তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম -কাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

তুলসী পাতা খাওয়ার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা তুলসী পাতা কাশি নিরাময় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সামনে শীত আসছে অনেকেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হবে। আপনার নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন।তুলসী পাতা খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। 
তুলসী-পাতা-খাওয়ার-নিয়ম-কাশি-হলে-তুলসী-পাতা-খাওয়ার-উপকারিতা
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে খেলে শরীরের জন্য খুব কার্যকরী। তুলসী পাতাখাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে ও খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃকাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

ভূমিকা তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। এইজন্য তুলসী পাতার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা বিশেষ কিছু জানিনা। তুলসী পাতা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। তুলসী একটি সুগন্ধি উদ্ভিদ। এবং তুলসী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Ocimum Sanctum এর অর্থ হলো যার কোন তুলনা নেই। সত্যিই তুলসী পাতার গুনাগুন এর কোন তুলনা হয় না।
মূলত এই কাজটি লামিয়াসি পরিবার থেকে অন্তর্গত।এই উদ্ভিদটি এত মহামূল্যবান ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগণ তাদের বাড়ির আঙিনায় বাপনের টপে প্রত্যেকটা বাড়িতে তুলসী গাছ পাওয়া যাবে। তারা ভাবে তুলসী গাছ একটি পবিত্র গাছ। সনাতন ধর্মের লোকরা ভাবে তুলসীর কাজ বাড়িতে বা বাড়ির উঠানে থাকলে কোন ধরনের রোগ ব্যাধি বাড়িতে আসবে না কোন ধরনের অমঙ্গল কাজ হবে না।

এরা সকাল বিকালে তুলসী গাছকে পূজা করে। আবার অনেকে তুলসী গাছে ছোট ছোট কান্ডগুলো মালা বানিয়ে গলায় পরিধান করে।এতে করে তাদের কোন ধরনের রোগ ব্যাধি ও অমঙ্গল হয় না। এটাই তারা বিশ্বাস করে থাকেন।

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতা একটি অসাধারণ গাছ যা নিয়মিত খেলে সর্দি কাশি ফুসফুস গলা ব্যথা সকল সমস্যা প্রদাহ করে বা উপশম করে।এইজন্য তুলসী গাছের জুরি মেলা ভার।আদিম কাল থেকেই সবাই জানে তুলসী একটি মহাঔষধি গাছ। এই গাছের সকল কিছুই ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন তুলসী গাছের পাতা ডাল শিকড় ফুল ফল এগুলোতে ঔষধি গুনাগন সম্পূর্ণ হয়েছে। 
সর্দি কাশি গলা ব্যথা নিয়মিত নিয়ম মেনে তুলসী পাতার রস হালকা গরম করে খেলে ঠান্ডা লাগা আশেপাশেও আসতে পারবে না। সম্মানিত পাঠক বিন্দু তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
প্রথম ধাপঃ প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপরে এগুলো রস করে হালকা গরম করে।এর সাথে সামান্য আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে সর্দি কাশির মতো রোগ আপনার আশেপাশেও বুঝতে পারবে না।

দ্বিতীয় ধাপঃ আপনারা চাইলে কয়েকটি তুলসী পাতা আদা কুচি কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই পানি সকালে নিয়মিত খেলে সর্দি কাশি নিরাময় হয়।

তৃতীয় ধাপঃ আবার তুলসী পাতা গাছে থেকে ছিড়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন এতেও করে হালকা কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করে।

চতুর্থ ধাপঃ অনেক সময় শিশুদের সর্দি কাশি হলে ভালো হয় না এইজন্য শিশুদের সর্দি কাশি জ্বর গলা ব্যাথা হলে আপনারা তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারলে সর্দি- কাশি একেবারে নিরাময় হবে।

পঞ্চম ধাপঃ অনেকে আবার তুলসী পাতা অনেক ঝামেলা মনে করেন। তাদের জন্য তুলসী পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে শুকাতে পারেন। সেই পাতাগুলো শুকিয়ে গেলে গুড়ো করে সংরক্ষণ করুন। আপনি যদি প্রতিদিন চা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চা তৈরি করার সময় কিছু তুলসী পাতার গুড়ো দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার সর্দি কাশি জ্বর হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।

