এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানুন

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনার কি জানেন। কোন ব্যাংকিং কি কি এজেন্ট ব্যাংকিং রয়েছে। আপনার কি জানতে চান। তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে
এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা-সম্পর্কে-জানুন
কোন কোন ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যাংকিং কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।কোন কোন ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে। এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে 

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে আসলে এজেন্ট ব্যাংকিং কি কি সুবিধা দিয়ে থাকে।এজেন্ট ব্যাংকিং হলো ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী একটি মাধ্যমে। এই ব্যাংকিং সেবা গুলো স্থায়ী এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে খুব দ্রুত পৌঁছে যায়। এই ব্যাংকিং সুবিধার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা যেমন গ্রামীন, ব্রাক,বিভিন্ন ধরনের অঞ্চল প্রাত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকিং সেবাগুলো পৌঁছানো হয়। 

এজেন্ট ব্যাংকিং সহজ পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করা এবং ধীরে ধীরে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার সুবিধা। বাংলাদেশে অর্থনীতিতে সবচেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং প্রচেষ্টা হলো এজেন্ট ব্যাংকিং। সময় ও দূরত্বের ব্যবধান ঘুচিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ডিমান্ড রেবল সেক্টরগুলোর বিভিন্ন ধরনের অঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকার মানুষদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন পেশার মানুষ এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা খুব সহজে পাচ্ছে। 

যেমন দৃষ্টিহীন মানুষ পথশিশু, গরীব দুঃখী তৃতীয় লিঙ্গ সকল মানুষের কাছে এ সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা হিসাবে। তবে এজেন্ট ব্যাংকিং যেমন অসুবিধা হয়েছে তেমনি এর অসুবিধা হয়েছে। ধরুন নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের অভাবে প্রযুক্তিগত এজেন্ট ব্যাংকিং প্রদান করতে এই সেবা বিঘ্নতা ঘুটতে পারে।

এজেন্ট ব্যাংকিং কি

এজেন্ট ব্যাংকিং বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আপনারা জেনেছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা কি। বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক বঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই হলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। পুরো পৃথিবীতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বাংলাদেশের মতো। সহজ ভাবে বলতে গেলে বিশ্বের যেকোন জায়গায় বসবাসরত মানুষের কাছে যে সেবা প্রদান করা হয় তাকেই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বলে। 

বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এই এরিয়া গুলোতে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্রাঞ্চ বৃদ্ধি করতে বিকল্প হিসেবে এই অর্থনৈতিক বিভিন্ন পেশার সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর জন্য ব্যাংকগুলোর দূরত্ব কমাতে এই এজেন্ট ব্যাংকিং সে বাপ প্রদান করা হয়। মূলত এই ব্যাংকগুলো একজন উপর পদের কর্মকর্তা হাতে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। এরপরে তিনি একটি ভ্যালিট এজেন্সি এগ্রিমেন্টের আওতায় নিয়ে নিযুক্ত এজেন্সির মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে এই সেবাগুলো প্রদান করে। 

বাংলাদেশের মতো একটি ক্ষুদ্রতম দেশে এত এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা রয়েছে যা অন্যান্য দেশে পাওয়া যায় না বললেই চলে। এইজন্য দেশের প্রাইভেট ব্যাংকগুলো শহরে চালু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত দিয়েছেন গ্রাম অঞ্চলে দুটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ চালু করার আদেশ জারি করেছেন। এই কারণে বিভিন্ন জেলায় ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকের কোন দ্বিতীয় শাখা নেই। এইজন্য সেসব এলাকায় জনগণ ব্যাংকের পরিবর্তে সাধারণ এজেন্সিতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান

এবং নানা ধরনের নন ব্যাংকিং ও ফ্রিল্যান্সিয়ার মাধ্যমে জনগণ ব্যাংকে লেনদেন করে থাকে। এই এজেন্ট সার্ভিস ব্যাংকগুলো মূলত গ্রামের সাধারণ মার্কেট গুলো অর্থনৈতিক সার্ভিস দেওয়ার টার্গেট নিয়েছিল। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে রয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর বিশেষ অবদান।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর ইতিহাস

বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো এখানে সম্পূর্ণ সন্তুষ্টমূলক ব্যাংকিং সার্ভিস অপ্রতুলতা রয়েছে। সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর মধ্যে বাজিলকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর পাইওনিয়া বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও মালেশিয়া,কম্বুনিয়া, কেনিয়া, পাকিস্তান,ইন্ডিয়া,মেক্সিকো, আর্জেন্টিনার,ইকুয়েডর,ফিলিপাইনস,বলিভিয়া এদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে তাদের ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৩ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং এর প্রাথমিক একটি নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। 
এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা-সম্পর্কে-জানুন
বাংলাদেশে ব্যাংকিং নির্দেশিকা অনুযায়ী যোগ্য, দক্ষ, অথবা বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বা কো অপারেটিং সোসাইটিকে এজেন্ট ব্যাংকের পার্টনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে। কোন ব্যাংকিং সামগ্রিকভাবে আপনি কার্যক্রম শুরু করে ২০১৪ সাল থেকে। এশিয়া মহাদেশের সম্মানিত উপস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আরাফান আলী বাংলাদেশের এজেন্ট ব্যাংকিং এর উদ্বোধক হলো আরাফাত আলী।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধার সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানতে চান। কিন্তু ব্যাংকিং কি কি সুবিধা দিয়ে থাকে এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এজেন্ট ব্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণঅঞ্চলের মানুষের কাছে খুব সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর বড় সুবিধা হলো গ্রামীন পরিবেশের এটা বঞ্চিত মানুষদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। সহজ ভাবে বলতে গেলে গ্রামীণ ও শহরে বাহিরে থাকা মানুষদের ব্যাংকের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় এইজন্য এজেন্ট ব্যাংকিং বিশেষ গুরুত্ব পালন করে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে আপনার গ্রামের এজেন্ট ব্যাংকের সেবা নিতে পারেন। এতে ব্যাংকের শাখার খরচ কম হয়। এবং ব্যাংকের গ্রাহকদের কাজ সহজলভ্য হয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং থাকার জন্য আপনার দূরদূরান্ত কোন ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না আপনার কাছের কোন এজেন্ট ব্যাংকে গিয়ে খুব সহজেই কম সময়ে সেবা নিতে পারবেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। যেমন মোবাইলে টাকা পাঠানো বিল প্লে করা বিভিন্ন ধরনের কাজ আপনি খুব সহজে পরিচালনা করতে পারবেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো একটি সুবিধা হল একজন গ্রাহক খুব সহজেই এজেন্ট ব্যাংকে টাকা জমা উত্তোলন করতে পারবেন। এতে কোন ব্যাংকিং ট্রানজেকশন জন্য আপনাকে ব্যাংকে শাখায় গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরো একটি সুবিধা হল গ্রাহকরা খুব সহজেই এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং কৃষকদের জন্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মৌসুমী ঋণের ব্যবস্থা করেন। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষকরা খুব সহজেই এই সেবা পেয়ে থাকেন।
  • শুধু তাই নয় এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকরা চেক জমা দিয়ে চেক সম্পূর্ণ পরিশোধ করার কাজ গ্রাহকরা করে নিতে পারবেন।
  • আপনারা চাইলে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারেন। খুব সহজে একটি ব্যাংক পরিচালনা করতে পারবেন। ভবিষ্যৎ ভালো করার জন্য।
  • বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন পেমেন্ট করতে পারবেন। অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে।
  • আপনারা চাইলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোতে পারেন এজেন্ট ব্যাংকে। একমাত্র বিদেশ থেকে টাকা বা রেমিডেন্স এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়।
  • এছাড়াও আপনি চাইলে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লেনদেন করতে পারবেন। রেমিটেন্সের আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার ইত্যাদি এর মাধ্যমে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই ডিজিটাল পেমেন্ট খুব সহজে লেনদেন করতে পারে।
  • গ্রাহকদের জন্য ব্যাংক থেকে লোন পদ্ধতি আরো সহজ করা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। এতে করে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট বা আইটি রিটান আপডেট করে খুব সহজে লোনের আবেদন করতে পারে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন যে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করা কি নিরাপদ হবে। হুম অবশ্যই কারণ এজেন্ট ব্যাংকিং এর সিস্টেম বায়োমেট্রিক্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয় এজন্য এজেন্ট ব্যাংকের লেনদেন করা একদম নিরাপদ।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধা কি

আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে এজেন্ট ব্যাংকিং এর বিভিন্ন ধরনের সুবিধা। এজেন্ট ব্যাংকিং এর যেমন সুবিধায় রয়েছে। তেমনি অসুবিধা ও রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অসুবিধা গুলো কি কি।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং মূলত সাধারণ গ্রাহকরা গ্রাম্য পল্লী অঞ্চলের এসব সেবা প্রদান করা হয়। যেখানে যোগাযোগের তেমন কোনো সুবিধা নেই। অন্যদিকে গ্রাহকদের থেকে বড় অংকের টাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এইজন্য এজেন্ট ব্যাংকের সে গ্রামীন পরিবেশে তেমন একটা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোপুরি ডিজিটাল ডিভাইস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আসল কথা বলতে ইন্টারনেটে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এইজন্য ইন্টারনেট সংযোগ যদি বিছিন্ন হয়ে পড়ে। তাহলে এই এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা থেকে অনেক সুবিধা বঞ্চিত মানুষ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
  • অনেক সময় দেখা যায় এজেন্ট ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে এজেন্টরা সঠিকভাবে সেবা প্রদান করতে পারে না। কারণ তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
  • কখনো কখনো এজেন্টরা গ্রাহকদের সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে কারণ গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা এইজন্য। বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভুল লেনদেন করতে পারে। যা এজেন্টা দেখেও তাদের ভুল না ধরিয়ে তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাদের টাকার কিছু অংক আত্মসাৎ করে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সাধারণত তাদের সীমিত পরিসরের মধ্যে সেবা প্রদান করে থাকে। এইজন্য ব্যাংকের অন্যান্য বড় শাখাদের মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে না।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর লেনদেনের ক্ষেত্রে তারা সঠিকভাবে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখেনা। এইজন্য অনেক সময় লেনদেন করার ক্ষেত্রে ভুল তথ্য আসতে পারে।
  • তবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার লেনদেন খুব কম একজন গ্রাহক ৫ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবেন না। কারণ এজেন্ট ব্যাংকের সীমিত পরিসর ৫ লক্ষ টাকা।
  • তবে এজেন্ট ব্যাংকের সীমিত পরিসর একটু বাড়িয়ে ছয় লাখের বেশি করেছে। সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনি কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি এখন ৬ লাখ টাকার বেশি এজেন্ট ব্যাংক থেকে লেনদেন করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা হয়তো এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে জেনেছেন। আবার অসুবিধা সম্পর্কেও জেনেছেন এজেন্ট ব্যাংকিং লেনদেন করতে হলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে। তাহলে আপনি আর সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা ও সমূহ

আপনারা হয়তো এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনেছেন। তাহলে এবার এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব চলুন তাহলে মূল আলোচনায় ফেরা যাক।
  • প্রথমেই আপনাকে একটি এজেন্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
  • এরপরে কিছু অংকের টাকা জমা দিতে হবে এবং উত্তোলন করতে হবে।
  • ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে।
  • ব্যাংকের যেকোনো একাউন্টের তহবিল স্থানান্তর।
  • বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রদান করা।
  • ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা।
  • একাউন্ট ব্যালেন্স এ জানা।
  • ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে জানা।
  • বিয়ারিং চেক পেমেন্ট করা।
  • বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহ।
  • চেক বই প্রদান এবং সরকারের বিভিন্ন ধরনের ভাতা বিতরণ করা।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর একাউন্ট খোলার নিয়ম

