লিচু খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু আপনারা কি লিচুর বিচি খাওয়া সম্পর্কে জানেন, রসে ভরা লাল টকটকে এই এই ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর বিচিতেও উপকারের সমাহার রয়েছে। আপনারা লিচু পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনারা অবাক হবেন,
যে লিচু পাতার ও এত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। লিচুর এই সকল বিষয় জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
পোস্ট সূচিপত্রঃ লিচু খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি দিকে রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ফল লিচু রসালো এ ফলটি গ্রীষ্মকালের অন্যতম একটি ফল যা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি অনেক সুস্বাদু প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি, ফাইবার, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ইত্যাদি আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই উপাদানগুলো থাকার কারণে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
লিচুতে অনেক পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান রয়েছে যার শরীরের কোষ রোধ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আরো রয়েছে ফাইবার যা আমাদের পচনতন্তকে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়, লিচুতে রয়েছে পটাশিয়ামের উপাদান যা আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
লিচুতে আরও রয়েছে প্রাকৃতিক চিনির উপাদান যা আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে, এবং সারা দিনের ক্লান্তি ভাব দূর করে। তবে লিচু যে শরীরের জন্য শুধু উপকার নিয়ে আসে এমন নয় লিচু আমাদের শরীরের জন্য কিছু ক্ষতিকর ও নিয়ে আসে যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে লিচু একদম এড়িয়ে চলতে হবে। লিচু রক্তের শর্করের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে তবে অল্প পরিমাণ লিচু ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারে।
আবার ছোট বাচ্চারা রসালো পাকা টসটুসে লিচু দেখে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে এই বিষয়ে অবশ্য সতর্ক হতে হবে। ছোট বাচ্চারা অতিরিক্ত পরিমাণ লিচু খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে, এক পর্যায়ে প্রাণঘাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার খালি পেটে লিচু খেলে বমি বমি ভাব দেখা দেয় পেট ব্যথা গ্যাসের সমস্যা বদহজম হতে পারে।
তাছাড়াও অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে অস্বস্তি বোধ হতে পারে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া করতে পারে। অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে এলার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। অথবা অনেক সময় অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
আপনারা চাইলে এই গরমে লিচুর এক গ্লাস শরবত বানিয়ে খেতে পারেন যা আপনাকে এই গরমে একটু স্বস্তি দেবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখবে।এইজন্য আপনার শরীরের কন্ডিশনও বুঝিয়ে আপনি পরিমাণ মতো লিচু খাওয়ার অভ্যাস করুন, যাতে আপনার শরীরে স্বাস্থ্য উপকার হয় অপকারিতা এড়ানো যায়।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা
লিচু গ্রীষ্ম মৌসুমীর রসালো ভরা এই ফল যা স্বাস্থ্য উপকারে ভরপুর। এ ফলটি দেখতে যেমন সুদর্শন তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু। আপনারা হয়তো এই ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু এজন্য খেয়ে থাকেন কিন্তু আপনারা কি জানেন লিচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।মৌসুমের এই ফলটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পেয়ে যাই। যা অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি, তাহলে চলুন আলোচনা শুরুতেই আমরা লিচু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
- লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আচ্ছা আমাদের শরীরে সাদা রক্তকণিকা উৎপাদনে বাড়িয়ে দিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- লিচুতে রয়েছে অ্যান্ট অক্সিডেন্ট এর উপাদান যা আমাদের শরীরে বিষাক্ত ফ্রি রেডিকেলস বের করে দেয়।
- লিচু হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে খুব কার্যকরী যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত লিচু খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো লিচু।
- তাছাড়াও রূপচর্চায় লিচুর ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ রোদে পোড়া কালো ভাব দূর করতে লিচু খুব উপকার করে।
- চুল ঘন মজবুত এবং লম্বা করতে নিয়মিত লিচু খান।
- এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে নিয়মিত লিচু শরবত খেলে।
- শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করতে ম্যাজিক এর মতো কাজ করে লিচু।
- কিডনির জন্য খুব উপকারী ফল হলো লিচু। কারণ লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যার কারণে কিডনিতে জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ খুব সহজে বের করে দেয়।
- শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়াতে পারে সেগুলো ছড়াতে বাধা প্রদান করে লিচু।
- লিচুতে এমন বিশেষ বিশেষ উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ইউরিনারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেন।
- শিশুর স্বাস্থ্য বিকাশ ঘটাতে পারে।
- দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দিতে খুব কার্যকর।
- মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এলার্জির প্রতিরোধক হিসাবে লিচু খেতে পারেন।
- শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
- এই জন্য লিচুকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎসাহ বলা হয়।
- শরীরের বাত ব্যথা হাঁটু ব্যথা দূর করতে পারে।
- লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ এর উপাদান যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো এবং বৃদ্ধি করতে পারে।
- আরো রয়েছে ভিটামিন বি ৬ যা আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা বা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে খুব উপকারী।
- মানসিক চাপ বা বিষাধ দূর করতে নিয়মিত লিচু খেতে পারেন।
- আপনারা তো জানেন লিচু পানির অংশ এইজন্য শরীরে ডিহাইড্রেশন দূর করে শরীরের পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করে।
- হাড়ের গঠন ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
- অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ ঠিক রাখে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে কার্যকর।
লিচু খাওয়ার অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এবার আমরা লিচু খাওয়ার অপকারী দিক সম্পর্কে জানব। লিচু খাওয়ার অপকারিতার থেকে উপকারিতায় বেশি। তবে অতিরিক্ত লিচু খেলে আবার দেখা দিতে পারে তার বিপক্তি।লিচুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পদার্থ রয়েছে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেলে আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি খালি পেটে লিচু খান তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবার চলুন অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে রাখুন---
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যা গর্ভবতী মায়ের শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। ধরুন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, এলার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এমনকি গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকি বেস্ট ফিডিং মায়েদের লিচু খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
- সার্জারি রোগীদের ক্ষেত্রে লিচু খাওয়া স্বার্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ লিচুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনির উপাদান তাছাড়াও লিচু যেহেতু রক্তচাপ এবং রক্তের গ্লুকোজের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে সেক্ষেত্রে সার্জারি রোগীর অবশ্যই ১ মাস পর থেকে লিচু খাওয়া উচিত।
- অন্যান্য ফলের সঙ্গে লিচু খাওয়া উচিত নয় এতে এলার্জি প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়াও এলার্জি সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
- কাঁচা লিচু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাঁচা লিচু থাকা অবস্থায় বাচ্চারা অনেক সময় ফেলেছে ছিড়ে খায় কাঁচা লিচু খাওয়ার ফলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এইজন্য বাচ্চাদের দিকে নজর রাখবেন।
- শরীরের ব্যালেন্স নষ্ট করে অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীরে জয়ন্টে জয়েন্টে ব্যথা হতে শুরু করে।
- তাছাড়াও লিচু খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
- মাথা ব্যাথা বা ক্লান্তি ভাব বেড়ে যায়।
- শিশুদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়।
- রক্তচাপে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে ঘুম ধরে না বা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে হঠাৎই ওজন বৃদ্ধি পাবে। প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে।
- লিভার ও কিডনির সমস্যা ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে রক্ত চাপ বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা বমি বমি ভাব জ্বর আসতে পারে।
- অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবে রক্তের শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এতে করে আপনার ডায়রিয়া জনিত রোগ হওয়ার জটিলতা বাড়তে পারে।
- খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে যার ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
সম্মানিত পাঠক, আপনারা উপরিউক্ত অপকারিতার কথা মাথায় রেখে আপনি একসাথে অতিরিক্ত কিছু না খেয়ে সারাদিনে অল্প অল্প করে লিচু খারাপ অভ্যাস করুন। এতে আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি পূর্ণ হবে না। তাছাড়াও আপনি চাইলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। আমি বলব এই বিষয় চিকিৎসকরা ও একমত হবে।
