চোখে সমস্যা কেন হয় এর প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক আমাদের শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। চোখের সমস্যা হলো মারাত্মক সমস্যা। রএকজন মানুষের চোখ ভালো না থাকলে তার পৃথিবীতে কোন মূল্য থাকেনা।বর্তমান যুগের চোখের সমস্যা প্রায় মানুষেরই দেখা যায়। অল্প বয়সেই এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়।চোখ দিয়ে পানি পড়ে,চোখ চুলকায়,দূরের জিনিস দেখা যায় না, চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
এসব রোগে প্রায় মানুষই ভুগছে। আপনি হয়তো চোখের সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার খুব কাজে দিবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়লে খুব সহজেই আপনি চোখের সমস্যা থেকে নিরাময় পাবেন।
ভূমিকা
চোখ আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। যার সাহায্যে আমরা চলা ফেরা করি,খাওয়া দাওয়া করি,এইজন্য নিয়মিত আমাদের চোখের পরিচর্যা করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে বাংলাদেশের মানুষদের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে অল্প বয়সেই চোখে ঝপসা দেখে,দূরের কিছু ভালোভাবে দেখতে পায় না। চোখ দিয়ে পানি পড়ে,চোখ চুলকায় চোখে ছানি পরে এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়।
সূচিপত্র:-অনেকে আবার বেশি পড়াশোনা করার ফলে চোখে কম দেখে। আরো একটি কারণ রয়েছে চোখে কম দেখার অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।প্রত্যেকটা মানুষের কাছে এন্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। প্রায় মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করে যার ফলে ধীরে ধীরে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো থেকে নিরাময় পেতে কোন খাবার খেতে হবে,কি কি করলে চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে,কি অভ্যাস পরিহার করতে হবে,
কোন খাবার খেলে চোখের ছানি পড়া থেকে মুক্তি মিলবে,চোখে পানি পড়বে না,চোখের এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে এগুলো নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেল। চোখ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়লেই আপনি খুব সহজেই চোখের এই সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
হঠাৎ চোখে না দেখার কারন কি
চোখের সমস্যা মারাত্মক সমস্যা। হঠাৎ করেই চোখে না দেখার কারণ হলো চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টি পাইনা। এইজন্য চোখের জ্যোতির কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দেয়। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই এই খাবারগুলোতে ভিটামিন মিনারেল,ক্যালসিয়াম,প্রোটিন,আমিষ,শর্করা,ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান আমরা খাবার থেকে পেয়ে থাকি। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এতে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়।চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি।
এই ভিটামিন গুলোর অভাবে চোখে নানা রকম রোগ দেখা দেয়। ভিটামিন-এ যে খাবারগুলোতে রয়েছে সেগুলো হলো: পালং শাক,লাউশা, সিম, পুইশাক, সবুজ শাক,বরবটি আরো ইত্যাদি সবুজ সবজিতে ভিটামিন এর পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। এইজন্য এই খাবারগুলো বেশি বেশি খেতে হবে।প্রতিদিন খাবার তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। সবুজ শাক সবজির পাশাপাশি হলুদ রঙ্গের ফলে ভিটামিন এ রয়েছে। হলুদ রঙের ফলে সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে।এইজন্য হলুদ রঙের ফল খেলে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করে।
আরো পড়ুন: বাদাম খেলে কি কি উপকার হয়
যে ফলগুলোতে ভিটামিন এ রয়েছে পাকা আম, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, আনারস, লিচু, জামরুল ইত্যাদি এইসব ফলগুলোতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। চেষ্টা করবেন প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এ ধরনের ফল রাখার। তাহলে খুব সহজেই চোখের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। কারণ ভিটামিন এ এর অভাবেই চোখে সমস্যা দেখা দেয়।
চোখে ময়লা হলে ও ব্যথা হলে কি দোয়া পড়তে হয়
চোখ হলো মহান আল্লাহ তায়ালার দান। তার অশেষ রহমতে আমরা পৃথিবী দেখতে পাই। আমাদের চোখ বিভিন্ন কারণে ব্যথা করে।চোখে ময়লা জমার কারণে চোখে ছানি পরে। চোখে ব্যথা শুরু হলে আর কিছু দেখা যায় না। চোখের ব্যথা অসহ্যজনক কষ্টকর হয়।অনেকে অনেক ডাক্তার দেখিয়েও সুরাহা মেলেনি। এইজন্য আমরা ইসলামী উপায়ে চোখের ময়লা ও ব্যাথা দূর করতে কয়েকটি দোয়া আমল করতে পারি।