এজেন্ট ব্যাংকিং এর অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। কিভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এজেন্ট ব্যাংকিং খোলা খুব সহজলভ্য তবে কিছু নিয়ম বা শর্ত অনুসরণ করতে হবে তাহলে চলুন সেই নিয়ম ধাপে ধাপে জেনে নিন।
এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-একাউন্ট-খোলার-নিয়ম
  • এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে প্রথমে আপনাকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে। এবং পাসপোর্ট তো পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি লাগবে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা গুলো সাধারণত ব্যাংকের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা গুলো প্রধান করা হয়। এইজন্য আপনার কাছের এলাকার এজেন্ট ব্যাংক এ গিয়ে এই বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা এজেন্ট ব্যাংকিং ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে ভিজিট করতে পারেন। খুব সহজেই আপনি এজেন্ট পয়েন্ট পেয়ে যাবেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এজেন্ট ব্যাংকে গিয়ে একটি আবেদন ফরম জোগাড় করে যথাযথা নিয়মে ফর্মটি পূরণ করে।এজেন্ট ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
  • অবশ্যই আপনি যে ফর্রম পূরণ করে জমা দিবেন ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখবেন যাতে আপনার ফর্রমের মধ্যে কোন কিছু ভুল না হয়।
  • আপনার ফর্মের তথ্যগুলো সঠিক থাকলে তখন আপনার একাউন্টের খোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপরে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া হবে।আপনি যদি মোবাইল নাম্বার দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মোবাইলে একটি পিন কোড যাবে। এই পিন কোড দিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে যে গুলোতে এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে নামের জন্য ছোট অংকের টাকা নিয়ে থাকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা জমা দিলে আপনার একাউন্ট একটিভ হয়ে যাবে।
  • ব্যাস আপনার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার আপনি চাইলে খুব সহজে এই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা জমা টাকা তোলা বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করা খুব সহজে করতে পারবেন।
আপনারা ইতিমধ্যেই এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলা শিখে গিয়েছেন। কিভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে হয় এই ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে কি কি তথ্য দিতে হয় আশা করছি আপনারা জেনেগিছেন। আশা করছি আপনার ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কোন কোন ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং আছে

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা জানার পরে এবার হয়তো জানতে চান কোন কোন ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং আছে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি
  • ব্যাংক এশিয়া পিএলসি
  • ডান্স বাংলা ব্যাংক পিএলসি
  • এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংক পিএলসি
  • দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসি

এজেন্ট ব্যাংকিং এর আয় কত

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে তো জেনেছেন কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকের আয় কত এ সম্পর্কে জানতে চান। এজেন্ট ব্যাংকের আয়ের মূল উৎস হলো কমিশন।বিভিন্ন ধরনের লেনদেনীর মাধ্যমে যে টাকা এজেন্টরা পেয়ে থাকে। এই কমিশন ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত করা হয়। সাধারণত এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন হয়ে থাকে যেমন টাকা জমা করা বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল পানির বিল টাকা উত্তোলন করা 

মোবাইল রিচার্জ মানি ট্রান্সফার করা মাধ্যমে কিছু পরিমাণ টাকা এজেন্ট ব্যাংকের মিশন হিসেবে থাকে।ব্যাংকের মধ্যেই সীমা তথ্য থাকে। বুঝতেই পারছেন এজেন্টের এই টাকা পুরোপুর নির্ভরশীল। মোটা অংকের লেনদেন করলে তাদের আয় বৃদ্ধি পাবে। এজেন্টরা সাপ্তাহিকভাবে বা মাসিক ভাবে ইনকাম করে থাকে। মাঝে মাঝে এজেন্টরা কিছু প্রমোশন কাজ করে থাকে যেমন অ্যাকাউন্ট খোলা। বিভিন্ন উপায়ে এজেন্টরা আয় করতে পারেন। 

তবে এজেন্টের গ্রাহকদের ওপর বলাকা ভিত্তিক হয়ে থাকে তবে সহজভাবে বলা যায় এজেন্ট ব্যাংকিং করে আয় করা যায় আশা করছি এজেন্ট ব্যাংকিং তাই সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

যারা এজেন্ট হতে পারবেন আর যারা এজেন্ট হতে পারবেন না

সাধারণত বীমা কোম্পানির মালিক প্রতিনিধি ফার্মেসির মালিক কোন পেট্রোল পাম্পের মালিক, আইটির মালিক, অর্থনৈতিক বিদ,কোন ইউনিয়ন পরিষদের সহকর্মী ইত্যাদি এ ধরনের মানুষ এজেন্ট ব্যাংকিং হতে পারবেন। অপরদিকে কোন ফৌজদারি মামলা অধিভুক্ত কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তি, ঋণ অথবা কোন আদালত দ্বন্দ্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি এজেন্ট ব্যাংকিং কাজ করতে পারবেন না।

লেখক এর মন্তব্য এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা-অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। কিভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এজেন্ট ব্যাংকিং কিভাবে আয় করে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর ইতিহাস সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জেনেছেন। এজেন্ট ব্যাংকিং কি কি সেবা প্রদান করে। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপ্রকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। 

আপনি চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। আরো এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটে তথ্যমূল আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url