অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম
প্রিয় পাঠক বিন্দু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে- এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। এই জন্য আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম এ সম্পর্কের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।
এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে কি বিষয় জানতে হবে বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম
- ভূমিকা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে-অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল নাকি হারাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
- লেখকের মন্তব্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম
ভূমিকাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে-অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল নাকি হারাম
বর্তমান টেকনোলজির যুগে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে থেকেই যে কেউ চাইলেই খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারে।আমাদের দেশ সহ পুরো বিশ্বের তরুণ সমাজের কাছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল ইনকাম করার সবথেকে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজেই করা যায় বলে বেশিরভাগ মানুষই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফলতা অর্জন করতে পারেন। তাছাড়াও অধিকাংশ মানুষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক আনন্দ- উদ্দীপনার সাথে পড়ে আসছে।
আপনারা যদি নিজেদেরকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটের হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করছি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম ,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার তা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে
সহজ ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায়, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা আপনার মাধ্যমে বিক্রি করা।আপনি কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির পণ্য বা সেবা আপনার মাধ্যমে বিক্রি করলেন সেই বিক্রয়কৃত অর্থ থেকে আপনি কিছুটা পরিমানে টাকা কমিশন হিসেবে ওই ব্যক্তি বা কোম্পানির নিকট হতে পাবেন।আপনি যদি কোন পণ্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রি করতে চান তাহলে ওই ব্যক্তি বা কোম্পানির নিকট হতে সেই পণ্যের একটি লিংক আপনাকে প্রদান করা হবে।আপনাকে সেই লিংকের পণ্যটির মার্কেটিং করে লিংক এর মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে হবে।
আপনি যদি কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির প্রদত্ত লিংকটি ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি যতগুলো পণ্য বিক্রি করবেন তার অনুপাতে একটি কমিশন বা কিছু পরিমাণে টাকা পাবেন।তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি যাদের পণ্য বিক্রি করবেন তাদের দেওয়া লিংক ব্যতীত অন্য কোথাও পণ্য বিক্রি করেন তাহলে শত শত পণ্য বিক্রি করলেও তার বিপরীতে আপনি কোন টাকা পাবেন না। কারণ আপনি সেই ব্যক্তি বা কোম্পানির দেওয়া লিংকটি ব্যবহার না করে পণ্য বিক্রি করেছেন। যা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার নীতির বাহিরে।সেই কারণে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এবং কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি যাদেরই পণ্য আপনি বিক্রি করেন তাদের নীতিমালার বাহিরে গিয়ে কাস্টমারদের সার্ভিস দেওয়া যাবে না।মনে করুন আপনি ফুটবল খেলতে অনেক পছন্দ করেন এবং একটি কোম্পানি রয়েছে যাদের খেলাধুলা বিষয়ক সকল পণ্য আপনার অনেক পছন্দের। আপনি নিজে সেই কোম্পানির পণ্যগুলো কিনে ব্যবহার করেন ।নিজের ব্যবহার করার পরে আপনার যদি মনে হয় এই কোম্পানির পণ্যগুলোর গুণগত মান অনেক ভালো এবং এই কোম্পানির পণ্যগুলো সবার কাছেই ভালো লাগতে পারে তাহলে আপনি সেই কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনাকে সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং সেই কোম্পানির প্রদত্ত পণ্যের লিংকটি ব্যবহার করে লিংক এর মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে হবে। এভাবে আপনি যতগুলো পণ্য বিক্রি করবেন তার বিপরীতে আপনি কমিশন বা অর্থ লাভ করবেন। আশা করছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি সেই সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ধারণা পেয়েছেন। আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে সেটা নিয়ে আর কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার এই সম্পর্কে নির্ধারিত ভাবে বলা খুব কঠিন। কারণ নানা ধরনের উপায় বা মাধ্যম অবলম্বন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। আপনি ঠিক কোন মাধ্যম বা পন্থা অবলম্বন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করবেন তার ওপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বেশ কিছু প্রকারভেদ সম্পর্কে।
ব্লগিংঃ আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন এবং আপনার একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই ব্লগিং ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারবেন।কারণ আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে আপনি অবশ্যই প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকেন। এবং আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা অনেক পরিমাণে রয়েছে। তাহলে আপনি আপনার সেই ওয়েবসাইটে যদি কোন পণ্য বা সেবার লিংক শেয়ার করেন তাহলে আপনার ভিজিটররা আগ্রহবশত সেই লিংকে প্রবেশ করে।
