খেজুর খাওয়ার ২৫টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনারা সবাই জানেন খেজুরে পুষ্টি গুন সম্পর্কে। খেজুরে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি খেজুর একটি সুস্বাদু ফল।খেজুরে রয়েছে চিনি ও ক্যালরি এইজন্য খেজুরকে শক্তির উৎস বলা হয়। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়।আপনারা হয়তো খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে খেজুর খাওয়ার পুষ্টিগুণা গুন সম্পর্কে, খেজুর খেলে কি কি উপকার হয়, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবার ধারণা রয়েছে। কিন্তু দিনে কয়টা খেজুর খেতে হবে বা খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম। কখন খেজুর খেলে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে।কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো।সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে কি কি উপকার হয়।খেজুরের কি কি ভিটামিন রয়েছে।খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। এই জন্য খেজুর খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়।খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার।

পেজ সূচিপত্র:-নিয়মিত খেজুর খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।সঠিক নিয়ম মেনে খেলে খেজুর আমাদের ওজন কমায়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীর সুস্থ সবল রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এইজন্য প্রতিদিন খাবার তালিকায় খেজুর রাখা উচিত। খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি মিলে।আমরা তো সবাই জানি খেজুরের পুষ্টিগুণা গুণ সম্পর্কে।প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে খুব সহজেই ওজন কমানো যায়। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার ওজন কমে যাবে।অনেকের আবার হজম শক্তি কম কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন তাহলে এসব সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

যাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তারা খুব দ্রুত প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খেলে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন এজন্য নিয়মিত সকালে খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফরাস, মিনারেলস, শর্করা আমিষ প্রোটিন।তাই নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের শরীরের এ সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হবে। 

পাশাপাশি আমাদের শরীরের দুর্বলতা নিরাময় হবে।প্রতিদিন সকালে নিয়মিত খালি পেটে খেজুর খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকবে। এজন্য নিয়মিত খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

দিনের কয়টি করে খেজুর খাওয়া উচিত

সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন ৪টা করে খেজুর খেতে পারেন।এতে আপনার শরীরে এনার্জি বজায় থাকবে।যারা সারাদিন শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করে থাকেন তারা দিনে ৫ থেকে ৬টি খেজুর খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের সব ক্লান্তি দূর হবে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।যারা ওজন বাড়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা নিয়মিত খালি পেটে ৩ থেকে ৪টি খেজুর খেতে পারেন এতে আপনার ওজন খুব দ্রুত কমে যাবে।


যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ও চিনি রয়েছে এই জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খেতে হবে।অনেকে আবার ওজন বাড়াতে চান অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন বাট ভালো ফলাফল পাননি তাদের জন্য খেজুরের সংখ্যা একটু বাড়িয়ে দিলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।শিশুরা দিনে ৪ থেকে ৫টি খেজুর খেতে পারবে।এতে কোন সমস্যা হবে না।অনেকের আবার চিনি যুক্ত খাবার খেতে নিষেধ রয়েছে । 

কিন্তু মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে মন চাচ্ছে তখন আপনি চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুর খেতে পারেন।বয়স্ক ব্যক্তিরা দিনের ২ থেকে ৩ টি খেজুর খেতে পারে এতে শরীরের দুর্বলতা দূর হবে প্রকৃতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীর সুস্থ থাকবে।কিন্তু অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া যাবেনা কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে বেশি পরিমাণ খেলে তা হজম করতে সমস্যা হতে পারে।

খেজুর খেলে কি রক্ত হয়

খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যার রক্ত ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।সেই আয়রন থেকে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে।যারা অ্যানিমিনিয়া রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা দূর করে এবং শরীরে পর্যাপ্ত রক্তে সঞ্চারিত করে। অনেকে শরীরে রক্ত বৃদ্ধির কণিকা সৃষ্টি হয় না। তারা নিয়মিত দিনের ৩ থেকে ৪টি খেজুর খেতে পারেন। এতে আপনার রক্তস্বল্পতা দূর হবে।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি উপকার হয়