নিয়মিত আমল করার ফলে আমাদের চোখের ব্যথা ও চোখের ময়লার দূর করে ছানি পড়া রোধ করবে ইনশাআল্লাহ। চোখের সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। দোয়াটি নিয়মিত আমল করে আল্লাহর কাছ থেকে আমাদের চোখ হেফাজত করার প্রার্থনা করতে হবে। তাহলে চলুন চোখের ব্যাথা দূর করার বিশেষ দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
উচ্চারণ: লাক্বাদ কুংতা ফি গাফলাতিম মিন হাজা ফাকাশাফনা আংকা গিত্বা আকা ফাবাচারুকাল ইয়াওমা হাদিদ।
অর্থ: হে আল্লাহ আমার দেহ সুস্থ রাখুন হে আল্লাহ আমাকে সুস্থ রাখুন, আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে, হে আল্লাহ আমাকে সুস্থ রাখুন দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ ফিনি বাদানি আল্লাহুম্মা আ ফিনি সামই, আল্লাহুমা আ ফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থ: হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ! আপনি আমাকে সুস্থতা দান করুন। সেই সাথে আপনি আমার দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষতিকর রোগব্যাধি থেকে হেফাজত করুন।
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি ওয়া মিন শাররি বাসারি ওয়ামিন সাররি লিসানি ওয়ামিন সাররি মানিয়্যি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার চোখকে সকল ধরনের বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করুন। এবং আমার দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দিন।
চোখ ভালো রাখার জন্য কি কি খাওয়া উচিত
চোখ ভালো রাখার জন্য আমাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। যে খাবারগুলোতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই,ভিটামিন ডি,ভিটামিন কে রয়েছে এমন খাবার খাওয়া উচিত। নিয়মিত এই ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে চোখের বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চোখ মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।চোখ ছাড়া একজন মানুষের চলা খুবই কষ্টসাধ্য। এইজন্য চোখের নিয়মিত যত্ন নেওয়া উচিত।
চোখকে ভালো রাখতে আমাদের সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। যে মাছে প্রোটিন ও আয়োডিনের মাত্রা বেশি রয়েছে। এমন মাছ খেলে চোখের জ্যোতি তীব্র মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি এবং হলুদ রঙের ফলমূল খাবার তালিকায় রাখতে হবে প্রতিদিন।নিয়মিত বাদাম খেলে চোখ ভালো থাকে। আপনারা তো সবাই জানেন বাদামের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে। বাদামে রয়েছে প্রোটিনের সমাহার। যা শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে চোখকে ভালো রাখে।
এইজন্য নিয়মিত সকালের নাস্তায় বাদাম খেতে পারেন। চিংড়ি মাছ হয়তো সবাই খেতে পছন্দ করেন। চিংড়ি মাছও চোখ ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অলিভ অয়েল তেল ঘুমানোর আগে চোখের উপর দিয়ে ঘুমালে সারাদিন এর স্ট্রেচ সহজে নিরময় করে খুব ভালো ঘুম হয়।এতে চোখ ভালো থাকে। কারণ আপনি সারাদিন বসে থাকলেও আপনার চোখ কিন্তু বন্ধ হয়নি।
এইজন্য চোখের উপরে অনেক চাপ পড়ে। অলিভ অয়েল মেখে ঘুমালে চোখের এই চাপ দূর হয় চোখ ভালো থাকে। চোখ ভালো করার জন্য আরো কয়েকটি মাছ খেতে পারেন নিয়মিত যেমন: কৈ মাছ, শিং মাছ, মাগুর মাছ, কাতল মাছ, মৃগেল মাছ,রুই মাছ ইত্যাদি চোখকে পুষ্টি যোগায় এবং আমাদের চোখকে ভালো রাখে।
চোখ দিয়ে পানি পড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা
চোখের সমস্যা হলে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি এবং কারণ খুঁজি সে কি কারনে এ সমস্যা হচ্ছে। বর্তমান যুগে চলতে পানি পড়া কমন একটা বিষয় অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আমাদের এই সমস্যা গুলো দেখা দিচ্ছে অনেক সময় ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে অন্যের স্কিন থেকে এক ধরনের রশ্মি চোখে গিয়ে লাগে এর ফলে চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। চোখ দিয়ে পানি ঝরা নিবারণ করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু অভ্যাস পরিহার করতে হবে তাহলে চোখ দিয়ে পানি পড়া রোগ থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারবে না। সঠিক নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর চোখের জন্য সবচেয়ে কার্যকারী হলো ঘুম। আমরা সারাদিন কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি।বিশ্রাম নেওয়ার একদম সময় পাইনা। এই জন্য চোখের উপর দিয়ে সারাদিন অনেক স্টেজ যায়। যা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের দরকার হয়।সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখের নরমাল পানি দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট পানি ঝাপটা দিতে হবে।এতে করে আপনার চোখ রিফেস ফিল করবে। আবার নতুন করে চোখের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিদিন নিয়ম করে চোখে পানি দিলে চোখের ময়লা দূর হয়, ছানি পড়ার হাত থেকে চোখ রক্ষা পায়।চোখকে ভালো রাখতে হলে সবুজ শাকসবজি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ।আর খাবার তালিকায় বিভিন্ন ধরনের হলুদ রঙের ফল রাখতে হবে।ইন্টারনেট বা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে হবে প্রয়োজন ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ না করাই ভালো।চোখের জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে নিয়মিত ব্যায়ামগুলো করতে পারলে চোখের পানি পড়া দূর হবে।