সেবা বা পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তারা সেই পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে। এভাবে আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে দেওয়া লিংকের ভিতরে ঢুকে যারা পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে তার বিপরীতে আপনি কমিশন বা টাকা পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করার খুব সহজ একটি মাধ্যম বা উপায় হলো ব্লগিং।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ বর্তমান যুগ হল টেকনোলজির যুগ। প্রতিনিয়ত টেকনোলজির উদ্ভাবনের ফলে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকি। কমবেশি আমাদের সকলেরই অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে যেমনঃ ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি।এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে থেকেই খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করা যায়।
আপনাদের যদি এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ফলোয়ার সংখ্যা মোটামুটি ভালো পরিমানে থাকে তাহলে আপনি এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো ব্যবহার করে কোন কোম্পানি বা কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত সেবা বা পণ্যের লিংক দিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আপনাকে যারা অনুসরণ করে তারা কৌতুহলবশত সেই লিংকে ঢুকবে এবং সেই ব্যক্তি বা কোম্পানির দেয়া পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে।
তারপর তাদের যদি সেই সেবা বা পণ্য দরকার হয় তাহলে তারা সেটা ক্রয় করবে। এভাবে যত মানুষ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে রাখা লিংকে ঢুকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে তার বিপরীতে আপনি কমিশন বা টাকা পাবেন।অতএব সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম।
ইমেইল মার্কেটিংঃ ইমেইল মার্কেটিং হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অনেক সহজ একটি মাধ্যম।ইমেইল মার্কেটিং পরিচালনা করে অনেক সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। বেশিরভাগ কাস্টমাররাই এই মাধ্যমটি পছন্দ করে থাকেন।কারণ অনেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা সময় দিতে পারেন না। সেই সকল কাস্টমারদেরকে এই সকল পণ্য বা সেবা কেনার বিষয়ে আগ্রহী করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সময়োপযোগী একটি মাধ্যম হলো ইমেইল মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম সবার মনে একই প্রশ্ন আজকে এই প্রশ্নের উত্তর দিবো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান কিন্তু এই মার্কেটিং আসলে কি হালাল হ্যাঁ এটি একটি হালাল ব্যবসা। আপনি যদি ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসা করেন তাহলে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি হালাল ব্যবসা। আর যদি ইসলামের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সেসব জিনিস নিয়ে আপনি ব্যবসা করেন তাহলে অবশ্যই সেটি হারাম বলে গণ্য করা হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোনটি হারাম কোনটি হালাল সে সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট খোলার সহজ উপায় জেনে নিন
শুরুতেই আপনাকে বলে নি আপনি যেসব সোশ্যাল মিডিয়াতে লিংক শেয়ার করেন সেগুলো পণ্য বা প্রোডাক্ট হতে পারে। যেমন ইলেকট্রিক কোন পণ্য বই খাতা জামা কাপড় ইত্যাদি এগুলো হলো হালাল ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। কিন্তু আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের মদ জুয়া সুদের মুনাফা ইত্যাদি লিংক বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে যে টাকা ইনকাম করেন এটি হলো হারাম।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে এগুলো ক্রয় করলে হারাম ব্যবসা বলে বিবেচিত করা হয়েছে।
এগুলো ইসলামে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সকলের মধ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন।এবং সে সকল পণ্য গ্রাহকদের মাঝে আকৃষ্ট করে অন্য ক্রয় করছেন এগুলো হারাম বলে পণ্য করা হয়। আপনি যদি সঠিকভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে পণ্য ক্রয় করেন তাহলে ইসলামে এগুলো ব্যবসাকে হালাল ব্যবসা বলা হয়। আপনি যদি দশ ও দেশের ক্ষতি করেন।এ ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করা যাবে না। কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি কোম্পানি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করতে বলেন।
