ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ও সময় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো ট্রেন জার্নি করতে ভালোবাসেন।কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে আপনাদের জানা নেই, যে কোন ট্রেনের জন্য কোন সময় টিকিট কাটা লাগবে। কোন ট্রেন কখন কোথায় থেকে ছাড়বে। 

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ও সময়
অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। আর নয় চিন্তা আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ও সময় জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

উপস্থাপনা

আমরা কমবেশি সবাই ট্রেন জার্নি করতে ভালোবাসি।কিন্তু সবার কাছে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম ও সময় সম্পর্কে অনেকের অজানা এ বিষয়টি। কোথায় কোন টিকিট পাওয়া যায়, কোন সময় ট্রেন ছাড়বে কোন ট্রেন কোথায় যাবে। এই জন্য অনেকেই ট্রেন জার্নি করতে ভালোবাসে তবুও এই ঝামেলার কারণে ট্রেন জার্নি করতে চায়না। এইজন্য আপনাদের সুবিধার্থে কোন ট্রেনের টিকিট কোথায় পাবেন, টিকিট কাটার নিয়ম, 

পোস্ট সূচীপত্র:-ট্রেন ছাড়ার সময় কোন ট্রেন কোথায় গিয়ে থামবে। কোথায় থেকে কখন কোন ট্রেন ছাড়বে, খুব সহজে কিভাবে টিকিট কাটতে পারবেন। তার বিস্তারিত বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব। ভালোভাবে বুঝতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনলাইনে ২০২৪

মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ট্রেনের টিকিট খুব সহজে বাসায় বসে আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া এইজন্য আপনাকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনাকে অবশ্যই ফোনে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সাইডে যেতে হবে।
  • আপনার ফোন থেকে কোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন।
  • তারপরে সার্চবারে গিয়ে ক্লিক করে টাইপ করুন রেলওয়ে টিকিট।
  • এরপরে সার্চবারে ক্লিক করে প্রথমে যে ওয়েবসাইট শো করবে ওই লিংকের ওপর ক্লিক করুন।
  • কিন্তু অবশ্যই যাচাই করে ভালোভাবে দেখে বুঝে ক্লিক করবেন।
  • তারপরে আপনার সামনে একটি ফরম শো করবে বাংলাদেশ রেলওয়ের
  • Login
  • Register
  • Train ticket from to
  • অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়েব সাইটে যেতে হবে।তারপরে উপরে থ্রি ডট এ ক্লিক করতে হবে।
  • তারপরে আপনার সামনে একটি রেজিস্ট্রেশন করার ফ্রম আসবে।ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য মোবাইল নাম্বার আইডি কার্ডের নাম্বার জন্ম তারিখ দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। আই এম নট এ রোবট ক্লিক করতে হবে।
  • তারপরের ফর্মে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিন এবং পাসওয়ার্ড সেট করুন অ্যাকাউন্ট করার জন্য।
  • এরপরে কমপ্লিট করে রেজিস্ট্রেশন ক্লিক করার পরে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি OTP কোড যাবে সেটি বসিয়ে দিয়ে কন্টিনিউতে ক্লিক করতে হবে।

কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

বর্তমানে কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য বর্তমানে জাতীয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সদন ছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটা যায় না।কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য অবশ্যই ফোন নাম্বার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না।বিদেশীরা ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। 

সেই নিবন্ধনটি নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের সংরক্ষিত ডাটাবেসের মাধ্যমে যাচাই করবে। আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করলে সঠিকভাবে নিবন্ধনটি সম্পূর্ণ হলো আপনি কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন খুব সহজে নিবন্ধন করার জন্য কাউন্টারে গিয়ে একসাথে চারজন যাত্রা করতে পারবেন।কিন্তু আপনার পরিচয় পত্র দিয়ে টিকিট কাটলে অন্য কেউ সেই টিকিট দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে না।মোবাইলের মাধ্যমে কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম হলো 

মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে BR<space>NIDনাম্বার<space> দিয়ে কিছু তথ্য জন্ম তারিখ সাল মাস দিন দিয়ে ২৬৯৬৯নাম্বারে পাঠাতে হবে। কিছুক্ষণ পরে আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। যে আপনার টিকিট কাটা অথবা নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কিনা নিবন্ধন ঠিক হলে কাউন্টারে গিয়ে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখালে অথবা পাসপোর্ট দেখালে আপনি আপনার টিকিট পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে ট্রেনের অবস্থান জানার উপায়

বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষ ট্রেন জার্নি করতে ভালোবাসে। কোন জায়গা ভ্রমণ করলে বেশিরভাগ সময়ই ট্রেনে ভ্রমন করেন। কারন টেনে অনেক রকম সুবিধা রয়েছে কোথাও গেলে কম খরচে টেনে যাওয়া যায়। ঝাকুনি কম হয়, ট্রেনে প্রশস্ত জায়গা রয়েছে.আর সবাই ভাবে ট্রেন জার্নি নিরাপদ জার্নি বলে মনে করে।কারণ ট্রেনে জার্নি করলে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম এই সুবিধাগুলোর জন্য মানুষ ট্রেন জার্নি করতে বেশি পছন্দ করে। 

কিন্তু সমস্যা একটাই যে কোন সময় কোথা থেকে ট্রেন ছাড়ে এটা জানলে মানুষের বেশি সুবিধা হবে চলুন তাহলে জেনে নিন।বেশকিছু ট্রেন রয়েছে যেগুলো খুব সময় মেইনটেইন করে চলে বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সঠিক নিয়ম কানুন মেনে সঠিক সময় চলাচল করে। তার নির্ধারিত টাইম এর মধ্যেই কাজ শেষ করে ট্রেন দেরি করে না। কারণ এই ট্রেনে দূর দূরান্তের মানুষ ট্রেন জার্নি করে।

মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জেনে নিন
এইজন্য সকলেরই আগে থেকে জেনে নেওয়া উচিত ট্রেনের লোকেশন কোথায় আছে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের অবস্থান জানার উপায় হলো।আপনারা চাইলে ফোন অথবা মেসেজ করে লোকেশন জানতে পারবেন। জানার উপায়গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রথম ধাপ :বাংলাদেশে প্রত্যেক মানুষই প্রায় ফোন ইউজ করে। আর ফোনে মেসেজ অপশন আছে যে কোন মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি মেসেজ করতে পারবেন। প্রথমে আপনার মেসেজের অপশন চালু করতে হবে। তারপরে এটি খুব সহজেই করতে পারবেন।

দ্বিতীয় ধাপ:মেসেজ অপশনে গিয়ে রেলওয়ের নির্দিষ্ট একটি নাম্বারে টাইপ করুন নাম্বারটি হল ১৬৩১৮ এই নাম্বারে আপনার প্রশ্নগুলো লিখে পাঠিয়ে দিন।

তৃতীয় ধাপ:অনলাইনের মাধ্যমে টেনের লোকেশন জানতে হলে আপনাকে মেসেজে নির্দিষ্ট ধরন রয়েছে প্রথমে লিখতে হবে টিআর এরপরে ট্রেনের কোড অথবা ট্রেনের নাম বসাতে হবে । TR<space>EkotaTR<space> তারপরে এখানে আপনি কোন ট্রেনের লোকেশন জানতে চাচ্ছেন।

সেই ট্রেনের নাম এবং ট্রেনের নাম্বার বসাতে হবে।১৬৩১৮নাম্বারে মেসেজটি পাঠাতে হবে, কিছু সময়ের মধ্যেই আপনি যে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তার লোকেশন খুব সহজে পেয়ে যাবেন।

ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস

আপনাদের হয়তো অনেকেই জানা নেই যে অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কাটা যায়। ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, এখন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যাপস এর মাধ্যমেও ট্রেনের টিকিট কাটা যায় কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসেই অ্যাপ এর মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট কাটা যায়। অনেকে আছেন কাউন্টারে টিকিট কাটতে ঝামেলা বোধ করেন। তাদের জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস চালু হয়েছে। 

খুব সহজেই অ্যাপসটি ব্যবহার করে ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে এন্ড্রয়েড ফোনে প্লেস্টোর অন করতে হবে, সার্চ বার গিয়ে টেনের টিকিট কাটার লিখে সার্চ করতে হবে। এরপরে ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস ইনস্টল করতে হবে। তারপরে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য নাম ফোন নাম্বার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে কোন ট্রেনে জার্নি করতে চাচ্ছেন। 

