আপনি যদি পরীক্ষায় পাশ করে থাকেন। তাহলে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর যদি আপনি পরীক্ষায় ফেল করে থাকেন। তাহলে একই নিয়মে আবার পরবর্তীতে আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাকা পরিশোধ করার পরে ঐ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার মোবাইল ফোনে এসএমএস করার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। অথবা আপনার ঠিকানা অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ ডাক বিভাগের সেবা পাওয়ার কারণে আপনাকে এই ফ্রি এর সাথে অনলাইনের মাধ্যমে আবার ৬০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কত দিন
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম এবং লাইসেন্স করতে কতদিন লাগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন হয় অনেকেরই এগুলো প্রশ্ন থাকে। অনেকে আবার জানতে চেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কত দিন আপনার যদি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে তাহলে আপনি দেশ-বিদেশীর ড্রাইভিং করতে পারবেন। বিভিন্ন দেশে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়িতে ড্রাইভিং করতে পারবেন। আপনি চাইলে দেশের বাহিরে গিয়ে ১৮০ রকম গাড়িতে ড্রাইভিং করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ মূলত ছয় মাস থাকে। আপনারা চাইলে দেশের বাহিরে গিয়ে ছয় মাস বিভিন্ন ধরনের গাড়িতে ড্রাইভিং করতে পারবেন। পরবর্তীতে আবার ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদ নতুন করে বাড়াতে রিনিউ বা নবায়ন করে নিতে হবে তাহলে আবার পরবর্তী ছয় মাস ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকবে। যে কোন দেশে গিয়ে আপনি ড্রাইভিং করতে পারবেন।
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে
বর্তমান সময়ে মোটরসাইকেল প্রায় প্রত্যেকটা মানুষেরই রয়েছে। মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স করা না থাকলে রাস্তায় চলাফেরা করা প্রচুর সমস্যা হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ড্রাইভিং করলে কোনোভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে জরিপানা ও বিভিন্ন ধরনের শাস্তি পেতে হয়। আপনার যদি ১৮ বছর বয়স হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিবেন এবং সবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে আসুন জেনে নিন।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীর অবশ্যই শিক্ষা যোগ্যতার ন্যূনতম অষ্টম পাস হতে হবে এবং সেই সদনপত্র থাকতে হবে।
- অপেশাদারদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং পেশাদারদের জন্য ২১ বছর বয়স হতে হবে।
- আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা থাকতে হবে। এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সদনপত্র থাকতে হবে।
- অবশ্যই আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজন হবে আগের ঠিকানা দেয়া যাবে না।
- আবেদনকারীর বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের অথবা গ্যাস বিলের একটি ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
- আবেদনকারী শারীরিকভাবে সুস্থ সবল আছে কিনা তার মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে দিতে হবে।
- রিসেন্ট তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি এবং স্ট্যান্ড সাইজের ৪ কপি ছবি প্রয়োজন হবে।
এই সকল কাগজ বা তথ্য একজন মটরসাইকেল রাউটার কাছে থাকে। এবং সঠিকভাবে তথ্যগুলো দেওয়ার মাধ্যমে তারা যাচাই-বাছাই করে দেখতে যে আপনি লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য কিনা যদি আপনি যোগ্য হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হয়
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা মূলত এই কারণে নেওয়া হয় যে একজন ড্রাইভার গাড়ি সম্পর্কে বা রাস্তা সম্পর্কে তার কেমন ধারণা রয়েছে এবং কোন রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চালাতে হয়। ড্রাইভিং করতে ট্রাফিক সিগন্যাল কিভাবে মানতে হবে। ট্রাফিক সিগন্যালের জন্য কোন পদের কর্মকর্তারা থাকেন। উঁচু ও ঢালু রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চালাতে হবে। কোন কোন জায়গায় হর্ন বাজাতে হবে।
কোন কোন গাড়ি দেখলে ওভারটেক করতে হবে। কি কি কারণে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় । কোন গাড়িতে কি ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। গাড়ির ইঞ্জিন গরম হলে করণীয় কি এগুলো বিষয় ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয়ে থাকে আশা করি আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম লেখকের শেষ কথা
আশা করছি আপনারা মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম কে জানতে পেরেছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিন থাকে। সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনারা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভিং করবেন না। অবৈধভাবে ড্রাইভিং করা একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের উচিত না। এই জন্য কোনোরকম ঝামেলা ছাড়া ড্রাইভিং করার জন্য আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে।
আপনার বয়স যদি ১৮ বছর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিবেন। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এবং আপনার মতামত জানাতে পারেন। আরো কি বিষয়ে আর্টিকেল চান অবশ্যই জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url