ঘরোয়া ভাবে শরীরে এলার্জি দূর করার উপায়

শরীরে এলার্জি দূর করার উপায় এলার্জি আমাদের কমন একটি সমস্যা প্রায় কম বেশি মানুষের শরীরে এলার্জি সমস্যা রয়েছে। কারো বিভিন্ন খাবারে এলার্জি রয়েছে, আবার কারো রয়েছে কোন কিছু ইউজ করলে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার কারণে মানুষ ঠিকমত খাবার খেতে পারেনা।

একটি মেয়ের ঘাড়ে লাল রেশ বের হয়েছে
বা পছন্দ মত কোন কিছু ইউজ করতে পারে না। এটা নিয়ে হয়তো অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কিভাবে শরীরে ঘরোয়া ভাবে এলার্জি দূর করা যায়। সেই বিষয়ে নিচে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

উপস্থাপনা

এলার্জি সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এলার্জি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে ধরা হয়েছে। এলার্জি সমস্যার কারণে একটি সুস্থ সবল মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এলার্জি সমস্যার কারণে পুষ্টিকর কোন খাবার খেতে পারে না। কারণ পুষ্টিকর খাবার খেলেই তার এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায়। এলার্জি আবার অনেক ধরনের রয়েছে, কারো খাবারে কারো পোশাকে আরো ইত্যাদি অনেক জিনিসে এলার্জি রয়েছে। ময়লার ধুলাবালি থেকে এলার্জির সমস্যা হয়। 

পোস্ট সূচীপত্র:-এলার্জি সমস্যা নিয়ে হয়তো অনেকেই অনেক চিকিৎসা করেছেন। কিন্তু ভালো ফলাফল পাননি। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি কি খাবার খেলে এলার্জি সমস্যা দূর হবে। কোন কাজ এড়িয়ে চললে এলার্জি সমস্যা হবে না। কি কি কারণে এলার্জির সমস্যা হয়, শরীরে ঘরোয়া ভাবে এলার্জি দূর করার জন্য বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

এলার্জি দূর করার ইসলামী উপায়

এলার্জি সমস্যা একটি মহাসমস্যা বলে। যাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের জীবনটা পুরো শেষ হয়ে গিয়েছে। এনার্জি সমস্যা যে কতটা ভয়ংকর সেটা শুধু সেই ব্যক্তি ভালো জানে। এইজন্য আমরা ঘরোয়াভাবে শরীরে এলার্জি দূর করার উপায় খুব সহজে জানবো। মানব শরীরে এলার্জি রোগ মহান আল্লাহতালা দিয়েছেন এই জন্য তার কাছেই আমরা দোয়া প্রার্থনা করব। প্রাকৃতিক উপায়ে এলার্জি সমস্যা দূর করা যায়। 

কম-বেশি আমরা সবাই নিম পাতা চিনি নিমপাতা মহাঔষধি একটি গাছ যার ঔষধি গুনাগুন অনেক খুব সহজেই এলার্জি সমস্যা দূর করা যায় নিম পাতার মাধ্যমে কিন্তু নিয়ম মেনে প্রতিদিন নিমপাতা খেতে হবে। আপনারা চাইলে নিমপাতা রস করে প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস নিমপাতা রস খেতে পারে এতে খুব ভালো ফলাফল করা যায়। আবার আরেকটা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক,

  • ১ থেকে ২ কেজি নিমপাতা নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন
  • ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে তা ব্লেন্ডার বা পিসে নিন
  • বায়ু রোধ বোতলে নিম পাতার গুঁড়ো কৌকটা জাত করুন
  • এরপরে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির মধ্যে দুই চামচ নিম পাতার গুঁড়ো ও ইসবগুলের ভুসি নিয়ে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে নিন।
  • আপনি চাইলে সকাল দুপুর ও রাতে এভাবে খেতে পারেন। তবে টানা একমাস এই নিয়মে খেতে হবে এলার্জি নিরাময় করার জন্য।
  • যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তারা শুধু নিমপাতা গুড়ে পানি দিয়ে খালি পেটে প্রতিদিন খেতে পারে।
  • এলার্জি সমস্যা দূর করতে নিচের এই দোয়াটি পড়ে এক গ্লাস পানি ফুঁ দিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন ইনশাআল্লাহ ভালো হবে।
  • এলার্জি সমস্যা দূর করতে দোয়াটি পড়তে পারেন।
উচ্চারণ: রাব্বি আন্নি মাসসানিয়ায যুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিন।
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমি দুঃখের কষ্টে পতিত হয়েছি, তুমি হয়তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আম্বিয়া: আয়াত ৮৩)

চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়

অনেক সময় আমাদের শরীরে চুলকানি ভাব সৃষ্টি হয়। এর কারণ হলো ত্বক শুষ্ক হলে চুলকায় একে আমরা বলি চর্ম এলার্জি। চর্ম এলার্জি দূর করার জন্য ত্বকে ভালো মানের মশারাইজার ইউজ করতে হবে তাহলে ত্বক নরম ও সব থাকবে চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। অনেক সময় আমরা রোদে থাকলে ত্বকে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয় যার কারণে ত্বকে দাগ দাগ দেখা দেয়। এইজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এবং অবশ্যই রোদে যাওয়ার আগে ত্বকে বা স্কিনে সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

এতে তো খুব ভালো থাকবে ত্বক ও ভালো থাকবে এবং চর্ম এলার্জি থেকে মুক্তি পাবে। যাদের অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা ব্যবহার করার ফলে ত্বক নরম মসৃণ ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হবে। ত্বকের আশেপাশে চর্ম এলার্জি আসতে পারবে না। আপনারা চাইলে এই ঘরোয়া টোটকাটি ব্যবহার করতে পারেন।

রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়

রক্ত এলার্জি হলে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। রক্ত এলার্জি হওয়ার কারণ হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানে এলার্জি হওয়ার কারণ হিসেবে এসেছে রক্ত দূষিত হওয়ার কারণে রক্ত এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। আমরা প্রতিনিয়ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকি আমাদের কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে রক্ত দূষিত হয় যার ফলে রক্তে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। 

কিছু প্রাকৃতিক কারণেও হয়ে থাকে বায়ু দূষিত হওয়ার ফলেও তা বিশ্বাসের সাথে মিশে শরীরে পৌঁছায়। অনেকে আবার অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় পান করার ফলে রক্ত দূষিত হতে পারে। কারণ অ্যালকোহলগুলো রক্তে মিশে গিয়ে রক্ত চলাচল বাধা প্রদান করে, যার ফলে ধীরে ধীরে রক্ত দূষিত হতে থাকে। অনেকে আবার ধূমপান করে ওই ধোঁয়াটি শরীরে মিশে গিয়ে রক্ত দূষিত করে। 

যার ফলে রক্তে এলার্জি সমস্যা স্কিনে ফুটে ওঠে। রক্তে এলার্জি হয়ে জটিল আকার ধারণ করে। যার ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ,এই জন্য রক্ত এলার্জি হলে শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে সে বিষয়ে আসুন জেনে নিন।

  • শরীরে বিভিন্ন জায়গায় অসম্ভব চুলকানি শুরু হতে পারে
  • নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়
  • বুক ভারী হয়ে যায় দম বন্ধ হয়ে আসে
  • গলা ও জিব্বা ফুলে যায় কথা বলতে সমস্যা হয়
  • মুখ ফুলে যায় খাবার খেতে কষ্ট হয়
  • শরীরে বিভিন্ন জায়গায় গোল গোল রেস দেখা দেয়
  • মাথা ঘুরে বমি বমি ভাব হয়
  • শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোসা পরে
  • শরীরে অস্থিরতা অনুভব করা
  • তলপেটে ব্যথা ও পেট কামড়ানো
  • রক্তে এলার্জি হলে হজম শক্তি কমে যায়
  • চোখ লাল হয়ে যায়
  • নাক দিয়ে কোন কিছু অনুভব করা যায় না
  • নাক দিয়ে অতিরিক্ত পানি বের হয়
এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে আপনি খুব দ্রুত ভালো কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে না হলে পরবর্তীতে জটিল কোন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে শরীরে এই জন্য আমাদের বেশ কিছু অভ্যাস পরিহার করতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। রক্ত এলার্জি কমানোর জন্য আপনাকে খাদ্য তালিকায় বেশ কিছু খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে। 
ঘরোয়া ভাবে শরীরে এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন

যে খাবারগুলো খেলে রক্ত দূষিত হতে পারে সেই খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি ঘরোয়া ভাবে রক্তে এলার্জি খুব সহজে কমাতে পারবেন। চলুন কি কি কারণে রক্তের এলার্জি হয় জেনে নেওয়া যাক।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে: আপনারা হয়তো সবাই জানেন যে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধে। এজন্য শরীরে অতিরিক্ত চর্বি থাকলে রক্তের এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।এজন্য রক্ত এলার্জি কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ধূমপান: আমরা সবাই জানি ধূমপান করলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যা নিয়মিত ধূমপান করে তাদের শরীরে রক্তের এলার্জির মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইজন্য আপনাকে ধূমপান করা পরিহার করতে হবে এতে রক্তের এলার্জি নিরাময় হবে।

গ্রিন টি: আমরা সবাই প্রতিনিয়তই গ্রিন টি খেয়ে থাকি কিন্তু এর উপকার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। গ্রিন টি আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপায়ে বা বিভিন্নভাবে উপকার করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে রক্তে এলার্জির মাত্রা কমায়। এই জন্য আপনারা চাইলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।

লবণ: শরীরের জন্য লবণ কতটা ক্ষতিকর আমরা সবাই জানি। এই জন্য পরিমাপ মতো লবণ খেতে হবে। প্রয়োজনের অধিক লবণ খেলে রক্তে এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এইজন্য অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে তাহলে এলার্জির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

শারীরিক ব্যায়াম: প্রত্যেকটা মানুষের জন্য শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যন্ত প্রয়োজন সুস্থ সবল শরীর পেতে নিয়মিত আমাদের ব্যায়াম করা উচিত এতে শরীর ভালো থাকে মন ভালো থাকে রোগ ব্যাধি সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তে এলার্জির মাত্রা কম থাকে।

অসুস্থকর খাবার: আমরা সবাই বাহিরে তেলেভাজা মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে থাকে। এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কারণ এই খাবার গুলো অসুস্থকর পরিবেশ থেকে বানানো হয়। এইজন্য এই খাবারগুলো খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন রক্তে এলার্জির সমস্যা এই খাবারগুলো পরিহার করলে এলার্জির যে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

টক দই: শরীরের জন্য টক দই খুবই উপকারী টক দই খেলে শরীরে রক্তে এলার্জির পরিমাণ কমতে থাকে এইজন্য নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। টক দই খেলে রক্তে এলার্জি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

এলার্জি যুক্ত খাবার: অবশ্যই আপনাকে এলার্জিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। আপনি দেখবেন যে খাবারগুলোতে আপনার এলার্জির সমস্যা হচ্ছে সেই খাবারগুলো থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলুন এতে আপনার ধীরে ধীরে রক্তের এলার্জি কমতে থাকবে।

এলার্জি দূর করার ঔষধ

এলার্জির সমস্যা এখন কমন এ সমস্যায় প্রায় ৯৯ পার্সেন্ট মানুষ ভুগছে। এলার্জির ওষুধ সেবন করার আগে অবশ্যই ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সে অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। তা না হলে বড় কোন সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি নিজের ইচ্ছা মত কোন ওষুধ খেতে চান এতে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাবে। যে কোন রোগের ওষুধ খান না কেনও আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার পরে খাবেন। এলার্জি দূর করার বেশ কিছু ওষুধ হলো।

এলার্জি দূর করার ঔষধ
  • Alatrol
  • Acitrin
  • Dyzin
  • Rizin
  • Cetizin
  • Nosemin
  • Atrizin