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে অনেক উপকার একসাথে মিলে। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে মা ও শিশু দুজনেই সমানভাবে শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে।এতে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে, শিশু পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।বিশেষজ্ঞরা বলেন গর্ভকালীন অবস্থায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি খেজুর খেলে শরীরের শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।

এইজন্য প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের নিয়ম করে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত এতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকবে।আরো বিশেষ কারণ রয়েছে গর্ভ অবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকার সম্পর্কে জেনে নিন।

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে: গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের নিয়মিত খেজুর এইজন্যই খাওয়া সন্তান প্রসব করার সময় মাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্ত বেরিয়ে যায়। এতে মহিলাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়, পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয়।এইজন্য গর্ভাবস্থায় থাকাই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত খেজুর খেতে বলেন, এতো খুব দ্রুত রক্ত সঞ্চালন করে। এবং শরীরের দুর্বলতা দূর করে শক্তি সঞ্চয় করে।

প্রসব বেদনা কমায়: নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে গর্ভকালীন মাদের প্রসব এর পেইন উঠে তা অনেকটা কম হয় গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন খালি পেটে খেজুর খেলে ইউটেরাসের ব্যথা কমে। ও শক্তিশালী করে।

জরায়ু শক্তিশালী করে : খেজুরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে তার মাধ্যমে জরায়ু শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে । খেজুরে রয়েছে অক্সিটোসিন নামক এক ধরনের হরমোন যার জরায়ুর পেশী শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার্সম্পর্কে জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। প্রতি গ্রাম খেজুরে রয়েছে প্রায় ৬০০ ইউ এল অক্সিটোসিন। এইজন্য জরায়ু শক্তিশালী করে।

হাড় ও দাঁত শক্ত ও মজবুত করে: হাড় ও দাঁত শক্ত ও মজবুত করতে খেজুরের বিকল্প নেই।খেজুরের ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন কে উপাদান থাকায় হাড় ও দাঁতের গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই জন্য নিয়মিত পরিমাপ মতো খেজুর খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকবে।

গর্ভাবস্থায় শিশুদের ওজন বৃদ্ধি : অনেক সময় দেখা যায় গর্ভাবস্থায় থাকায় শিশুদের প্রয়োজনের চেয়ে ওজন খুব কম এইজন্য নিয়মিত মাদের খেজুর খেলে গর্ভাবস্থায় শিশুদের খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । গর্ভাবস্থায় শিশুদের ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ হলো মায়েরা এ সময় খাবারের প্রতি অনীহা আসে নিয়মিত খাবার খেতে পারে না। 

পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না, এইজন্য শিশুদের ওজন কম হয়ে যায়।বাচ্চাদের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ বৃদ্ধি হতে পারে না। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পায়। শিশু শারীরিক পুষ্টি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

চুল পড়া কমায়: গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খেলে চুল পড়া কমায়।কারন খেজুরে রয়েছে আয়রন যার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেলে, ধীরে ধীরে চুল পড়া কমে যায়।

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে : নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে।আর একজন গর্ভবতী মা আনন্দ খুশি থাকতে হবে।তাহলে তার মন ভালো থাকবে শরীর সুস্থ থাকবে এবং শিশুও ভালো থাকবে এই জন্য প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি গর্ভবতী মায়ের খেজুর খাওয়া উচিত।

হাঁপানি ও কাশি:খেজুরে রয়েছে হিমোগ্লোবিন যা রক্তের কণিকা সঞ্চালন করে। শরীর গরম থাকলে হাঁপানি ও কাশির সমস্যা দূর হয়। শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত থাকলে শরীর সবসময় গরম থাকে। এইজন্য নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন কাশি ও হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

আমরা তো সবাই জানি কোন কিছুই প্রয়োজন এর চেয়ে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় এতে উপকারের বিপরীত হয়।অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়ার মতো রোগের সৃষ্টি হতে পারে ।কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। 