চোখ ভালো থাকবে।চোখের সমস্যার জন্য অতিরিক্ত মাথা ব্যথা করতে পারে এতে আপনি খুব দ্রুত ভালো কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারে না। চোখের জন্য মাথা ব্যথা ভালো লক্ষণ নয় এর জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার উপায়
চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া একটি সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যাটি ছোট বড় সবাই ভুগছে। চোখের সমস্যা মূলত দুই ধরনের কেউ দূরের জিনিস দেখতে পায় না। আবার কেউ খুব কাছে থেকেও কাছে জিনিস দেখতে পায় না। চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার কারণে অল্প বয়সেই চোখে চশমা ব্যবহার করতে হয় না হলে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে হয় ।
অনেকেই চোখে চশমা ব্যবহার করতে চায় না কিন্তু বাধ্যতামূলক তাকে ব্যবহার করতে হয় । তবে আপনারা চাইলে প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করার সহজ উপায় জেনে নিয়ে আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।
চোখের ব্যায়াম : প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনারা চাইলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন চোখের ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন ব্যায়াম করার ফলে চোখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় যা চোখের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। চোখের ব্যায়াম করা তেমন কোন কঠিন বিষয় নয়।
আপনারাও চাইলেই খুব সহজে করতে পারেন। চোখ বন্ধ ও খোলা, কয়েকবার চোখ ঘোরানো চোখ এপাশ-ওপাশ করা, ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই ব্যায়ামটি করলে । অন্তত দিনে দুইবার করতে হবে। তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
বাদাম: বাদামে রয়েছে পুষ্টিগুণের সমহার,বাদামি রয়েছে ভিটামিন ই ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দৃষ্টিশক্তিকে বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে । এজন্য নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন চোখ ভালো রাখতে, প্রতিদিন বাদাম পেস্টের সাথে এক গ্লাস দুধ মিশিয়ে ফেলে ভালো উপকার মিলে।
আমলকি : চোখের দৃষ্টি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমলকি একটি শক্তিশালী প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।আমলকিতেও রয়েছে বিশেষ ধরনের পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিমান যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। আপনারা তো জানেন যে আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ আমলকি পাউডার মিশিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার: চোখ ভালো রাখতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিদিন খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ভিটামিন এ বি সি ডি ই কে এগুলো খাবারেপ্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি চোখের জন্য খুব ভালো কাজ করে।
পালং শাক, পুই শাক, কচু শাক,ভুট্টা,বিটরুট, ডিম দুধ বাদাম চর্বিযুক্ত মাছ খেলে প্রাকৃতিকভাবে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এসব খাবার আপনি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
মৌরি : প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিছু মৌরি চিবিয়ে খেলে চোখের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এইজন্য নিয়মিত মৌরি খেতে পারেন, চোখ ভালো রাখতে।
লেখক এর মন্তব্য
আপনারা হয়তো চোখের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিভাবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বুঝতে পারছেন না। কোন অভ্যাসগুলো বাদ দিলে আপনার সমস্যা গুলো সমাধান হবে। চোখ দিয়ে কেন পানি পড়ে, চোখে ছানি পড়ার কারণ কি, ঘরোয়া ভাবে চোখের পানি পড়া কিভাবে রোধ করবেন। হয়তো ইতিমধ্যেই বিস্তারিত জেনে গিয়েছেন আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ার কারণে।চোখের সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে উপরের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল পাবেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য। আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আর্টিকেলটি মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য, আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। আমার আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url