করলা খাওয়ার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

করলা খাওয়ার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান যে করলা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য একটি উপকার হয়। করলা একটি শীতকালীন সবজি কিন্তু বর্তমানে করলাও প্রায় ১২ মাসি পাওয়া যায়।করলা মূলত তিতা প্রকৃতির হয়ে থাকে এই জন্য অনেকেই করলা খেতে পছন্দ করলেন না। কিন্তু আপনারা করলার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে অবশ্যই খাওয়ার আগ্রহ জাগবে।
করলা-খাওয়ার-৪০টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-আলোচনা
করলাতে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনি অন্য কোন সবজিতে পাবেন না আর এটি খেলে আমাদের শরীরে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দেয়। করলা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে করলো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ করলা খাওয়ার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

করলা একটি শীতকালীন সবজি যা সব সবজির চেয়ে একটু আলাদা এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। করলা আমাদের শরীর ভালো রাখতে খুব উপকার করে। অনেকেই আছেন করলা তিতা প্রকৃতির হওয়ার কারণে অনেকে খেতে চান না। কিন্তু আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই করলা খুব কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। 
করলা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ইনফেকশন হতে দেয় না। আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে কিন্তু করলারও বেশ কিছু অপকারী দিক রয়েছে সেই সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

কাঁচা করলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা করলা খাওয়ার উপকারিতা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে করলা আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। আপনারা খেয়াল করলেই ভেদাভেদ বুঝতে পারবে যে ব্যক্তি নিয়মিত করলা খায় দেখবেন বিশেষ করে ওই ব্যক্তি কম অসুস্থ হয়। আর যে ব্যক্তি করালা খেতে পছন্দ করেন না তিতা হওয়ার কারণে আপনারা লক্ষ্য করবেন যে তার ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

এইজন্য নিয়মিত কাঁচা করলার করলার জুস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করুন এর ফলাফল আপনি নিজেই উপভোগ করতে পারবেন। কাঁচা করলাতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং কাঁচা করোলা আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে সেই বিষয়ে জেনে নিন।
  • নিয়মিত কাঁচা করলা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও কার্যকর।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কাঁচা করোলা।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা করলা।
  • আপনি নিয়মিত সকালে খালি পেটে করলো খাওয়ার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলা জুস খান।
  • পাইলস নিরাময় করে কাঁচা করোলা।
  • রক্ত পরিষ্কার রাখতে পারো করলা খুব কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরের বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • যাদের নিদ্রা জনিত সমস্যায় রয়েছে ঘুম ভালো হয় না তারা নিয়মিত করোলা খেতে পারেন।
  • করলো হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে খুব কার্যকর।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা দূর হয়।
  • ওজন কমাতে করলার জুস অনেক বেশি উপকারী।
  • সকালে খালি পেটে কয়লা জুস খেলে হাঁপানি সমস্যা দূর হয়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করলার জুস খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • নিয়মিত করলাখার ফলে চুল মজবুত ও সুন্দর হয়।
  • করলার জুস খাওয়ার ফলে শরীর ডিটক্সিফিকেশন অনেক ভালো হয়।
  • শরীরে রেগুলার জ্বর আসলে নিয়মিত করলা জুস খান এতে জ্বর নিরাময় হবে।
  • মুখের রুচি আনতে করলার জুস খেতে পারেন।
  • নিয়মিত করোলা খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
  • করলা আমাদের শরীরে অ্যান্টিভাইটিক এর কাজ করে।
  • নিয়মিত করলা খাওয়ার ফলে বাত ব্যথা দূর হয়।
  • নিয়মিত করলার জুস খেলে ত্বকের ব্রণ দূর হয়।

করলা খাওয়ার অপকারিতা

করলা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। করলা খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী করলা খেলে উপকার মিলবে। আমরা এতক্ষণ করলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এবার আমরা অতিরিক্ত করলা খেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে জানবো,তাহলে চলুন নিজে জেনে নিন।
  • করলার জুস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে এক গ্লাস করলা জুস খেলেই যে ডায়াবেটিস কমে যাবে তা কিন্তু নয়। তাছাড়াও আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে তাহলে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
  • গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় প্রথম কয়েক মাস করলা না খাওয়াই ভালো অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এবং অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলে মাসিকের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
  • অল্প বয়সের বাচ্চাদের বা শিশুদের করলার জুস খাওয়া থেকে দূরে রাখুন কারণ এটি তিতা হওয়ার কারণে বাচ্চার খাওয়ার অরুচি চলে আসবে। তাছাড়াও করলা জুস খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেট ব্যাথা বদ হজম বমি ভাব আমার সাথে দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে করার জুস খেলে লিভারে ইনফেকশন হতে পারে। তাছাড়াও লিভারের প্রধান সৃষ্টি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলে সেরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রিয় পাঠক বিন্দু, আশা করছি আপনারা করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে উপরে জেনেছেন। কোন কিছুই প্রয়োজনের অধিক পরিমাণ খাওয়া উচিত নয় এ তুই উপকারের চেয়ে অপকারিতা বেশি হয়।

করলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

করলা খাওয়ার ৪০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা উপরে জেনেছেন।এবার করলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। কিন্তু করলা খাওয়ার উপকারিতা পেতে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে বা জেনে করলা খেতে হবে তাহলে আপনি করলার সম্পূর্ণ পুষ্টি গুনাগুন পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নিন

করলা আমরা বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। তবে আপনি যদি স্বাস্থ্য উপকারী করলা দ্বারা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাঁচা করলার জুস বানিয়ে খেতে হবে। তবে আপনার যদি করোলা জুস খেতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি করলার জুস এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন। তাছাড়াও একটি করলা সেদ্ধ করেও খেতে পারেন। আমরা করলা মূলত রান্না সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। এতে করলার কিছু পুষ্টি দিয়ে গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। 
করলা-খাওয়ার-৪০টি-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-আলোচনা
তবে তেতো প্রকৃতির করলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এইজন্য অনেকে করলার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে বেশি পরিমাণ খাবেন না এতে আপনার শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন ধরুন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেটে ব্যথা বমি বমি ভাব বদহজম ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনারা যদি নিয়মিত ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম করলা জুস খেতে পারেন তাহলে আপনি করলার স্বাস্থ্যকারী উপকারিতা পাবেন। করলা জুস বানানোর পদ্ধতি খুবই সহজ।
  • প্রথমেই করলাটি ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপরে করলাটি কেটে নি বিচি ছাড়িয়ে পিষে অথবা ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিবেন। তারপরে একটি ছাকনির সাহায্যে রসগুলো বের করে নিন এরপরে খালি পেটে এই পদ্ধতিতে নিয়মিত করলা জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
  • আপনারা যদি করলার জুস না খেতে পারেন তেতো হওয়ার কারণে তাহলে অবশ্যই করলা জুসের সঙ্গে একটা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার অন্যান্য সমস্যাও দূর হবে।
  • অথবা আপনি করলা জুসের সঙ্গে লেবু মধু মিশিয়ে খেলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্তনে থাকবে।তাছাড়াও লেবু আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী আপনারা নিশ্চয়ই জানেন।
  • তাছাড়াও করলা সবজি হিসাবে অথবা শুধু করলা ভাজি করেও খেতে পারেন। তাছাড়াও আপনি যদি করলা ভাজি বা রান্না করে খান অবশ্যই হালকা আচে রান্না করবেন এতে সামান্য পরিমাণ করলার পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে। চাইলে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে নিয়মিত করলা খেতে পারেন করার আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি উপাদান চেষ্টা করবেন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় করলা রাখার।
সম্মানিত পাঠক বিন্দু, আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে করলো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং কিভাবে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে করলা খেলে শরীরে হাজারো পুষ্টি গুণ পাওয়া যায় সে সম্পর্কে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আরো কোন বিষয়ে অজানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

করলার পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে

১০০ গ্রাম করলায় কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আমরা অনেকেই জানিনা কিন্তু জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। আপনাদের সুবিধার্থে করলার পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে নিজের ছকের মাধ্যমে তুলে ধরলাম আপনারা দেখে নিন।
পুষ্টির উপাদানের নাম পুষ্টির পরিমাণ
ক্যালরি ৩২ ক্যালোরি
ফ্যাট ০.২ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ২২%
ভিটামিন বি৬ ৪০%
ভিটামিন ডি ১%
আইরন ৫%
ক্যালসিয়াম ৪%
ভিটামিন সি ৯৩ %
প্রোটিন ৩.৭ গ্রাম
সুগার ১ গ্রাম
ডিএটারি ফাইবারর ১.৮ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৮ গ্রাম
পটাশিয়াম ৬০২ মিলিগ্রাম ১৬%
সোডিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম
কোলেস্টেরল ১ গ্রাম
স্যাচুরেটেড ফ্যাট ০ গ্রাম

খালি পেটে করলা জুস খাওয়ার উপকারিতা

করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা উপরোক্ত বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। করলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও জেনেছেন। এবার আমরা খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। আপনার যদি কোন সমস্যা মনে হয় অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। করলা খাওয়ার একমাত্র সময় হলো খালি পেটে করোলা জুস খাওয়া। 

যা আমাদের শরীরে করলা সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে করলা জুস খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়াও নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শাহরুখ ও মানসিক সমস্যা দূর হয়। সারাদিন কাজ করার জন্য এনার্জি পাওয়া যায়। শরীরের জ্বর বাদ ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