লিচুর বিচি খেলে কি হয়
আপনারা এতক্ষণ লিচু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এবং অতিরিক্ত লিচু খেলে কিরে কি কি ক্ষতি হয় আশা করছি সে সম্পর্ক জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন লিচুর বিচি খাইলে কি হতে পারে এই বিষয়ে। বিশেষজ্ঞরা বা বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ও পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারা গেছে যে লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকার করে।
লিচুর বিচি খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে হজম প্রক্রিয়া উন্নতি করতে প্রতিযোগিতা করে। গ্যাসের সমস্যা দূর করতে থাকে। তাছাড়াও আরো জানা গিয়েছে যে লিচুর বিচি আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী এবং রক্ত সরবরাহ করতে অব্যাহত থাকে এবং গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে লিচুর বিচি সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। এটি আমাদের শরীরের যেমন উপকার নিয়ে আসে তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
এই জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া লিচুর বিচি গ্রহণ করা যাবে না।তবে চিকিৎসকরা যদি লিচুর বিচির গুঁড়ো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে তাহলে আপনি সামান্য পরিমাণ এটি খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া লিচুর বিচি খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিও রয়েছে। কারণ লিচুর বিচির মধ্যে রয়েছে কিছু রাসায়নিক পদার্থ মিথাইলিন সাইক্লোপ্রোপাইল-অ্যালাইন (এমসিপিএ) ও মিথাইলিন সাইক্লোপ্রোপাইল- গ্লিসাইন (এমসিপিজি)।
এ সকল রাসায়নিক পদার্থ আমাদের শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এক পর্যায়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে লুচির বিচি যদি খালি পেটে আপনারা খান অথবা যারা অপুষ্টির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাছাড়াও আপনার যদি কেউ লিচুর বিচি গোটা অবস্থায় খেতে চান।
তাহলে অনেক সময় এতে গলায় আটকার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে জ এটি অন্ত্রণালীর পথ বন্ধ করে দিতে পারে। তখন শরীরে বিভিন্ন প্রভাব দেখা দিতে পারে যেমন ধরুন পেট ব্যথা বমি বমি ভাব ও বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাছাড়াও লিচুর বিচি খেলে আরো স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন,
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব ভালো কাজ করে।
- শারীরিক প্রদাহ ও নিরাময় করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে পারে।
- তাছাড়াও লিচুর বিচি ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
লিচু খাওয়ার সঠিক সময়
লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ জেনেছেন কিন্তু এখন লিচু খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি। যে সময়ে লিচু খেলে আপনি লিচুর সম্পূর্ণ উপকারিতা পাবেন। চলুন জেনে নিন লিচু খাওয়ার সঠিক সময়।
- সকালবেলা নাস্তার পরেঃ সকালবেলা নাস্তা করার প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা পর আপনি লিচু খেতে পারেন। কারণ দিনের শুরুতেই শরীরে এনার্জি প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে যেহেতু লিচুতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে।সুতরাং এটি দ্রুত শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
- দুপুর বেলাঃ দুপুরের খাবার খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘন্টা আগে অথবা এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে আপনি লিচু খেতে পারেন। কারণ এই সময় লিচু খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে।
- বিকাল বেলাঃ আমরা অনেকেই বিকেলে চা নাস্তা করি আপনি চা নাস্তা করার এক ঘন্টা আগে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে কয়েকটি লিচু খেতে পারেন।
- সন্ধ্যাবেলাঃ আপনারা চাইলে রাত্রে খাবার খাওয়ার আগে কয়েকটি লিচু খেতে পারেন।
- রাতের বেলাঃ রাতে কখনো লিচু খাওয়া উচিত নয়। কারণ লিখিত থাকা সুগার রাতের বেলা খাবার হজমে বাধা প্রদান করে। এতে করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এবং রক্তের সুগার উঠানো হতে পারে।
- লিচু খাওয়ার পরিমাণঃ একজন সুস্থ স্বাভাবিক অথবা বয়স প্রাপ্ত মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি লিচু খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। এর বেশি লিচু খাবেন না। তবে যদি আপনি আর বেশি লিচু খেতে পারেন তাহলে মাঝে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খাবেন।
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি যাবে না এই বিষয় নিয়ে অনেকের মনের সংশয় থাকে। দেখুন লিচু যেহেতু গ্রীষ্ম মৌসুমী পুষ্টি সম্পূর্ণ একটি ফল। যেহেতু গর্ভবস্থায় একজন গর্ভবতী মা লিচু খেতে পারবে। কিন্তু তা হবে খুব সীমিত পরিমানে। কারণ লিচুতে এত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার যা একজন গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হজমের জন্য খুব উপকারী। তবে অতিরিক্ত লিচু খেলে গর্ভাবস্থায় আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