সেই ট্রেনের নাম্বার নাম পেমেন্ট অপশনে গিয়ে পেমেন্ট করতে হবে। কিছুক্ষণ পরে আপনার ফোনে মেসেজ আসবে। আপনার তথ্যগুলো সঠিক থাকলে আপনার টিকিট কাটা সম্পূর্ণ হবে অ্যাপসের মাধ্যমে। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাপস দিয়ে টেনের টিকিট কাটতে পারবেন খুব সহজ পদ্ধতিতে। তাহলে চলুন কোন অ্যাপস দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। এমন অ্যাপস গুলোর নাম বিস্তারিত জেনে নিন।
  • Rail Sheba
  • Bd Rail Sheba
  • Bd Railway Ticket and Schedule
  • Rail Sheba (BD)
  • ConfirmTkt: Train Booking App
  • Trainline: Buy train tickets
  • ixigo Trains
  • Trainman
  • E-Ticket
  • Rail O Jatri
  • HHR Train

ট্রেন ছাড়ার জায়গা ও সময়সূচি

আমরা অনেকে আছি যে ট্রেনের ছাড়া জায়গা বা সময়সূচী সম্পর্কে জানি না এই জন্য অনেকেই ট্রেন জার্নি করতে পছন্দ করা সত্ত্বেও ট্রেন জার্নি করা হয় না। এইজন্য আপনাদের সুবিধার্থে ট্রেন ছাড়ার জায়গা ও সময়সূচী সম্পর্কে নিচে চাটে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

ট্রেন ছাড়ার জায়গা ও সময়সূচি

ট্রেনের নাম ট্রেন ছাড়ার সময় ও স্টেশন ট্রেন পৌঁছানোর সময় ও স্টেশন অফ ডে স্টেশনে থামার সময়
৭১৬ কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস খুলনা ৮টা ২৫ মিনিট আজিম নগর ১৫:১৬, ঈশ্বরদী জং ১৫৩০, পাকশী১৫৫৫, ভেড়ামারা১৬০৯, মিরপুর১৬২২, চুয়াডাঙ্গা ১৭১০, চাঁদপুর১৮১৭, যশোর১৯০৫
৭১৫ কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস রাজশাহী ১২:২০ মিনিট আলমডাঙ্গা৯;৪৪, পোড়াদহ জং ১০:০০, মিরপুর১০:১৩, ভেড়ামারা১০:২৫, পাকশী১০:৩৯, ঈশ্বরন্দী জং১০:৫০, আজিমনগর১১:২২, যশোর১৭:০৩, চুয়াডাঙ্গা১৮:৪৫
৭৬১ খুলনা বিকাল ৪টা রাজশাহী রাত ৮টা আলমডাঙ্গা১৯:২০, পোড়াদহ জং১৯:২০, মিরপুর১৯:৩৩, ভেড়ামারা১৯:৩৩, পাকশী২০:০০ আব্দুলপুর৬:৪০, আজিমনগর০৬:৫১
৭৬২ সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস রাজশাহী ৬.০০টা চুয়াডাঙ্গা০৮:২৯, সাফদারপুর৯:৪০, কোটচাঁদপুর০৯:৫১ মোবারকগঞ্জ১০:০৫, যশোর১০:৩৫, নওয়াপাড়া১০:৫৫
৫৫৭ আপ৫৭ আপ ঈশ্বরদী কমিউটার বহনপুর ১২টা ২০ রাজশাহী ০২:০০ টা
৭৮ ডাউন বহনপুর কমিউটার রাজশাহী ১৩:০০ বহনপুর ০৪:০০ টা
৫৫৬৩ নং লোকাল ঈশ্বরদী লোকাল ঈশ্বরদী ০৪:০০ বহনপুর ৮:০০ টা
রাজশাহী লোকাল রাজশাহী ১:০০ টা চাপাই ১৫:০০ আমনুরা ৪:৩০ টা
৫৫৮১লোকাল রাজশাহী চাপাই লোকাল ১৫:৩৫ আমনুরা ৪:৩০ টা আমনুরা ১:৫৫ টা
৫৫৮৫ নং লোকাল চাপাই লোকাল ২৩:৩০ বহনপুর ০১:২০ রাজশাহী ৩:৩০ টা

লেখকের মক্তব্য

প্রিয় পাঠক ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে আপনারা হয়তো অনেকেই টিকিট নিয়ে অনেক সমস্যায় বা ঝামেলায় পড়তে হয়। এইজন্য আপনাদের সুবিধার্থে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে টিকেট কাটা যায়। আপনারা চাইলে ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেও টিকিট কাটতে পারবেন। অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমেও অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। টিকিট কাটার জন্য অ্যাপস ইন্সটল করে খুব সহজেই ঘরে বসে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। 

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হবে। আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন, এই নিয়মটি অনুসরণ করে খুব সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনাদের পছন্দের ট্রেন জার্নি করতে পারবেন। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url