এইজন্য চেষ্টা করবেন সকালবেলা উঠে এক গ্লাস করলা শরবত দিয়ে যেন আপনার দিন শুরু হয়। তবে আপনি চাইলে করোলা অন্যান্য উপায়েও খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করার জুস খাওয়া এতে আপনার স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকবে আপনি সুস্থ থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া খুব উপকারী।তবে প্রথম কয়েক মাস না খাওয়াই ভালো এতে মা ও শিশু ভালো থাকবে। এর পরে আপনি করোলা খেতে পারেন তবে পরিমাণমতো অতিরিক্ত করলা গর্ভবতী মায়ের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হতে পারে। এজন্য আপনি চেষ্টা করবেন পরিমাণ মতো সঠিক সময় অনুযায়ী করলা ভাজি বা করোলা জুস খেতে তাহলে মা ও শিশু দুজনে সঠিক পুষ্টিগুণ পাবে। করলা তেতো প্রকৃতির এইজন্য মহিলাদের ঋতুচাপের বৃদ্ধি করে। কারণ করলাতে রয়েছে ভাসিনা অনু যা রক্তস্বল্পতা ঘটায়।
রূপচর্চায়-করলার-ব্যবহার
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখা গিয়েছে করলায় গ্লাইকোসাইড, কুইনাইন, মোমোর্ডিকা,ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অণু রয়েছে তার শরীরের বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এইজন্য একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরে ক্লান্তি ভাব বমি বমি ভাব আরে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা দৃষ্টিশক্তি সমস্যা ডায়রিয়া পেট ব্যথা বদহজম ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।এইজন্য আপনি যদি গর্ভাবস্থায় করোলা খেতে চান অবশ্যই ডক্টরের সাথে পরামর্শ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাছাড়াও আপনি অল্প পরিমাণে নিয়মিত খাবেন এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

ওজন কমাতে করোলা কিভাবে খাবেন

আপনারা হয়তো সবাই জানেন প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে করলা খাওয়ার ফলে ধীরে ধীরে ওজন কমতে শুরু করে। আপনি যদি ওজন নিয়ে সমস্যায় থাকেন তাহলে আপনার সকালে নাস্তা বানিয়ে ফেলুন করলার জুসকে এ করোলা জুস নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি বা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। কিন্তু আপনি কিভাবে করলার জুস খেলে আপনার ওজন কমবে আপনি কি জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রথমেই আপনি একটি কলেরা নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে রসটি ছেকে এরপরে হালকা কুসুম পানি করে নিবেন তারমধ্যে এক কোয়া লেবুর রস আর আপনি যদি তেতো না খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে একমাস খেলে থাকুন। এর পরে আপনি ফলাফল পাবেন। কিন্তু এর সাথে আপনি যদি ব্যায়াম হালকা ডায়েট করেন তাহলে খুব দ্রুত এর রেজাল্ট পাবেন আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন। ওজন কমাতে করোলা কিভাবে খাবেন এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

করলার জুস বানানোর নিয়ম

করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছেন। কিন্তু অনেকে জানতে চেয়েছেন করলা জুস বানানোর নিয়ম এবং কিভাবে করলা জুস বানানো যায় সে সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নিন কিভাবে কয়লা জুস বানাবেন।
  • প্রথমে টাটকা তরতাজ একটি মাঝারি সাইজে করলা নিন। এরপরে একটি পাএে পরিষ্কার পানি নিন তার মধ্যে করোলা দিয়ে ভালোভাবে জেনে এরপর করলাটি পিস পিস করে কেটে ছোট ছোট পিস ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন। তারপরে একটি ছাকনির সাহায্যে ছেকে রসগুলো বের করে নিন তারপরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পুরো এক গ্লাস করলে শরবত বানিয়ে নিন।এভাবেই আপনি নিয়মিত করলার রস বানিয়ে খেতে পারেন।
  • অতঃপর আপনি যদি করলার তিতা বলে খেতে চান না তাহলে আপনি করলার রসের সঙ্গে লেবু ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে এই নিয়মে খেতে পারেন। তাছাড়াও কাঁচা করলার জুস যদি আপনি খেতে পছন্দ না করেন তাহলে আপনি আস্ত একটি করলা সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।এভাবে করোলা জুস বানিয়ে খেলেও আপনি সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণাগুণ পাবেন।

রূপচর্চায় করলার ব্যবহার

আপনারা কি জানেন রূপচর্চের ক্ষেত্রেও করলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি নিশ্চয়ই এ কথাটি শুনে অবাক হয়েছেন কিন্তু এ কথাটি সত্যি করলা রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। করলা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। আপনি যদি করলা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সেই প্যাকটি মুখের লাগাতে পারেন তাহলে আপনার মুখের ব্রণ মেছতা ও মুখের এলার্জি সমস্যা খুব সহজে দূর করতে পারে এই করলা। 

আপনার মুখে যদি এ ধরনের সমস্যা থাকে দেরি না করে আজকেই পদ্ধতিতে করলাম মুখে লাগিয়ে নিন আপনি ম্যাজিক দেখতে পাবেন। এ প্যাকটি যদি আপনি সপ্তাহে ৩দিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখে দানাভাব রেস দূর হবে ত্বক উজ্জল ও ফর্সা হবে। আশা করছি আপনারা রূপচর্চায় করলার ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য করলা খাওয়ার ৪০টি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

জুথি আর্টস আইটি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের করলা খাওয়ার ৪০টি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে এবং খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে করলা জুস খাওয়ার উপকারিতা। করলা খেলে কিভাবে ওজন কমানো সম্ভব গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া উচিত কিনা। আমরা মূলত আজকে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

এমন তথ্যমূলক নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের উপকারে আসে এমন তথ্যমূলক আর্টিকেল দেওয়া জন্য। আপনার মহামূল্যবান সবাই নষ্ট করে এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url