আখের রসের ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আখের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই জানার ইচ্ছা রয়েছে। কোন সময় আখের রস খাওয়া উচিত, আখের রস খেলে শরীরের কি উপকার হয়, আখের রস খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে।
অপকারিতা এড়াতে চাইলে কোন সময় আখের রস খাওয়া উচিত এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্র: আখের রস খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আখের রস কখন খাওয়া উচিত
আখের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। এবং কোন সময়ে আখের রস খেলে সঠিক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এই বিষয়েও অনেকে জানেন না আখের রস খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, সেই সময় অনুসরণ করে আখের রস খেলে শরীরের জন্য খুব উপকার হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন সময় আখের রস খাওয়া উচিত।
বিকাল বেলার নাস্তা: আখের রস খাওয়ার সঠিক সময় হল বিকাল বেলার নাস্তার সময়। আখের রস পান করলে খুব উপকার পাওয়া যায়। সারাদিন আপনারা কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস আখের রস যথেষ্ট। এই জন্য বিকেল বেলা আখের রস খাওয়ার সঠিক সময় বলে বিবেচিত হয়েছে।
সকালে খালি পেটে : সকালে খালি পেটে আখের রস পান করলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। কারণ আখের রস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। নিয়মিত খালি পেটে আখের রস পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি করে পানি শূন্যতা দূর করে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে পেট পরিষ্কার রাখে, গ্যাসের কোন রকম সমস্যা হয় না এই জন্য খালি পেটে আখের রস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
আরো পড়ুন: শরীরেরে কোন ভিটামিনের অভাবে কি হয়
শরীরচর্চার পরে: শরীর চর্চা করার পরে আখের রস পান করলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই সময় শরীর থেকে দূষিত টক্সিন বেরিয়ে যায়। পানির ঘাটতি দেখা দেয় আখের রস পান করলে সে পানির ঘাটতি পূরণ করে, শরীরে এনার্জি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। এই জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করার পর এক গ্লাস আখের রস খেতে পারেন, এতে শরীরে শক্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
দুপুরে খাওয়ার পরে: আপনারা চায়লে দুপুরের কাজ শেষ করে এক গ্লাস আখের খেতে পারেন। আখের রস খাওয়ার উত্তম সময় হলো দুপুরবেলা। এ সময় খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আপনারা চাইলে দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে অথবা পরে খেতে পারেন। খাবার খাওয়ার পরে খেলে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভালো থাকে। খুব সহজেই হজম হয়, এই জন্য খাবার খাওয়ার পরে খেতে পারেন।
আপনারা এ সময় গুলো অনুসরণ করে আখের রস খেলে খুব উপকার পাবেন। শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবেন। এই জন্য এই নিয়ম অনুসরণ করে আখের রস খেতে পারেন। এ সময় অনুযায়ী আখের রস খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকার।
আখের রস খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা
আখের রস খাওয়ার উপকারিতা আছে এ বিষয়ে হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু নির্দিষ্ট কি কি উপকার হয় এই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। আখের রস একটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর পানীয় খাদ্য যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার আসে তাহলে চলুন জেনে নিন সে উপকার সম্পর্কে।
- শরীরের প্রাথমিক শক্তি হলো চিনি ও গ্লুকোজ, আখের রসের উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক সুগার থাকে। যা নিয়মিত খেলে খুব দ্রুত আপনার শক্তি সরবরাহ করে। আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করে শরীরে এনার্জি ও শরীরকে তরতাজা করে তুলে।
- আখের রস লিভারের জন্য খুব উপকারী। কারণ আখের রস লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। সেই সাথে আপনার শরীরে বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত আখের রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আখের রস বেশ কার্যকারী উপাদান। তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় আখের রসের ফাইবারের মাত্রা অনেকাংশে কম থাকে।
- আখের রসের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের উপাদান রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এই উপাদানগুলো থাকার ফলে আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনের চাহিদা খুব সহজেই পূরণ করতে পারে।
- ত্বক ভালো রাখতে আখের রসের বেশ কার্যকারী উপাদান নিয়মিত আখের রস পান করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে ব্রণ দূর করে। ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত আখের রস খেতে পারেন।
- আখের রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান যা শরীরের কোষকে ভালো রাখে এবং ক্ষতিকর কোষগুলো মেরে ফেলে নিয়মিত আখের রস খেলে ক্ষতিকর কোষ থেকে সুরক্ষা দেয়।
- নিয়মিত আখ চিবিয়ে খেলে দাঁতকে ভালো রাখে কারণ আখে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা দাঁতকে মজবুত ও শক্ত রাখে।
- যে ব্যক্তি জন্ডিস রোগে ভুগেন ডাক্তাররা আখের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন নিয়মিত আখের রস খেলে জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি মিলে।
- নিয়মিত আখের রস খাওয়ার ফলে আখের রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান যা শরীরের সংক্রমণের আক্রান্তের ঝুঁকি কমায়।
- আখের রস খাওয়ার ফলে হাইড্রেট রাখে ত্বক ও চুলকে।