এলার্জি দূর করার খাবার

ঘরোয়া ভাবে শরীরে এলার্জি দূর করার জন্য বেশ কিছু খাবার রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত খেলে খুব সহজে এলার্জি নিরাময় করা যাবে। ইসলামী উপায়ে খুব সহজে এলার্জি দূর করা যায়। নিয়মিত প্রতিদিন আপনি যদি কলা খেতে পারেন তাহলে আপনার এলার্জি দূর হয়ে যাবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বা বা হলুদ জাতীয় ফল খেলে 

এলার্জির সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে কারণ অনেক সময় পাকস্থলীতে বেশি পরিমাণ প্রোটিনের অধিক্য হলেও এলার্জির প্রাদুভাব দেখা দেয়। এইজন্য এলার্জি কমাতে হলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

শসা এবং গাজর: আমরা এমনিতেই খাবারের সাথে শসা ও গাজরের সালাত খেয়ে থাকি এতেও আমাদের শরীরে এলার্জির প্রাদুভাব কমে। কিন্তু অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে শসা ও গাজরের রস মিক্স করে খেয়ে নিলে খুব তাড়াতাড়ি এর ফলাফল পাওয়া যায়।

টক দই: শরীরের জন্য টক দই খুবই উপকারী টক দই খেলে শরীরে এলার্জির পরিমাণ কমতে থাকে এইজন্য নিয়মিত টক দই খেতে পারেন। টক দই খেলে এলার্জি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আদা চা: এলার্জি সমস্যা হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মাথা ঘোরা, বমি ভাব, গলা ব্যথা, মুখ ফুলে যায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, এই জন্য আদা চা খেলে এ সমস্যাগুলো দূর হয়। এবং খুব তাড়াতাড়ি এলার্জি নিরাময় হতে থাকে। আপনারা চাইলে এই টোটকাটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

গ্রিন টি: আমরা সবাই প্রতিনিয়তই গ্রিন টি খেয়ে থাকি কিন্তু এর উপকার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। গ্রিন টি আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপায়ে বা বিভিন্নভাবে উপকার করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে এলার্জির মাত্রা কমায়। এই জন্য আপনারা চাইলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।

কাস্টার অয়েল: আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে কাস্টার রয়েল আমাদের চুলের জন্য কতটা উপকারী শুধু চুলের জন্যই উপকারী নয়। এটি এলার্জি কমানোরও কাজ করে আপনি যদি এলার্জিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকে তাহলে ক্যাস্টর অয়েল খেলে পাকস্থলীতে গিয়ে আপনার এলার্জিযুক্ত খাবার নিমিষেই হজম করে। ধীরে ধীরে আপনার এলার্জি কমে আসে এই জন্য কাস্টর অয়েল এনার্জি নিরাময় করা করাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

নাকের এলার্জি দূর করার উপায়

নাকি এলার্জি হওয়ার মূল কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অথবা বেশি ধুলাবালি নাকে ঢুকলে এ এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। মূলত এই এলার্জিকে বলে ডাস্ট এলার্জি। যাদের এই এলার্জি রয়েছে তারা ধুলাবালি বা অপরিষ্কার কোন কিছু নিলেই তাদের এই সমস্যা দেখা দেয়। 

এবং প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রেও অপরিষ্কার জায়গায় গেলে সেই ধুলাবালি নাকে ঢুকলে এলার্জি হতে পারে। এইজন্য কোন কিছু পরিষ্কারের আগে মার্কস পড়ে নিতে হবে এতে ধুলাবালি নাকে যেতে পারবেনা তাহলে আর নাকের এই এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি হবে না।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বিন্দু আশা করি সবাই ভাল আছেন। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের সমস্যা নিরাময় করার জন্য আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা। আপনারা নিয়ম মেনে এ টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ ফলাফল পাবেন, ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি ঘরোয়া ভাবে কিভাবে শরীরে এলার্জি দূর করা যায়। ইসলামী উপায়েও এলার্জি দূর করার উপায় ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছে। 

আপনারা চাইলে দোয়াটি আমল করে এলার্জি নিরাময় করতে পারেন খুব সহজে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য । আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url