ষষ্ঠ ধাপঃ আপনারা চাইলে তুলসী পাতার বিজি রোদে শুকিয়ে গুড়া করে সংরক্ষণ করতে পারেন। তুলসী পাতার বীজ গুঁড়ো সর্দি কাশি নিরাময় করতে খুব কার্যকর। যাদের দীর্ঘদিন ধরে সর্দি কাশি ভালো হচ্ছে না অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও তারা তুলসী পাতা 

বীজের গুড়ো নিয়ে দারচিনি গুঁড়ো, আদার রস,লবঙ্গ গুঁড়ো দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পানি ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাথে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার কাশি নিরাময় হবে।

তুলসী পাতা উপকারিতা

তুলসী পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার পুষ্টিগুণ অনেক। তুলসী পাতা কে অনেকে আবার মহাঔষধি বলে থাকে।তুলসী পাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার সমাধান করে থাকে। এইজন্য তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। তুলসী পাতা এমন একটি ভেষজ ওষুধ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। তুলসী পাতা খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
তুলসী পাতা সেবন করলে শরীরে বিষাক্ত টক্সিন এর মতো দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। যাদের শরীর বাতের ব্যথা রয়েছে তারা নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করতে পারেন তাহলে বাতের ব্যথা নিরাময় হবে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তুলসী পাতা বেশ কার্যকারী উপাদান।কারণ ডায়াবেটিস কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি হয়।
তুলসী-পাতা-খাওয়ার-নিয়ম-কাশি-হলে-তুলসী-পাতা-খাওয়ার-উপকারিতা
নিয়মিত তুলসী পাতা সেবন করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আসে। তুলসী পাতা নিয়মিত ডায়াবেটিস রোগীরা সেবন করলে রক্তচাপ কমে আসে।এইজন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করতে হবে।তুলসী পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ওষুধ গুনাগুন। এজন্য গ্যাস্ট্রিক বা এ্যাসিডিটি সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করতে হবে। 

তাহলে পেটের যাবতীয় সমস্যা সমাধান হবে। আপনারা কি জানেন তুলসী বীজে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির সমাহার রয়েছে।এইজন্য তুলসী পাতার বীজ শরীরের জন্য খুব উপকারী। শরীরে ১০ শতাংশ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় তুলসী বীজ থেকে। নিয়মিত এক চামচ তুলসী বীজ সেবন করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। 

শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বাতের ব্যথা হাড়ে ব্যথা দূর করতে তুলসী বীজ খুব সাহায্য করে। আরো রয়েছে তুলসী বীজে ফাইবারের উৎস। আপনারা তো অনেকেই জানেন ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও তুলসী বীজ নিয়মিত সেবন করার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা নিয়মিত সকালে এক ক্লাস করে তুলসী বীজের রস সেবন করলে, খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

তুলসী পাতার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। অ্যাজমা ব্যাকটেরিয়া ফুসফুস থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন তুলসী পাতা খাওয়া উচিত। তুলসী পাতা শরীরে ইনসুলিন মাত্রা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তুলসী পাতা নিয়মিত সেবন করলে রক্তের সুগার লেভেল কমিয়ে দেয়। তুলসী পাতা এন্টিবায়োটিকের ওষুধের মতো কাজ করে। তুলসী পাতা এতো ঔষধ গুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। 

নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় টিউমার হওয়ার কোর্ষ গুলোকে ধ্বংস করে। আবার ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। তুলসী পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেমন রেডিও প্রটেকটিভ,রোসমারিনিক এসিড মাইরেটিনাল,লিউটিউলিন সব উপাদান তুলসী পাতায় উপস্থিত থাকে। শরীরে স্বাভাবিক মাংস বৃদ্ধি পেলে নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে তা খুব সহজে নিরাময় হয়।