যার ফলে গর্ভকালীন মা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় লিচু খেলে ওই ব্যক্তি শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যার ফলে এলার্জির প্রবণতা দেখা দেয়। এবং নবজাতীয় শিশুর মৃত্যু অথবা জন্মদানের ঝুঁকি বাড়ে।এইজন্য বলব গর্ভকালীন সময়ে আপনি প্রতিদিন খাদ্যবাসের সাথে সারাদিনে তার থেকে পাঁচটি লিচু খেতে পারবেন এতে আপনার শরীর সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণগুন পাবে এতে মা ও শিশুর উপকার হবে।
খালি পেটে লিচু খেলে কি হয়
খালি পেটে লিচু খেলে কি হয় এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। রসালো ভরা এ লাল টুকটুকে ফলটি প্রচন্ড গরমে শারীরিক প্রশান্তি এনে দেয় বটে। কিন্তু আপনি কি জানেন এ মিষ্টি স্বাদ যুক্ত রসালো এই ফলটি খালি পেটে খেলে ঠিক কি হতে পারে। আপনারা তো জানেন লিচুতে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক সুগার থাকে। যা খালি পেটে খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে ইনসুলিন এর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এবং আপনাকে ডায়াবেটিসে ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষ করে শিশুরা খালি পেটে লিচু খেলে তাদের রক্তের শর্করা মাত্রা কমে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। করে শিশুদের মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব পেট ব্যথা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে লিচুতে হাইপ্রো গ্লাইসিন ও মিথিলিন সাইক্লোপ্রপলি গ্লাইসিন নামক দুটি উপাদান রয়েছে। যা খালি পেটে খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
খালি পেটে লিচু খেলে এই উপাদানগুলো যকৃতকে সরাসরি আঘাত করে। এবং বিপাকক্রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি করে। এইজন্য লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই মনে করে কিছু খাবার খেয়ে নেবেন। যাতে করে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্লুকোজ থাকে। তাছাড়াও লিচুর নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এবং অপকারিতা এড়াতে খালি পেটে লিচু খাওয়া এড়িয়ে চলুন এতে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং লিচুর সম্পূর্ণ পুষ্টি গুণ পাবেন।
লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে
লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে? আপনারা অনেকেই এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। লিচু খেলে আপনার ওজন বাড়ার ভুবনে কিছুটা থাকতে পারে। তবে এটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার লিচু খাওয়ার পরিমাণের উপর।কারণ লিচুতে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার এবং প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি যা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও রয়েছে লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।তবে লিচুতে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে অতিরিক্ত খেলে কিছুটা ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৫ থেকে ৬টি লিচুতে ৩০ গ্রামের মতো শর্করা থাকে। যা শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরির জন্য দায়ী। এই শর্করাগুলো অতি দ্রুত হজম হয়। এবং রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা ইনসুলিনের চাপ বাড়তে সাহায্য করে। আর ইনসুলিন আমাদের শরীরের অতিরিক্ত শর্করাকে চর্বিতে পরিণত করে জমিয়ে ফেলতে পারে। যার ফলে ওজন বাড়তে পারে। তবে আপনি চেষ্টা করবেন প্রেমে তো পরিমাণে লিচু খাওয়ার এতে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
আর যদি আপনি লিচু খেয়ে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করে নেন তাহলে লিখতে থাকা ক্যালোরি অনেকটাই কমে আসবে। এতে আপনার ওজনের ওপর কোনরকম প্রভাব পড়বে না। তাহলে লিচু খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কখনোই ক্ষতিকর হবে না। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত লিচু খান শাড়ি পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করেন সেক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়তে পারে। আশা করছি কিভাবে লিচু খেলে ওজন বাড়বে বা কমবে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
লিচুর পুষ্টি উপাদান
লিচুতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই সম্পর্কে অনেকেই জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এতক্ষণ আপনাদেরকে লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানানোর পর এবার আমরা আপনাদেরকে লিচুতে থাকা পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন ১০০ গ্রাম লিচুতে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তা আমরা নিজের ছকের মাধ্যমে জেনে নিন---