খেজুর সংরক্ষণ করার সময় সালফাইট নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। খেজুরের রয়েছে হিমোগ্লোবিন যার রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত খেজুর খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে। এতে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। খেজুর সংরক্ষণ করার জন্য সালফাইট নামক রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলে অতিরিক্ত খেজুর খেলে শরীরে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে খেজুর খেলে আপনাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের নিরাময় মিলবে।প্রতিদিন রাতে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই খেজুর রাখুন নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে যে সব উপকার মিলবেই তা নিজে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
  • রাতে নিয়মিত খেজুর খেলে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
  • হৃদরোগের ঝুকি কমিয়ে হাঁটতে সুস্থ সবল রাখবে
  • প্রতিদিন রাতে খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে
  • শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে
  • রক্তস্বল্পতা দূর করবে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে
  • রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করবে
  • শরীরের দুর্বলতা দূর করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে
  • আমাদের দেহের পেশি শক্ত করবে
  • হাড় ও দাঁত শক্ত ও মজবুত করবে
  • ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বকের কমল মসৃণ করবে
  • ক্ষুধামন্দা দূর করে খাবারের রুচি আনতে সাহায্য করবে
  • গ্যাসের সমস্যা দূর করবে

প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ও চিনি থাকায় দ্রুত শক্তি যোগাতে সাহায্য করে প্রতিদিন খাওয়ার ফলে শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আমরা সবাই জানি খেজুরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে ভিটামিন বি ভিটামিন কে থাকায় আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করে। এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সুস্বাদু ফলটি শরীরের ক্লান্ত ভাব দূর করে। শরীরের শক্তি যোগিয়ে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়।

চোখ ভালো রাখে : খেজুরের পুষ্টিগুণগুনের শেষ হবে না, খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন ভিটামিন বি ও সি যা আমাদের শরীর ও চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সেই ভূমিকা পালন করে। অনেকের চোখের সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন নিয়ম করে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার চোখ ভালো থাকবে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খাবেন। কারণ খেজুর খেলে শরীরও মন ভালো থাকে। কেননা খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা হার্টের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের কোলস্টরলের মাত্রা কমায়।

ত্বক ভালো রাখে : অনেকের অল্প বয়সেও ত্বকে বলিরেখা বা কুঁচকে ভাব আসে। বয়স না হওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত বয়স দেখায়। তাদের জন্য প্রতিদিন খাবার তালিকা খেজুর রাখার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন খেজুর খেলে ত্বকে বলিরেখা ও বয়সে ছাপ দূর করে। ত্বকে যত্ন নিতে নিয়মিত খেজুর খান।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:প্রতিদিন নিয়মিত নিয়ম করে খেজুর খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ খেজুরের রয়েছে এক ধরনের অ্যাসিড যা পেটে অনেক সময় পর্যন্ত থাকে। খেজুরে অনেক পরিমাণ ফাইবার হয়েছে যার অতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণ করে খুব সহজেই ও জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

এই জন্য প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা। আপনি চাইলে ওজন বৃদ্ধি ও করতে পারবেন। কয়েকটি খেজুর বেশি খেলেই খুব সহজেই আপনারা ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন ।

পেটের সমস্যার দূর করা : প্রতিদিন খেজুর খেলে পেটের নানা ধরনের সমস্যা দূর করে। পেটে গ্যাস হয় না, বদহজম হয় না। কারণ খেজুরে রয়েছে অনেক পরিমাণ ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য মতো রোগের সমাধান করে।

হাড় ভালো রাখে: হাড় ভালো রাখতে খেজুরের বিকল্প নেই।খেজুরের ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন কে উপাদান থাকায় হাড় গঠন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই জন্য নিয়মিত পরিমাপ মতো খেজুর খেলে হাড় ভালো থাকবে।

লেখক এর শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা, খেজুর খেলে কি কি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দিনে কয়টি খেজুর খেতে হবে। গর্ভবতী মা কেন খেজুর খাবে, বিস্তারিত এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন। খেজুর খুব পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ফল। কম বেশি সবার পছন্দনীয় সবাই খেতে খুব পছন্দ করে। যেহেতু খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালোরি, ফাইবার, চর্বি, কার্বোহাইডেট, হিমোগ্লোবিন সবই পেয়ে যাবেন খেজুরের মধ্যে। 

এই জন্য খেজুর কে আমরা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার হিসেবে চিনে থাকি। আপনারা চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। সত্যিই খেজুর একটি উপকারী ফল যা খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা যায়। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য, মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি করার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url