অনেকের আবার বেস্ট ক্যান্সার বেস্ট টিউমার হলে নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করার ফলে এই কোষ গুলোকে ধ্বংস করে।এছাড়াও গলা ব্যথা সর্দি কাশি গলায় কফ জমা এগুলো নিরাময় করতে তুলসী পাতার রস তাৎক্ষণিকভাবে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এইজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন বাড়ির আঙিনায় বা ফুলের টপে একটি তুলসী গাছ লাগাতে এতে আপনাদের শরীর ভালো থাকবে।

কারণ তুলসী গাছের হাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপযোগী। এতে শরীরও মন ভালো থাকে এগুলো সনাতন ধর্মীয় মানুষরা বিশ্বাস করে। কিন্তু গর্ব অবস্থায় নারীদের তুলসী পাতা সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে নারীদের গর্ভপাত হতে পারে। অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। গর্ভঅবস্থায় বা স্তন্যপান করানোর সময় তুলসী পাতা খাওয়া উচিত নয়।

এসময় তুলসী পাতা সেবন না করা ভালো কারণ নারীদের অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে শরীর রক্ত জমাট বাড়তে পারে। কারণ অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। অথবা যদি কোন বড় ধরনের সার্জারি হয় তাহলে অবশ্যই সার্জারি হওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকে তুলসী পাতার রস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। 
মধু-ও-তুলসী-পাতার-উপকারিতা
তুলসী পাতায় রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণ পটাশিয়াম যার ফলে লো প্রেসার রোগীদের অথবা নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য যাদের লো প্রেসার রয়েছে তারা তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কিন্তু পরিমাপ মতো তুলসী পাতা খেলে শরীরে অনেক উপকার হয়।

মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা

মধু এবং তুলসির পাতা সকালে খালি পেটে সেবন করলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কারণ তুলসীতে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এলার্জিজনিত সমস্যা থাকলে মধু এবং তুলসী খেলে খুব সহজে নিরাময় হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও তুলসী পাতা খেতে পারলে কিডনিতে পাথর হলে তা ধীরে ধীরে গলতে থাকে।একসাথে মধু ও তুলসী পাতা খেলে কোলেস্টেরলের শক্তি কময় হৃদপিণ্ড সুস্থ সবল রাখে।হৃদপিন্ডের রক্ত চলো চলো প্রক্রিয়া সচল রাখে।

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। কিন্তু সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হলো তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া। আবার তুলসী পাতার রস সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম করে খেতে পারলে ও শরীরের খুব উপকার হয়। তাছাড়া তুলসী পাতা শুকিয়ে রান্নার কাজে মসলা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এবং তুলসী পাতা শুকিয়ে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে চায়ের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। অথবা কোন ধরনের জুস এর সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে জুস বানিয়েও খেতে পারেন। 

সাধারণত তুলসী পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো বিকেলবেলা এ সময় খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এবং তুলসী পাতা সেবন করলে অবশ্যই তুলসির কচি কচি পাতাগুলো বেছে নিবেন। কচি কচি পাতা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা তো সবাই জানেন তুলসী পাতা ওষুধগুন সম্পূর্ণ উদ্ভিদ। তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও আন্টিফাঙ্গাল এর গুন।এই জন্য খালি পেটে তুলসী পাতা সেবন করলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। পেটে জমে থাকা গ্যাসের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও শরীরে টক্সিন নামক বিষাদ বিষাক্ত পদার্থকে বের করে তুলসী পাতার রস। 

এবং পেটে সকল সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে। এইজন্য খালি পেটে তুলসী পাতা সেবন করা উচিত।তবে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে সবচেয়ে কার্যকারী। তাহলে শরীরে রক্তের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতায় রয়েছে অসাধারণ গুণ যা সর্দি কাশি ফুসফুসের প্রদাহ করতে বা উপশম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তুলসী পাতার কোন জুড়ি নেই। তুলসী পাতা একটি ঔষধি গাছ। এই কাজ সম্পূর্ণই ঔষধি একটি গাছ। যেমন পাতা ডাল শিকড় ফুল বীজ সব ওষুধের গুণ সম্পন্ন।সর্দি কাশি গলা ব্যথা জ্বর গলায় কফ আরো শরীরে বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করতে তুলসী পাতা সহায়তা করে। 