- প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস আখের রস পান করলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কারণ আখের রসে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই জন্য নিয়মিত আখের রস পান করা উচিত।
- যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি নিয়মিত আখের রস খেতে পারেন। নিয়মিত আখের রস খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রার নিয়ন্ত্রণ করে। এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- প্রচন্ড গরমে এক গ্লাস আখের রস খেতে পারে এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে পেট ও ঠান্ডা থাকবে শরীরের গরম অনেকটাই কমে যাবে।
- অনেকের মূত্রনালীতে সমস্যা রয়েছে নিয়মিত আখের রস খেলে মূত্রনালী বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান হবে। মূত্রনালী সংক্রমণে ঝুঁকি কমাবে।
- যারা ওজন কমাতে চান আখের রস ওজন কমাতে বেশ কার্যকারী উপাদান নিয়মিত আখের রস খেলে খুব সহজে ওজন কমানো সম্ভব।
- আখের রস নিয়মিত খেলে পেটের যেকোনো ধরনের ইনফেকশন খুব সহজে নিরাময় করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- নিয়মিত আখের রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কারণ আখেরও সে রয়েছে জিআই এর পরিমাণ খুব কম। এইজন্য নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস রোগীরা আখের রস পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
- নিয়মিত আখের রস খেলে শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে
- আখের রস খাওয়ার ফলে শরীরে ফ্লাভোনয়েড উপাদান বাড়িয়ে দেয়। এতে আপনার শরীরের ক্যান্সারের কোষগুলো ধ্বংস হয় ক্যান্সার নিরাময় করতেও আখের রস বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আখের রস খাওয়ার অপকারিতা
প্রত্যেকটা জিনিসেরই উপকারিতা রয়েছে তেমনি উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। আখের রস খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার করে। বেশি উপকার পাওয়ার জন্য বেশি পরিমাণ আখের রস খেলে শরীরের সাইড ইফেক্ট হতে পারে। অতিরিক্ত আখের রস খেলে কি কি সাইড ইফেক্ট হতে পারে চলুন জেনে নি।
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়: আখের রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও গ্লুকোজের পরিমাণ। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আখের রস এড়িয়ে চলাই ভালো প্রয়োজনের অধিক আখের রস খেলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধির পাবে।
- উচ্চমাত্রার ক্যালোরি: আখের রসের প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। প্রতিদিন এক গ্লাসের বেশি পরিমাণ আখের রস পান করলে অতিরিক্ত ক্যালরির জন্য শরীরে মেদ জমতে পারে। এতে ধীরে ধীরে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
- হজমের সমস্যা: আখের রস প্রয়োজনের অধিক পরিমাণ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ আখের রসের ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকে।
- দাঁতের ক্ষতি হয়: অতিরিক্ত চিবিয়ে খেলে দাঁতের গোড়া বা মাড়ি চামড়া উঠে যায় এতে দাঁতের ক্ষতি হয়।
- রক্ত পাতলা করে: প্রয়োজনের অধিক পরিমাণ আখের রস খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায় কারণ আখের রসের রয়েছে পোলিকোসানোল উপাদান। আর আপনি যদি রক্ত পাতলা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ খান তবে অবশ্যই আখের রস খাওয়া পরিহার করতে হবে।
- নিদ্রোহীনতা সৃষ্টি করে: অধিক পরিমাণ আখের রস খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা হয় শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় এইজন্য বেশি পরিমাণ আখের রস খেলে নিদ্রোহীনতার সৃষ্টি হয়।
- কিডনির সমস্যা: আখের রসের প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও পটাশিয়াম থাকার কারণে প্রয়োজনের অধিক পরিমাণ খেলে তা কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। এইজন্য কিডনি ভালো রাখতে হলে প্রয়োজনের অধিক আখের রস খাওয়া উচিত নয়।
- সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়: অনেক সময় আমরা পথের পাশেই আখের রস খেয়ে থাকি। এতে নানা ধরনের রোগ জীবাণু ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যা খেলে শরীরের সাথে মিশে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য পথের পাশে অস্বাস্থ্যকর আখের রস খাওয়া পরিহার করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই আখের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন কিন্তু গর্ভাবস্থায় আখের রস খেলে কি হয় জানেন কি। হয়তোবা অনেকে জানেন আবার অনেকে জানেন না গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়ার স্বাস্থ্য করি কিছু উপকার রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপকার গুলো কি কি।
- পুষ্টি উপাদান: আখের রসে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উপাদান যা একজন হবু মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকার। নিয়মিত আখের রস খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা গুলো পূরণ করে।
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে আখের রস বিশেষ ভূমিকা পালন করে।গর্ভাবস্থায় একজন হবু মায়ের প্রচুর পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন পুষ্টির প্রয়োজন যা নিয়মিত আখের রস পান করার ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়,এনার্জি বৃদ্ধি পায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয় খাবার খেলে খাবারে হজম হতে সময় লাগে এজন্য প্রত্যেকদিন সকালে এক গ্লাস আখের রস খেলে পেট পরিষ্কার থাকবে।
- পানি শূন্যতা দেখা দেয় গর্ভাবস্থায় একজন হবু মায়ের পানি শূন্যতা দূর করতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে আখের রস খাওয়া উচিত।
- আখের রসের পুষ্টিগুণ
