ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হবে -প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু জ্বর হয়
প্রিয় পাঠক বিন্দু ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হয় আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ডেঙ্গু জ্বর একটি সাধারন ভাইরাস জনিত রোগ যা উপক্রান্তীয় অঞ্চলে এই রোগ দেখা দেয়। দেশের উত্তর দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোতে এই রোগের প্রকাব অনেক বেশি।
ওই সব দেশগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বর মহামারীর রূপ নেয়। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খাবেন। কোন নিয়ম অবলম্বন করলে,ডেঙ্গুজ্বর প্রতিশোধন করা যায়। এই আর্টিকেল মাধ্যমেআপনারা জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হবে-প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু জ্বর হয়
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলো মশা বাহিত এক ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগ গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা দেয়।বিশেষ করে এই রোগ উপক্রান্তীয় বা ক্রান্তীয় অঞ্চলের ডেঙ্গু জ্বরের প্রকাব অনেক বেশি।ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আগে এসব লক্ষণ দেখা দেয়। ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এই লক্ষণগুলো দেখতে পাবেন। প্রথম পর্যায়ে ডেঙ্গুর জ্বরে আক্রান্ত রোগীর বেশ কিছু রোগ দেখা দেয়। এইজন্য অবশ্যই প্রত্যেকটা মানুষের জানা দরকার ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা যায়।ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব দ্রুত ডেঙ্গুজ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গু মশার কামড়ে প্রচন্ড পরিমান জ্বর হবে,১০৪ ডিগ্রী ৪০ সেলসিয়াস ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর আসতে পারে। প্রচন্ড পরিমাণ মাথাব্যথা মাথার পিছনে সাইটে ব্যথা করবে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ও হাড়ে প্রচন্ড যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হবে। এগুলোই ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মনে রাখতে হবে প্রচন্ড মাথা ব্যাথার সাথে বমি বমি ভাব হবে।শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি ও চামড়ার পরিবর্তন হতে পারে। আর যেসব রোগীরা গুরুতর ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত তার বিপরীতে তাদের মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অনেক সময় প্রচন্ড পেট ব্যথা বমি বমি ভাব নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। মুখ ও গলা ফুলে যায়। প্রসবের সাথে রক্ত আসে। এ সময় কাছেই রোগীর ভালো লাগতে পারে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে তাহলে অসুস্থ বোধ করা। যা রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণের প্লেটলেট সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তবে প্লেটলেট রোগীর ক্ষেত্রে দিন দিন হ্রাস পেয়ে ২০০০ এর মধ্যে চলে আসবে।এতে রোগীর শরীরের ভিতরে রক্ত ক্ষরণ সৃষ্টি হবে। যার ফলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে ক্ষত দেখা দিবে।
অবশ্যই ডেঙ্গুর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে।না হলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা খুব ভয়াবহ হতে পারে। আপনারা চাইলে এ সময় প্যারাসিটামল খেতে পারেন। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ না খাওয়াই ভালো। একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রচুর পরিমাণ বিশ্রাম ও পানীয় খাবার খেতে হবে। আর বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে।খুব কঠিন এতে খুব দ্রুত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগ সুস্থ হতে পারবে।
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
এবার আমরা ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে। এই বিষয়ে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর মূলত মশা বাহিত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। ডেঙ্গু জ্বর ৩ থেকে ৭ দিন থাকে।আর ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে কিন্তু এই জ্বর রোগীর আক্রান্ত হওয়ার উপর নির্ভর করে। বয়স্ক মানুষের ওপর ডেঙ্গু জ্বরের প্রকাপ একটু বেশি পড়ে।প্রথম পর্যায়ে ডেঙ্গু জ্বর হলে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যেই রোগী মোটামুটি সুস্থ হয়ে যান।