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
ক্যালরি | ৬৬ গ্রাম |
জলীয় অংশ | ৯১ গ্রাম |
সোডিয়াম | ১.০ মিলিগ্রাম |
জিংক | ১.০৭ মিলিগ্রাম |
ম্যাঙ্গানিজ | .০৫৩ মিলিগ্রাম |
তামা | ০.১২ মিলিগ্রাম |
আন্টিঅক্সিডেন্ট | ১৩০০ ORAC ইউনিট |
ফলিক এসিড | ২৯০০ মাইক্রো গ্রাম |
শর্করা | ১৬.৫১ গ্রাম |
সুগার | ১৬ গ্রাম |
স্নেহ পদার্থ | ০.৪৩ গ্রাম |
প্রোটিন | ০.৮২ গ্রাম |
ফাইবার | ১.৪ গ্রাম |
নায়াসিন | ০.৬০২ মিলিগ্রাম |
রিবোফ্লাভিন | ০.০৬৩ মিলিগ্রাম |
থায়ামিন | ১.০৯ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন বি-৬ | ০.২ মিলিগ্রাম |
ফোলেট ( বি-৯) | ১৩ মাইক্রোগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৪.৪ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৭০.৬ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ০.১৩ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ৯.৪ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ২৮ মিলিগ্রাম |
পটাসিয়াম | ১৫৯ মিলিগ্রাম |
লিচুর পাতার উপকারিতা
আমরা এতক্ষণ লিচু খাওয়ার বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে সম্পূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছেন। তবে কি আপনারা জানেন লিচুর পাতার উপকারিতা কম নয় লিচুর পাতার পুষ্টি সমূহের রয়েছে। লিচুর পাতার শুধু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অপকারিতায় নয় বরং লিছুর পাতার রয়েছে বেশ কিছু ভেষজ গুনাগুন।
যা আমাদের অনেকেরই অজানা। লিচুর পাতাকে ঔষধি পাতা বলে বিবেচিত হয়েছে। আমাদের সমাজে লিচু পাতা অনেকটাই অবহেলিত কিন্তু আয়ুর্বেদিক বা বিভিন্ন হারবাল চিকিৎসায় এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। তাহলে চলুন এবার লিচু পাতার বেশ উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনে নিই---
আপনি জানলে অবাক হবেন লিচু পাতাতে রয়েছে বেশ কিছু প্রদাহ নাশক উপাদান। শরীরের বিভিন্ন ফোলা অংশ বিশেষ করে হাঁটু ব্যথা আর্থাইটিসের মতো সমস্যায় উপকারে আসে।
- লিচু পাতা রক্ত পরিষ্কার করতে খুব কার্যকর। আমরা প্রায়ই শুনি বিভিন্ন ব্যক্তির রক্তের সমস্যা রক্ত খারাপ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লিচু পাতা খুব উপকারী। এ লিচু পাতার রস নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে।
- লিচু পাতা নির্যাস আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ধ্বংস করতে কাজ করে ।
- লিচু পাতার রস খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগা সর্দি জ্বর ইত্যাদি উপশম হয়। এবং শরীরকে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।
- চুলের বিভিন্ন সমস্যায় লিচু পাতার নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন। মাথার খুশকি চুল পড়া চুলের গোর মজবুত করতে সাহায্য করে।
- একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে লিচু পাতা ক্যান্সারের কোষ কে নিরাময় করতে সাহায্য করে। যেমন লিভার ক্যান্সার ব্রেস্ট ক্যান্সার নিরাময় করতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- চর্ম রোগ লিচু পাতা খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এলার্জি চুলকানি ব্রণ ইত্যাদি দূর করতে কিছু পাতার পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন এতে আপনার জ্বালাপোড়া ইনফেকশন দূর করবে।
- লিচু পাতায় আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান যা আপনার শরীরে কোষগুলোকে ফ্রি রেডিক্যালস থেকে রক্ষা করবে।
সম্মানিত পাঠক বিন্দু, অবশেষে একটি কথা বলব লিচু পাতার প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার যা মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তবে এর ব্যবহার সতর্কতার সাথে করা উচিত। এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবে আপনারা ব্যবহার করবেন।
লিচুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। এখন চলছে গ্রীষ্মকালীন ফল লিচুর মৌসুম।পুষ্টি ভরা এবং সুস্বাদু এই মৌসুমীর ফলটি অতি অল্প সময়ের জন্য আসে। অন্যান্য সময়ে গ্রীষ্মকালীন যে কোন ধরনের ফল তুলনামূলকভাবে বেশি পাওয়া যায়। তবে শারীরিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে। আপনারা যে মৌসুমের ফল এই মৌসুমি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আর অবশ্যই পুরো মৌসুম জুড়ে খাদ্য তালিকায় এই ফলটি রাখা উচিত।
এইজন্যে আপনিও নিত্য দিনের আপনার খাদ্য তালিকায় লিচু রাখতে পারেন। রসে ভরা লাল টুকটুকে এই ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ও ঠাসা।তবে এই লোভে আপনারা আবার অতিরিক্ত বা অনির্দিষ্ট পরিমাণে খাবেন না এতে কিন্তু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লিচু থেকে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই পরিমাণমতো সঠিক সময়ে লিচু খেতে হবে।
আপনি ভালো থাকুন এবং আপনার পরিবারকে ভালো রাখুন। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের জুথি আর্টস আইটি ওয়েবসাইটে, ধন্যবাদ।
জুথি আর্টস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url