আখের রসের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনাগুন একগ্লাস আখের রস খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। প্রচুর পরিমাণে এনার্জি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কারণ আখের রস এ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের উপাদান। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এক লিটার আখের রসের কি কি উপাদান রয়েছে।
আখের রসের চিনির পরিমাণ কত
আখের রসের চিনির পরিমাণ কত এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। আখের রস অত্যন্ত সুমিষ্ট ফলে আখের রসে অনেক বেশি পরিমাণ চিনি রয়েছে। আখের রসের চিনির পরিমাণ শতকরায় হিসাব করলে প্রায় ১৫ থেকে ২০% হতে পারে। আখের রসের চিনি নির্ভর করে আখের জাত ও পরিপক্কতার উপরে নির্ভর করে। আখের রসের প্রচুর পরিমাণ চিনি ও গ্লুকোজের থাকে।আখের রসের আরও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উপাদান রয়েছে যা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
আখের রস খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
কমবেশি আমরা সকলেই জানি আখের রস অত্যন্ত সুমিষ্ট হয়। আখের রস মিষ্টি হওয়ার কারণে তার মধ্যে অনেক পরিমাণে চিনি থাকে। আর চিনি ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য প্রধান ভূমিকা রাখে। সে কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে আখের রস খেলে ডায়াবেটিস হতে পারে। এমনকি যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা যদি আখের রস খায় তাহলে ডায়াবেটিসের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়াও আখের রসে অধিক পরিমাণে শর্করা ও গ্লুকোজ থাকে। যা একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আখের রস খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তা শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ ।যাদের শরীরে অল্প পরিমানে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে তারা যদি আখের রস খায় তাহলে তাদের শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য আখের রস এড়িয়ে চলাই উত্তম ।
খালি পেটে আখের রস খেলে কি হয়
সকাল বেলা খালি পেটে আখের রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস আখের রস খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হয়। সারাদিন কাজ করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ এনার্জি পাওয়া যায়। প্রতিদিন নিয়ম করে খালি পেটে আখের রস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, হজমের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়ম করে কয়েক দিন খালি পেটে আখের রস খায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।আখের রস আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী। খালি পেটে আখের রস খেলে পেটের নানারকম রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
কমবেশি আমাদের সকলেরই গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। ভাজাপোড়া খেলেই বুক জ্বালাপোড়া শুরু করে। যাদের এমন সমস্যা হয় তারা প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে আখের রস খেলে গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে এবং বুক জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে । আবার অনেকের শরীরে শর্করা ও গ্লুকোজের মাত্রা অনেক কম থাকে। তাই শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চাইলে রোজ খালিপেটে আখের রস খাওয়ার কোন বিকল্প নেই ।অনেকেরই মূত্রনালী নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে।
যাদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে তারা খালি পেটে প্রতিদিন এক গ্লাস করে আখের রস পান করলে মূত্রনালীর নানারকম রোগ প্রতিরোধ করা যাবে। এছাড়াও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হবে। অনেক মানুষের শরীরেই পানি শূন্যতার মত সমস্যা দেখা দেয়। খালি পেটে আখের রস খেলে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয়। অতএব সবদিক বিবেচনা করে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, খালি পেটে আখের রস খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়।
আখের রস খেলে কি ওজন বাড়ে
আখের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। আখের রস খাওয়ার সঠিক সময় কখন। কখন আখের রস খেলে শরীরের ওজন কমে।অনেকে ভাবেন আখের রসের পরিমাণ শর্করা ও গ্লুকোজ থাকে। এইজন্য আখের রস খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু না আখের রস খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না। বরং ওজন কমে নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেকদিন এক গ্লাস আখের রস খেলে খুব সহজেই ওজন কমে।
কিন্তু অতিরিক্ত আখের রস খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। কারণ আখের রসে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে। বেশি পরিমাণ আখের রস খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এতে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়, এজন্য আখের রস পরিমাপ মতো খাওয়া উচিত।
লেখক এর মন্তব্য
আখের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে। কোন সময়ে আখের রস খাওয়া উচিত। খালি পেটে আখের রস খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়। আখের রস কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস আখের রস খেলে শরীরে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পায়,শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে,পানি শূন্যতা দূর করে।ইতি মধ্যেই আপনারা জেনে গিয়েছেন আখের রস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আশা করি।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর কি বিষয়ে আর্টিকেল চান কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url