কিন্তু আক্রান্ত রোগীর মাথা ব্যথা বমি বমি ভাব শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এসব লক্ষণ থেকে যায় তবে রোগী চাইলে বাসায় বিশ্রাম নিতে পারবেন।আর অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর প্রচুর পরিমাণ তরল গ্রহণ করতে হবে। না হলে রোগীর আরো গুরুতর অবস্থা হতে পারে। যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনডোম নামে পরিচিত। এ সময় সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর সাত দিন স্থায়ী হয়। কিন্তু এ সময় রোগীর প্লেটলেট সংখ্যা অনেকটা কমে যায়।
যার ফলে রোগীর শরীরে রক্ত ক্ষরণ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা হলে খুব দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে রোগীকে। ডেঙ্গু জ্বর যদি মহামারীর রূপ নেয় তাহলে অবশ্যই এ জ্বর বয়স সীমার কারণে সাত দিনের বেশি স্থায়ী হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে প্রচুর পরিমাণ বিশ্রাম ও তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। এটি ডেঙ্গু জ্বর রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হয়
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই তবে লক্ষণ নির্বাচন করে চিকিৎসকরা এর প্রতিশোধক দিয়ে থাকে।আপনারা অনেকে জানতে চান ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ওষুধ খেতে হয় আসলে কি ডেঙ্গু জ্বর হলে সঠিক নিয়ম মেনে ওষুধ খেলে এটি নিরাময় করা যায়। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো দেখা দেয় দেখা দেওয়ার সাথে সাথে খুব দ্রুত ডেঙ্গুজ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে। আর ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় করা যাবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়। কারণ ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ কি জন্য এই ওষুধটি ডাক্তাররা বিবচিত করেছে। সাধারণত চিকিৎসকরা বেশ কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারে যে ডেঙ্গু হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচুর মাথা ব্যথা বমি ভাব মাঝে মাঝে ফুসকুড়ি বের হয়।শরীরে বিভিন্ন মাংসপেশীতে প্রচুর ব্যথা হয়। ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগী জ্বরের মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে আরও বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যা একসময় মহামারীর দিকে যায়।
অনেকের ডেঙ্গু জ্বরের ফলে প্রাণঘাতীর হয়। এইজন্য ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলেই খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল ওষুধ সেবন করতে হবে। অন্যান্য ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই প্যারাসিটামল সেবন করার ফলে জ্বর কমে আসে,মাংসপেশীতে ব্যথা মাথাব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে প্যারাসিটামল ঔষধ ডোজ প্রাপ্তবয়স্কদের ৫০০ মিলিগ্রাম দিনে ছয় ঘন্টা পর সেবন করতে পারবে।আর শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
তবে ৪ গ্রাম বা ৮টি ৫০০ মিলিগ্রাম ঔষধ বেশি সেবন করা উচিত নয়।হঠাৎ করে ডেঙ্গু জ্বরের প্লেটলেট কমে যেতে পারে। সাধারণত এ সময় প্লেটলেট সংখ্যা ৫০,০০০ কমে আসলে রোগীর ক্ষেত্রে খুব বিপদজনক হতে পারে। এ সময় রক্তপাত সৃষ্টি হতে পারে। এইজন্য প্লেটলেট সংখ্যা খুব বৃদ্ধি দ্রুত হবে। বৃদ্ধি করতে হলে টাটকা তাজা ফলের রস ও সবুজ শাক-সবজি রোগীকে খাওয়াতে হবে এতে প্লেটলেট সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর কোন ধরনের ঔষধ লাগলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গুর গুরুতর আক্রান্তে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা শত সিমটম দেখা দিলে খুব দ্রুত ডেঙ্গুজোর আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এতে রোগীর প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায়।শরীরের ভিতরে বা বাহিরে রক্তক্ষরণ ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। এজন্য গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে আইভি লাইন বা তরল দেওয়া হয়।যাতে রোগীর ভিতরে ইলেক্ট্রোলাইট সচল থাকে। এ সময় রোগীর ওষুধের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে ভিটামিন সি যুক্ত দিতে হবে আর রোগীর যেন পুষ্টির ঘাটতি না পড়ে এজন্য বেশি পুষ্টি জাতীয় খাবার দিতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। যে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে কি কি করতে হয়। কোন কোন ওষুধ বা খাবার দিলে জ্বরে আক্রান্ত রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।
প্লাটিলেট কত হলে ডেঙ্গু জ্বর হয়