নিয়ম মেনে তুলসী পাতা খেলে ঠান্ডা জনিত রোগ নিরাময় হবে। প্রিয় পাঠ চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে তুলসির পাতা খাবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষদের কাশি হতে পারে। কাশি জনিত রোগ থেকে নিরাময় পেতে নিয়মিত তুলসী পাতা খেতে পারেন। অনেক সময় ঋতু পরিবর্তন ব্যবহার কারণে ঠান্ডা গরমের ফলে কাশি সৃষ্টি হয় 

এই কাশি নিরাময় করতে নিয়মিত তুলসী পাতার রস হালকা গরম করে সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার কাশি একেবারে নির্মময় হবে। ছাড়া লবঙ্গ গুড়ো আদা গুড়ো মধু একত্র করে খেতে পারেন আরো ভালো কাজ করবে কাশির জন্য।

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক

গর্ব অবস্থায় তুলসী পাতা সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতা খেলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত তুলসী পাতা সেবনের ফলে রক্তচাপ কমে আসে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়। তবে আপনারা চাইলে নিয়ম মেনে অল্প পরিমাণ তুলসী পাতা খেতে পারে এতে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না বরং উপকার হবে।

শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

অনেক সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি লাগতে পারে এইজন্য তুলসী পাতার রসের সঙ্গে কিছু পরিমাণ গুড় মিশিয়ে আপনারা খাওয়াতে পারেন এতে খুব উপকার পাবেন। তাছাড়া শিশুদের অনেক সময় খাবার খাওয়ার অরুচি দেখা যায়।এতে নিয়ম করে তুলসী পাতার রস খাওয়াল শিশুদের মুখে রুচি আসে।নিয়মিত শিশুদের তুলসী পাতার রস খাওয়াল শিশুদের মন ভালো থাকে এনার্জি পায় এবং শিশুদের মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করবে। তুলসী পাতাতে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে দাঁত মজবুত করবে। ত্বকের পরিষ্কার রাখে, এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। কারণ তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান।এজন্য প্রতিদিন ৩টি থেকে ৪টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

আপনারা চা খেতে অনেকে পছন্দ করেন। কিন্তু এ চা খেলে আপনার শরীরে তেমন কোন উপকার হবে না। আপনি যদি নিয়মিত চা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তুলসী পাতার চা খেতে পারেন। নিয়মিত তুলসী পাতার চা খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তুলসী পাতার চা আরও উপকারী প্রত্যেকদিন দুইবার করে তুলসী পাতার চা খেলে আপনার কোস্টোরের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকবে। 

নিয়মিত তুলসী পাতা চা খেলে মানসিক দুশ্চিন্তা দূর হয় ঘুম ভালো হয়। কারণ তুলসী পাতাতে রয়েছে কার্বোহাইড এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তাছাড়া তুলসী পাতার চায়ের সঙ্গে আদার রস, লবঙ্গ গোলমরিচ, এবং মধু দিয়ে একটি শক্তিশালী পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন। তাহলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সকল কাজে এনার্জি ভরপুর থাকবে।

লেখক এর মন্তব্য কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম- তুলসী পাতার উপকারিতা

সম্মানিত পাঠক বিন্দু আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য। আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন কিভাবে তুলসী পাতা খেতে হবে। এবং তুলসী পাতাতে কি কি ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। তুলসী পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম কখন। তুলসী পাতা কিভাবে খেতে হবে। তুলসী পাতা কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম। 

তুলসী পাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর কি বিষয়ে আর্টিকেল পেতে চান অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 

আমার ওয়েবসাইটে এমন স্বাস্থ্যসম্মত নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। নিয়মিত স্বাস্থ্য টিপস পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url