তাহলেই আপনি ওই কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন এবং ওই কাজ হালাল বলে গণ করা হবে।আবার কোন কোম্পানি যদি আপনাকে দিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করায় আপনাকে সঠিক মুনাফা দিয়ে তাহলে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। তাহলেই ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বৈধ বা হালাল বলে গণ্য করা হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর এই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে এটি হালাল বলে গণনা করা হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম এ সম্পর্কে অনেকেরই জানতে চান।প্রথমেই আমাদেরকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এ সম্পর্কে জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট না করেই ভালো একটি ব্যবসা করা যায়। আপনি যে কোম্পানিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই কোম্পানি থেকে আপনাকে একটি লিংক দিবে সেই লিংক বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে। লিংক এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা প্রোডাক্ট যেগুলো ন্যায্য মুনাফায় বিক্রয় করতে পারলে কোম্পানি থেকে আপনাকে লাভের কিছু মুনাফা দিবে।
আরো ভালোভাবে বলতে গেলে আপনি অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে যে সকল পণ্যর লিংক শেয়ার করবেন গ্রাহকরা অনুপ্রাণিত হয়ে আপনার সেই পূর্ণ যদি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু অংশের মুনাফা পেয়ে যাবেন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে শুরুতেই আপনাকে জানতে হবে এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে কিভাবে আপনি গ্রাহকদের মধ্যে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে করা অনেকটাই কঠিন
এইজন্য অফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে।কারণ বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এইজন্য প্রথম পর্যায়ে এটি করা এতটাও সহজ হবে না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে মার্কেটারের অনেক বেশি এইজন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আগে আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পৃথিরবী সবচেয়ে বড় অনলাইন ইনকাম প্লাটফর্ম। যা অনলাইনে অনেক বড় জায়গা দখল করে রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করছে।এইজন্য অনলাইন প্লাটফর্মে এফলেট মার্কেটিং বেশি জনপ্রিয়একটি সাইট। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নতুনদের জন্য দিন দিন অনেক কষ্টসাধ্য হচ্ছে। কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে প্রথম পর্যায়ে কাজ করলে ধীরে ধীরে এই কাজগুলো অনেক সহজ মনে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহজ করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে তাহলে মার্কেটিং খুব সহজ মনে হবে।
প্রথমে আপনাকে এমন কিছু নিশ পছন্দ করতে হবে। যার চাহিদা বাজারে অনেক। এবং ভবিষ্যতে আরো চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এমন কিছু নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে। এবং আপনার কাছে কোন জিনিস নিয়ে কাজ করলে আপনি উন্নত করতে পারবেন। ভালোভাবে বলতে গেলে আপনি বিষয়ে বুঝেন বিষয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে। এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বই খাতা বিভিন্ন ধরনের পোশাক কসমেটিক্স স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, হেয়ার প্রোডাক্ট, ফিটনেস, ফ্যাশান এগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। কিন্তু একটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
এমন কিছু পণ্য নিয়ে কাজ করবেন না যে পূর্ণ সম্পর্কে আপনি তেমন কিছু জানেন না তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সুবিধা করতে পারবেন না। আবার আপনি চাইলে ব্লগিং তৈরি করেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। ওয়েবসাইটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য লিংক শেয়ার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করে ভালো মানের কনটেন্ট লিখে মার্কেটিং করতে পারেন। অবশ্যই কনটেন্ট গুলো আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড হতে হবে।সে কনটেন্ট রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের ছবি বা ভিডিও এড করতে হবে।
তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সহজ হবে। আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ভিত্তি করতে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল শেয়ার করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম সোশ্যাল শেয়ার হলো ফেসবুক অ্যাড, ইনস্টাগ্রাম এড এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক পাবেন। এতে করে আপনার পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে। ক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এসব পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম
প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম এসব মাধ্যমগুলো আপনারা জেনে গিয়েছেন। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে এ কি বিষয়ে জানতে হবে। আশা করছি আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।আশা করছি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে আপনারা খুব উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনার পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
আর্টিকেল পড়ে যদি কোন বিষয়ে আপনার জানতে ইচ্ছা করে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এমন অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আমরা নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। নিয়মিত অনলাইন ভিত্তিক,তথ্যভিত্তিক চিকিৎসাভিত্তিক আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালোভাবে বুঝতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url