ডেঙ্গুয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্লাটিলেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্লাটিলেট হলো রক্তের একটি ছোট কণিকা যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।এবং রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করে, ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সময় প্লাটিলেট হ্রাস পায়।এইজন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেকের প্রশ্ন থাকে। প্লাটিলেট সংখ্যা কত হলে ডেঙ্গু জ্বর হয়। বা ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগীদের কতটা গুরুতর অবস্থা হতে পারে বোঝা যায় তা জানা খুব জরুরী। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর একটু ভাইরাস জনিত রোগ। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে প্লাটিলেট সংখ্যা কত থাকে।
এবং শরীরের রক্তনালীতে ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে প্রভাব ফেলে প্লাটিলেটের সংখ্যা কতটা কমিয়ে দেয়।একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্লাটিলেট থাকে ১৫০,০০ থেকে ৪৫০,০০পর্যন্ত। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট কমিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে চলে আসে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যখন প্লাটিলেট এক লাখের কম চলে আসে তখনই শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন প্রচন্ড মাথা ব্যথা বমি ভাব চুলের বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথার সৃষ্টি হয়,
শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি হয়। প্লাটিলেট মাত্রা যখন ২০ হাজারের চেয়েও কম হয়।তাহলে ওই ব্যক্তিকে খুব দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত না হলে প্রাণহানিও হতে পারে। প্লাটিলেট ৫০,০০০ এর চেয়ে কম হলে হবে ওই ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ৫০ হাজারের চেয়ে কম হলে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত বলে বিবেচিত করা হয়।
এই অবস্থা হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই বলে ডাক্তাররা লক্ষণগুলো বিবেচিত করে ওষুধ দিয়ে থাকেন সেই ওষুধগুলো সেবন করলে।পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিলে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি করতে হবে
ডেঙ্গু জ্বর মশা বাহিত এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ।এই রোগের নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কিছু চিকিৎসা রয়েছে।রোগীর শরীরে প্লাটিলেট সংখ্যা কমে গেলে রোগীর ব্যবস্থা ধীরে ধীরে গুরুতর হতে পারে। তাহলে খুব দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার ও বিশ্রাম নিলে রোগী ধীরে ধীরে বুঝতে হবে। আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের কি কি করতে হবে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডেঙ্গু জ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবেঃ একজন ব্যক্তির মূলত সবথেকে দশ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে খুব দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
জ্বর কমানোর ব্যবস্থা নিনঃডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীদের নানা ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় প্রচন্ড মাথা ব্যথা জ্বর বমি বমি ভাব শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি বের হয়। এইজন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে জ্বর কমাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল সেবন করতে পারে এতে জ্বর খুব দ্রুত কমে যাবে মাথা ব্যথা কমে আসবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিনঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় এজন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া উচিত। একটি রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
তরল গ্রহণ করাঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ডেঙ্গু জ্বর হলে এ সময় প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন টাটকা ফল কমলালেবু আপেল আনারস পাকা পেঁপে ইত্যাদি ফলের রস খেতে হবে। আর অবশ্যই রোগীর শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।
প্লাটিলেট পরীক্ষা করাঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর নিয়মিত প্লাটিলেট পরীক্ষা করা উচিত। কারণ এ সময় প্লাটিলেট অনেক কমে যায়। ৫০০০০ এর কম হলেই ডেঙ্গুচর আক্রান্ত রোগীর রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এইজন্য নিয়মিত কাউন্টারে গিয়ে প্লাটিলেট পরীক্ষা করতে হবে কমে আসলে খুব দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
গুরুতর অবস্থা হলেঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর এসব লক্ষণ দেখা দিলে এবং প্লাটিলেট মাত্রা কমে গেলে রোগীর মৃত্যুর পর্যন্ত হতে পারে। এইজন্য দেরি না করে রোগীকে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় করা সহজ হবে।
