ইউরোপের কোন দেশে সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় জেনে নিন

বর্তমান সময়ে ইউরোপে নাগরিকত্ব পাওয়া প্রায় অনেক প্রবাসগামী মানুষদের স্বপ্ন। কারণ ইউরোপের মতো উন্নতশীল দেশে স্থায়ী নাগরিকত্ব সবার মন পেতে চায়। কারণ ওই দেশে নিরাপদ বাসস্থান খাদ্য চিকিৎসার ব্যবস্থা উন্নত শীল শিক্ষার মান ভালো এইজন্য ইউরোপে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে। 
ইউরোপের-কোন-দেশে-সহজে-নাগরিকত্ব-পাওয়া-যায়-জেনে-নিন
ইউরোপে সব জায়গায় নাগরিকত্ব পাওয়া যায় না অল্প কিছু জায়গা রয়েছে। যেগুলোতে স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। আপনারা খুব সহজে কিভাবে ইউরোপে নাগরিকত্ব পাবেন সেই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র ঃ ইউরোপের কোন দেশে সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় জেনে নিন 

ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায়

ইউরোপে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে ইউরোপে ব্যবসা বা কোন বিজনেস করার জন্য বিষের আবেদন করতে হবে। এই আবেদনের মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট এর মেয়াদ অনুযায়ী ওই দেশে থাকতে পারবেন। তাহলে চলুন ইউরোপের কোন দেশে খুব সহজেই স্থায়ী ভিসা পেতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
পর্তুগালে ঃইউরোপের সবচেয়ে উন্নত শীল দেশ হলো পর্তুগাল। এখানে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইলে আপনাকে বিজনেস করার জন্য কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এর পরে আপনি পাঁচ বছরের জন্য ভিসা পাবেন। সেই ভিসা অনুযায়ী আপনার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পতুগাল ভাষার একটি পরীক্ষা দিয়ে আপনি যদি উত্তীর্ণ হতে পারেন। তাহলে আপনি ওই দেশে স্থায়ী নাগরিকত্ব খুব সহজে পেয়ে যাবেন।

পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন

  • পর্তুগালে নবজাতক শিশু যদি মায়ের গর্ভে থাকে তাহলে ওই শিশু জন্মগ্রহণ করার পরেই পর্তুগালে জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই নাগরিকত্ব পাবে।
  • অথবা পর্তুগালের শিশুর মা বাবা যদি অন্য দেশের নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে ওই শিশু জন্মের দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে নাগরিকত্ব লাভ করবে। এরজন্য বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে।ঐ শিশুকে প্রাইমারি লেভেল পার করতে হবে এরপরে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
  • যদি একটি শিশু পর্তুগালের জন্মগ্রহণ করে। তবে তার বাবা যদি পারমিট বিষয় ভিসা দুই বছর অতিক্রম করে। তাহলে ওই শিশুর জন্মের পরেই জাতীয় পরিচয় পত্র নেওয়ার আবেদন করতে পারবে।
  • আপনি যদি পর্তুগালের বৈধভাবে পাঁচ বছরের বেশি থাকতে পারেন। এবং পর্তুগালের এ টু জেড ভাষা শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই পর্তুগালের থাকার আবেদন করতে পারবেন।
  • অথবা আপনি যদি পর্তুগালের কোন নারী নাগরিককে বিয়ে করেন তাহলে অন্তত দুই বছর পর্তুগালে থাকার স্থায়ী ভাবে থাকার আবেদন করতে পারবেন।
  • কিংবা আপনি চাইলে পর্তুগালে কয়েক বছর থেকে স্থায়ীভাবে থাকার আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য আবেদনকারী কে কোন সাজা পাপ্ত আসামি বা দুই বছরের কম সাজাপাপ্ত হতে হবে। তাহলে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন।
  • আপনি যদি পর্তুগালে স্থায়ী নাগরিকত্ব তা পেয়ে যান তাহলে আপনার ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে পারবেন।
  • আপনারা যদি পর্তুগালের কোন বাচ্চা শিশুকে দত্তক নেন তাহলে আপনি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
  • আপনি যদি পর্তুগালে ১০ বছরের বেশি বৈধভাবে বসবাস করতে পারেন। তাহলে স্থায়ীভাবে থাকার নাগরিকত্বার আবেদন করতে পারবেন।
  • অথবা আপনি যদি ইউরোপের যেকোনো দেশের নাগরিকে বিয়ে করে থাকেন। তাহলে পর্তুগালে পাঁচ বছর থাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউরোপের-কোন-দেশে-সহজে-নাগরিকত্ব-পাওয়া-যায়-জেনে-নিন

ইউরোপে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

বিশ্বের প্রায় অনেকের ইচ্ছা যে ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাস করার। কিন্তু আপনারা তো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন ইউরোপ থাকতে কি কি শর্ত মানতে হবে। এবং ইউরোপে আবেদন করার জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র লাগবে। আপনাদের সুবিধার্থে সে কাগজগুলো নিজে উল্লেখ করা হলো।
  • প্রথমেই বলি উপরের যতগুলো মানতে হবে এর পরে আপনি আবেদনের প্রসেসিং করতে পারবেন।
  • অবশ্যই আপনাকে ইউরোপের ভাষা এ টু জেড জানতে হবে।
  • এরপরে আপনি কোন শর্ত অনুযায়ী এদেশে স্থায়ী থাকার আবেদন করবেন তার প্রমান পত্র।
  • বর্তমানে উঠানো এমন চার কপি ছবি পাসপোর্ট সাইজের।
  • এরপরে আপনি কি জন্যে দেশের স্থায়ী বসবাস করতে চান তার প্রমাণ পত্র দেখাতে হবে।
  • বিজনেস করার ক্ষেত্রে ওই কোম্পানির অফার লেটার অথবা পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অফার লেটার পত্র দেখাতে হবে

পর্তুগালের নাগরিকত্ব সুবিধা জানুন

পর্তুগালের নাগরিকত্বের সুবিধে সম্পর্কে আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানাবো। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • আপনি ইউরোপী ইউনিয়নের ইউএস এর পথ পাবেন।
  • আপনি ইউরোপের ২৬ টি দেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন। এবং সে দেশগুলোতে কর্মস্থান তৈরি করতে পারবেন।
  • সেনজেনভুক্ত দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
  • উন্নত মানের জীবনযাত্রা পাবেন।
  • স্টুডেন্টদের জন্য উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা এবং উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পাবেন।
  • সামাজিক নিরাপত্তা পাবেন।
  • আপনি যদি পর্তুগালের স্থায়ী নাগরিকত্ব পান তাহলে আপনি উপরে উল্লেখিত সুযোগ সুবিধা পাবেন।

লেখক এর মন্তব্য ইউরোপের কোন দেশের খুব সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় জানুন

প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা হয়তো এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আগে জেনে গিয়েছেন যে ইউরোপে কোন দেশে খুব সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এবং কি কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ বিষয়েও ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। এবং আর্টিকেলটি পরে যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

নিয়মিত এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। প্রতিনিয়ত জুথি আর্টস আইটি এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট করে, আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url