ডেঙ্গু পরীক্ষার নাম কি
ডেঙ্গু জ্বর একটি মশা বাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে, এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ রোগ খুব দ্রুত সনাক্ত না করা গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। চলুন জেনে যাক পরীক্ষাগুলোর নাম কি।
IGM এন্টিবডি পরীক্ষাঃ ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে এন্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার প্রথম দিকে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এ পরীক্ষা করা হয়। এটি ভাইরাসের একটি প্রোটিন যা প্রথম পর্যায়ে শরীরের রক্ত থেকে সনাক্ত করা হয়। এই পরীক্ষা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
NSI অ্যান্টিজেন পরীক্ষাঃ NSI অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত করার অন্যতম পরীক্ষা। বিশেষ করে এই পরীক্ষা ৩থেকে ৫ দিনের মধ্যে করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাইরাস সংক্রমণ রক্তে উপস্থিত থাকে। এইজন্য পরীক্ষা করা খুব জরুরী।
PCR Polymerase Chain Reaction পরীক্ষাঃ PCR ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর একটি উচ্চ সংবেদনশীল পরীক্ষা। এই ডেঙ্গু ভাইরাস ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সনাক্ত খুব উওম। তবে এই পরীক্ষা তুলনামূলক ভাবে খুব ব্যয়বহুল।এই পরীক্ষাটি সাধারণত অত্যাধুনিক ল্যাবটারিতে করা হয়।
প্লাটিলেট পরীক্ষাঃ ডেঙ্গু সংক্রমণের কারণে প্লাটিলেট অনেক কমে যায়।ডেঙ্গুর প্রভাব কতটা গুরুতর এজন্যই পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট সংখ্যা ৫০,০০০ এর কম হলে গুরুতর আকার নিতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার কি
আপনারা ডেঙ্গু রোগের কারণ ও পত্রিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ডেঙ্গু রোগ একটি এইতো ভাইরাস জনিত রোগ এটি এডিস মশা কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এডিস মশা ঘরের কোনে কোন জায়গায় পানি জমলে সেই পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। দিনের বেলায় এটিই সক্রিয় হয়।
এডিস মশা কামড়ানোর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। উচ্চ মাত্রার জ্বর প্রচন্ড মাথা ব্যথা বমি বমি ভাব শরীরে বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি বের হয়।শরীরের বিভিন্ন জায়গার মাংসপেশিতে প্রচন্ড ব্যথা হয়। এটি নিরাময় হবে বলে অবহেলা করা উচিত নয় এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণঃ আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান কারণ হলো এডিস মশার কামড়ানোর জন্য মূলত এই জ্বর সৃষ্টি হয়। এডিস মশা কামড়ানোর ফলে ওই ভাইরাসটি প্রথমে রক্তের প্রবেশ করে। এরপর থেকে শুরু হয় ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো ওপরের এই লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় করতে হলে বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকলে পরিষ্কার রাখতে হবে তাহলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার উপায়ঃ ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করতে চাইলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমেই ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।বাড়ির আশেপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই নিয়ম গুলো অবলম্বন করলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- মশার প্রজনন ক্ষেত্র গুলো ধ্বংস করতে হবে
- মশারি ব্যবহার করা
- মশা রোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করা
- শরীর ঢাকা পোশাক পড়তে হবে
- বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
- জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা
লেখক এর মন্তব্য ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি ওষুধ খেতে হবে
প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা জানতে চেয়েছেন ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি ওষুধ খেতে হয়। ডেঙ্গু জ্বর হলে নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই। তবে লক্ষণ অনুযায়ী ডেঙ্গু জ্বর বিশেষজ্ঞরা যে ওষুধ দিবে নিয়ম অনুযায়ী খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম করলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন।আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লাগবে।
ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।আর নিয়মিত এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে তথ্যমূল্যক পোস্ট পাবলিশ করা হয়।আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url